বান্দরবানে পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত চলছে : পিসিএনপি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩০ মে ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশের মানচিত্র ছিন্ন করে তথাকথিত জুম্মল্যান্ড নামে পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত চলছে বলে দাবি করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি)।
তাদের দাবি পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলায় রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত জেএসএস, ইউপিডিএফ এবং কেএনএফ তথাকথিত জুম্মল্যান্ড নামে পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য তারা ভারতের মিজোরাম, কলকাতা, আগরতলা, নয়াদিল্লিতে এবং জাতিসঙ্ঘের আদিবাসী বিষয়ক সম্মেলনে গিয়েও জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র এরই মধ্যেই ফাঁস হয়ে গেছে।
রাঙামাটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এবং পিসিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুজ্জামান মনির গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৩ মে গণভবনে ১৪ দলের সমাবেশে বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম মিয়ানমার নিয়ে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে। পূর্বতিমুর ও দক্ষিণ সুদানের মতো দেশের এক-দশমাংশ কেড়ে নিয়ে পৃথক রাষ্ট্র কায়েমের জন্য দেশে-বিদেশে চক্রান্ত অব্যাহত আছে। সবাইকে এ জন্য সচেতন হতে হবে।
গত ৫০ বছর ধরে পাহাড়ের দেশপ্রেমিক জনগণ অনুরূপ অভিযোগ করে এলেও কেউই তা গুরুত্ব দেয়নি। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের পর পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে দেশে বিদেশে বিশদ পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ পিসিএনপি বিষয়ে তীব্র দৃষ্টি রেখেছে এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে খুবই সময়োপযোগী ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে স্বাগত জানিয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করেন, বান্দরবান জেলা পরিষদের সিনিয়র কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগের কিছু উপজাতীয় নেতা বিভিন্নভাবে কেএনএফকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পিসিএনপি-এর তদন্ত দাবি করেছে। রাষ্ট্রদ্রোহী কেএনএফ কমান্ডার নাথান বমের স্ত্রীকে বান্দরবান জেলা পরিষদে চাকরি প্রদান, বম সম্প্রদায়ের অভিযুক্ত নেতাদের লাখ লাখ টাকার ত্রাণসামগ্রী, অর্থ প্রদান এবং সেনা অভিযানে গ্রেফতারকৃত বম গোষ্ঠীর সদস্যদের জামিন দেয়ার ব্যাপারে বান্দরবান জেলা পরিষদের অর্থভাণ্ডার ব্যবহৃত হচ্ছে যা খুবই দুঃখজনক।
তিনি বলেন, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার নিরবতায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। তাছাড়া প্রায় এক ডজন সৈনিক হত্যায় রাষ্ট্রদ্রোহী সশস্ত্র তৎপরতা ও গণবিরোধী কাজে লিপ্ত কেএনএফকে দমনের জন্য সরকার ২০২২ সালে অভিযান শুরু করেছিলেন। কিন্তু বান্দরবান জেলা পরিষদের ওই নেতা আলোচনার ফাঁদে ফেলে বমদেরকে রক্ষার ব্যবস্থা করেন এবং সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহ দমনে বাধা দিয়েছেন। ফলে কেএনএ নতুনভাবে সুসংগঠিত হয়েছে এবং পরবর্তীকালে বান্দরবান জেলার রুমা, থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে এবং অনেক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গেছে।
এদিকে বান্দরবান জেলা সদরে কিছু উপজাতীয় আওয়ামী লীগ নেতার ইন্ধনে পিসিএনপির নেতা কাজী মজিবুর রহমানকে হত্যার চক্রান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। তারা বলেন, রুমা, থানচি, আলীকদম, লামায় কেএনএফ’র সন্ত্রাসী হামলা, চাঁদাবাজি, লুটপাট ও বাঙালিদের ওপর নির্যাতনে পিসিএনপি গভীর উদ্বিগ্ন।
২০২২ সালে সেনা অভিযান চূূড়ান্ত সাফল্যের মুখে বান্দরবানের কিছু আওয়ামী লীগ নেতার শান্তি আলোচনার ফাঁদে পড়ে মৃত প্রায় কেএনএফকে নতুন জীবন দান করা হয়েছে। তাছাড়া বান্দরবানে ইকো পার্কসহ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনেও জেলা পরিষদের শীর্ষ নেতা বাধা দিয়েছেন। ফলে বিরাট একটি ইকো প্রকল্প মাঝপথে ব্যাহত হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা