ইসরাইলকে রাফাতে হামলা বন্ধের নির্দেশ আইসিজের
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২৫ মে ২০২৪, ০২:০৮
ফিলিস্তিনের রাফাতে দখলদার ইসরাইলের চলমান হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। গতকাল শুক্রবার হেগ-ভিত্তিক জাতিসঙ্ঘের সর্বোচ্চ আদালত ইসরাইলকে এ নির্দেশ দেন। আলজাজিরা ও বিবিসি।
রায়ে আইসিজের প্রধান বিচারপতি নওয়াফ সালাম বলেন, ‘রাফাতে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরাইলের যেকোনো হামলা বন্ধ করতে হবে। যে হামলায় গাজার ফিলিস্তিনি ও তাদের অবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’ রাফাতে ইসরাইলের হামলা বন্ধের দাবি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের দ্বারস্থ হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটি বলেছে, গাজায় ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল। এ কারণে সেখানে হামলা বন্ধ করতে হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদন আমলে নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাফাতে হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আইসিজের বিচারকরা। আদালতের বিচারকরা বলেছেন, ইসরাইল গাজার বাসিন্দাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে যেসব প্রতিশ্রতি দিয়েছে এবং রাফাহ থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া ব্যবহার করছে সেটিতে তারা সন্তুষ্ট নন।
বিবিসি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে, সেটি দেয়া হয়েছে মূলত যেন গাজার সাধারণ মানুষের অবস্থার আর অবনতি না ঘটে। এ ছাড়া জাতিসঙ্ঘের সর্বোচ্চ এ আদালত এবারই প্রথমবারের মতো দখলদার ইসরাইলকে এমন নির্দেশ দিয়েছে; যেটির মাধ্যমে তাদের সামরিক পরিকল্পনায় বড় পরিবর্তন আনতে হবে।
আগামী এক মাসের মধ্যে নতুন নির্দেশনা কার্যকর সম্পর্কে অবহিত করতে ইসরাইলকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ রাফাহ ক্রসিং খুলে দিতেও ইহুদিবাদী ইসরাইলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আলজাজিরা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক আদালতের ১৫ বিচারকের মধ্যে ১৩ বিচারক একমত হয়েছেন যে রাফাহর বর্তমান পরিস্থিতি সর্বোচ্চ সঙ্কটজনক অবস্থায় পৌঁছেছে।
আদালতের প্রধান বিচারক বলেছেন, রাফাহ থেকে আট লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরাইল এসব মানুষকে নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তা দিচ্ছে, এমন দাবি তিনি বিশ্বাস করেন না। তিনি জানিয়েছেন, ইসরাইলের এ দাবির কোনো প্রমাণই তারা পাননি।
আর এ কারণেই বিচারকরা এমন কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া যে বিষয়টি সবাইকে অবাক করেছে সেটি হলো, বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন গাজায় গণহত্যার চিহ্ন যেন নিশ্চিহ্ন হয়ে না যায় সেটি নিশ্চিতে যেন জাতিসঙ্ঘের কর্মকর্তাদের সেখানে অবস্থান করতে দেয়া হয়। আন্তর্জাতিক আদালতের দেয়া এই রায় এখন জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করা হবে। সেখানে যদি সব দেশ এতে সম্মত হয় তা হলে এটি কার্যকর হবে। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এই রায়ে ভেটো দেবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা