আজিজ-বেনজীরকে রক্ষা করবে না সরকার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩০ মে ২০২৪, ০০:০০
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ এবং পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, সরকার কোনো রকম প্রটেকশন কাউকে দেবে না। আইন নিজের গতিতে চলবে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান এ কথা বলেন। এর আগে কলকারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনারোধ এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে গঠিত জাতীয় কমিটির তৃতীয় সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এ কমিটির সভাপতি।
সাবেক সেনাপ্রধান ও পুলিশপ্রধানের অনিয়মের বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। এ বিষয় সরকার বিব্রত কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, আমাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্পষ্টভাবে বলেছেন, কেউ যদি আইন ভঙ্গ করে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে সরকারের কোনো বিব্রতকর অবস্থা হবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। আইন নিজের গতিতে চলবে। উনি যেটা বলেছেন লোকটা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, সরকার কোনো রকম প্রটেকশন কাউকে দেবে না। আইন নিজের গতিতে চলবে।
ভারতে বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্য খুন হওয়ার বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, আমরা সবাই কিন্তু এটা নিয়ে খুবই শকটড হয়েছি। আপনারা জানেন ঘটনাটি তদন্তাধীন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমার মনে হয় এটার ওপর কমেন্ট করা ঠিক হবে না।
বাজেটের পরে দ্রব্যমূল্যের ক্ষেত্রে নতুন কোনো অস্বস্তি তৈরি হবে কি না- জানতে চাইলে সালমান এফ রহমান বলেন, এটা তো হাইপোথেটিক্যাল কোশ্চেন। বাজেট কী হবে, বাজেটের পরে কী হবে, আমরা সুস্থ থাকব নাকি অসুস্থ থাকব, সেটা তো বাজেট দেখার পর উত্তর দিতে পারব।
সালমান এফ রহমানের সভাপতিত্বে সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো: আতিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন কারখানা-বাণিজ্যিক ভবনের অনুমোদন দেবে পেশাদার প্রতিষ্ঠান : সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সভার সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরে সালমান এফ রহমান বলেন, এখন থেকে নতুন কারখানাগুলো ও বাণিজ্যিক ভবনের নকশা ও পরিকল্পনার যে অনুমোদন দেয়া হবে, বিশেষ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বাইরে যেগুলো আছে, সেগুলোর অনুমোদন দেয় জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অধীনে থাকা কমিটি। আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পেশাদার সংগঠন যেগুলো আছে, যেমন ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচার, ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স এসব সংগঠন এবং তাদের অথরাইজড করার মতো কারা আছেন, তাদের একটা তালিকা তারা দেবে। যেমন- স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, প্লাম্বিং, এমইপি, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ইত্যাদি। এই তালিকায় যাদের নাম আছে, ভবনের নকশায় তাদের সই আছে কি না; সেটা দেখবে কমিটি। অনেক সময় সই নকল হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রথম তাড়া থাকবে, তালিকাভুক্তদের সইয়ে প্ল্যানিং বা নকশা জমা দেয়া হয়েছে কি না, সেটা দেখা। সাথে পেশাগত সংগঠনকে সাথে নিয়ে সই সঠিক কি না; সেটার সত্যতা যাচাই করা হবে।
সালমান এফ রহমান বলেন, আমাদের একটা আইন হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি)। এই আইনে একটি অথরিটি (কর্তৃপক্ষ) করার কথা রয়েছে- বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটি। যত দ্রুত সম্ভব এটা যাতে পূর্ত মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করে, আমরা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরই মধ্যে তিন পর্যায়ে আমরা সারা দেশের কলকারখানা পরিদর্শন করেছি। প্রথম পাঁচ হাজারে ফল অনেক ভালো পেয়েছি। পরিদর্শনের পর কারেক্টিভ অ্যাকশন প্ল্যান করে তাদের জানানো হয়েছে যে, এই ত্রুটি আছে, এগুলো ঠিক করতে হবে। সেই অনুসারে তাদের সময় দেয়া হয়েছে। আমরা দেখেছি, আমরা যেভাবে অনুরোধ করেছিলাম, অন্তত ৫০ শতাংশ সেটা তারা বাস্তবায়ন করেছে। বাকিদের আরো সময় দেয়া হয়েছে, তারা সবাই কাজ করছেন। সবার সাথে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলে কাজ এগিয়ে নিচ্ছি।
সালমান এফ রহমান বলেন, প্রথম পর্যায়ে আমরা যেভাবে দ্রুত পরিদর্শন করেছি, দ্বিতীয় পর্যায়েও সেটা চালু থাকবে। তৃতীয় পর্যায়ে সারা দেশে পাঁচ হাজার ভবন পরিদর্শনের কথা ছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সারা বাংলাদেশে পরিদর্শন না করে ষোলটি জেলা যেখানে শ্রমঘন এলাকা বেশি, সেগুলো আমরা পরিদর্শন করব।
তিনি আরো বলেন, গত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা শহরের দুটো বাণিজ্যিক মার্কেট আমরা চিহ্নিত করেছিলাম, একটা গুলশানের শপিং কমপ্লেক্স, আরেকটা মৌচাক মার্কেট। আমাদের সিদ্ধান্ত অনুসারে গুলশানেরটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। আর মৌচাকের বেলায় হাইকোর্ট থেকে একটি স্টে অর্ডার এসেছে, তাতে বলা হয়েছে, ওটাকে না ভেঙে রেট্রোফিট করার জন্য। আজ আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রাজউক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন দেখবে যে এটা (মৌচাকের মার্কেট) রেট্রোফিট করা যায় কি না। যদি করা সম্ভব হয়, তাহলে করা হবে। সম্ভব না হলে আবার আদালতে গিয়ে স্টে অর্ডার ভ্যাকেট করার জন্য বলব।
ঢাকা শহরের অনেক ভবনের পার্কিংয়ের জায়গায় দোকানপাট ও অন্যান্য কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে আমরা বলেছি, পার্কিংয়ের জায়গা যাতে পার্কিংয়ের কাজে ব্যবহার হয় তা বাস্তবায়ন করতে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা