১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

শরণার্থীদের জোর করে ফেরত পাঠানোর ঘোর বিরোধী জাতিসঙ্ঘ

-

নিরাপদ নয় এমন স্থানে শরণার্থীদের জোর করে ফেরত পাঠানোর ঘোর বিরোধী জাতিসঙ্ঘ। উদ্বাস্তুদের তাদের নিজ ভূমিতে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং মর্যাদার সাথে ফিরতে পারা উচিত।
গতকাল নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বসংস্থার মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারেক এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বাংলাদেশ সরকার নতুন করে কোনো শরণার্থী গ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছিল। রাখাইনের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কি আরো রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে সম্মত হয়েছে? এ ছাড়া ভারত থেকে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের জোর করে বাংলাদেশে পাঠানোর অভিযোগ সম্পর্কে জাতিসঙ্ঘের প্রতিক্রিয়া কি? এ ব্যাপারে গার্নিকা থার্টিসেভেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যে অভিযোগ দায়ের করেছে, সে বিষয়ে জাতিসঙ্ঘের মন্তব্য কী?
জবাবে মুখপাত্র বলেন, আপনার প্রথম প্রশ্ন সম্পর্কিত কোনো প্রতিবেদন আমার চোখে পড়েনি। আপনি জাতিসঙ্ঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক হাইকমিশনে আমাদের সহকর্মীদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারেন। অবশ্যই বাংলাদেশ বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে অত্যন্ত উদারতা দেখিয়েছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের স্থানীয় সম্প্রদায়ও এ ব্যাপারে যথেষ্ট উদার। আমরা আশা করি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে আমাদের সমর্থন দিয়ে যাবে। আপনার দ্বিতীয় প্রশ্ন সংক্রান্ত কিছু আমার চোখে পড়েনি। তবে আমি বলতে পারি, নিরাপদ নয় এমন স্থানে শরণার্থীদের জোর করে ফেরত পাঠানোর ঘোর বিরোধী জাতিসঙ্ঘ। উদ্বাস্তুদের তাদের নিজ ভূমিতে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং মর্যাদার সাথে ফিরতে পারা উচিত।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা গার্নিকা থার্টিসেভেন ভারত থেকে জোর করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠানোর অভিযোগ তদন্তের জন্য নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটার কার্যালয়ে গত বুধবার আবেদন করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement