১৬ জুন ২০২৪
`

নৃশংস হত্যার তথ্য পেলেও কারণ জানতে পারেনি পুলিশ

নৃশংস হত্যার তথ্য পেলেও কারণ জানতে পারেনি পুলিশ -

- এমপি আনার হত্যায় ৩ জনকে আটক করেছে ডিবি
- হত্যাকারীরা চিহ্নিত ঘোষণা দেয়ার বাকি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

ভারতে বাংলাদেশের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশ। পুলিশ বলছে, লাশের হাড় থেকে মাংস আলাদা করে সেগুলো টুকরো টুকরো করা হয়েছে। এরপর তাতে হলুদ মিশিয়ে ছোট ছোট ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রেখে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলা হয়েছে। হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য এমপির মোবাইলফোন ব্যবহার করে ঘাতকরা বিভিন্ন এসএমএস দিয়েছে। তবে গ্রেফতারকৃতরা এত বড় হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিতে পারলেও কী কারণে হত্যা করা হয়েছে সেটি এখনো পুলিশকে নিশ্চিত করতে পারছে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হলো হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়া চরমপন্থী দল পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আমানউল্লাহ আমান, মোস্তাফিজ ও ফয়সাল। এছাড়া আখতারুজ্জামান শাহিনের কথিত গার্লফ্রেন্ড শিলাস্তি রহমানও আটক রয়েছে।
এদিকে আনার হত্যার তদন্ত করতে ভারত থেকে স্পেশাল পুলিশের দুই সদস্যের একটি টিম ঢাকায় এসেছে। গত সন্ধ্যায় তারা ডিবি কার্যালয়ে যান। তারা ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত নিয়ে আসেন বলে জানা গেছে। ভারতের ওই টিম বাংলাদেশে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে। এছাড়্ াবাংলাদেশ পুলিশের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য শেয়ার করার কথা রয়েছে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ থেকেও পুলিশে একটি দল ভারতের কলকাতায় যেতে পারে।

ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামানের বাসা একটি গুলশানে, একটি বসুন্ধরা এলাকায়। অনেক দিন ধরে এই দুই বাসাতেই হত্যার পরিকল্পনা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশের নজরদারি ও ঢাকায় হত্যাকাণ্ডের পরে সব হত্যার ক্লু পুলিশ বের করে নেবে আশঙ্কা করে পারেনি। পরে দ্বিতীয় পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা কলকাতায় গত ২৫ তারিখ একটি বাসা ভাড়া নেয়। ৩০ এপ্রিল শাহীন চরমপন্থী নেতা আমান ও বান্ধবী সিলাস্তি রহমানকে নিয়ে কলকাতা যান। সেখানে আগে থেকেই ভাড়া করে রাখা নিউটাউন এলাকার সঞ্জীবা গার্ডেনের ওই ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে ওঠেন। কলকাতায় আরো আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন শাহীনের দুই সহযোগী সিয়াম ও জিহাদ। সেখানে বসে তারা এমপি আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। হত্যার পুরো দায়িত্ব আমানকে বুঝিয়ে দিয়ে ১০ মে দেশে চলে আসেন শাহীন। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমান বাংলাদেশ থেকে আরো দুই ভাড়াটে কিলারকে নিয়ে যান কলকাতায়। ফয়সাল শাজী ও মোস্তাফিজ নামে দুই ভাড়াটে খুনি ১১ মে কলকাতায় গিয়ে আমানের সাথে যোগ দেন।
৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ : ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন।

সিএমএম আদালতে শেরেবাংলানগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক জালাল উদ্দিন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। মামলার অভিযোগে তিনি বলেন, মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে থাকি। গত ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সাথে ভিডিওকলে কথা বললে বাবার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই।
অভিযোগে ডরিন বলেন, ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি খুদেবার্তা আসে। এতে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সাথে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। আমি পরে ফোন দেবো।’ এ ছাড়া আরো কয়েকটি বার্তা আসে। খুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে। তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনো সন্ধান না পেয়ে বাবার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদি হয়ে ভারতীয় বরাহনগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে বাবাকে অপহরণ করেছেন।

চিকিৎসার কথা বলে ১২ মে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে আনোয়ারুল আজিম আনার ভারতে যান বলে জানা যায়। পরে ২২ মে তার খুনের খবর আসে। কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাটে তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় বলেও জানা যায়।
যেভাবে হত্যা : আমানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, এমপি আনার ১২ মে কলকাতায় যাবেন তা আগে থেকেই জানতেন শাহীন। তাকে হত্যার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেন তার গ্যাংকে। তারা একাধিক চাপাতিও সংগ্রহ করে রাখে। ১২ মে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় যান আনার। প্রথম দিন তিনি তার বন্ধু গোপালের বাসায় থাকেন। পরদিন ১৩ মে কৌশলে এমপি আনারকে নিউটাউনের সেই ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে যান হত্যাকারীরা। এরপর আমান তার সহযোগী ফয়সাল, মোস্তাফিজ, সিয়াম ও জিহাদ মিলে এমপিকে চাপাতির মুখে জিম্মি করেন। একপর্যায়ে সবাই মিলে আনারকে জাপটে ধরে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেন। লাশ গুম করতে কেটে টুকরো টুকরো করা হয়। সেগুলোতে হলুদ মেশানো হয় যাতে রাস্তায় ধরা পড়লে বলতে পারবে এগুলো মাংস বাজার থেকে আনা হয়েছে। টুকরোগুলো পলিথিনে ভরে ঘটনার দিন বাসার ফ্রিজে রাখা হয়। বাইরে থেকে ব্লিচিং পাউডার এনে ঘরের রক্তের দাগ পরিষ্কার করে। পরদিন থেকে সুযোগ বুঝে ট্রলি ব্যাগে করে টুকরোগুলো নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফেলা হয়। ১৫ মে মূল হত্যাকারী আমান গার্লফ্রেন্ডসহ ফিরে আসে। একই দিন মোস্তাফিজ ফিরে আসে বাংলাদেশে। সবাই যখন ফিরে আসে তখন মূল পরিকল্পনাকারী শাহীন ভিস্তারা এয়ারলাইনসে দিল্লি হয়ে দুই ঘণ্টার ট্রানজিট নিয়ে নেপালের কাঠমান্ডু চলে যান। সেখান থেকে হয়তো অন্য কোথায় চলে যেতে পারে।

ডিবি প্রধান বলেন, আমরা ১৮ মের পর তদন্ত শুরু করেছি। যখন গোপাল কলকাতায় সাধারণ ডায়েরি করেন। হত্যাকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছে বিভিন্ন মেসেজ পাঠিয়ে যে তিনি জীবিত আছেন। মেসেজ এমন ছিল যে, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত সাহার কাছে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী সেখানে যাবেন। তার মন্ত্রী হওয়া নিয়ে কথা হবে।’ আসলে আনারের ডিভাইস ব্যবহার করে এসব মেসেজ দিয়েছে হত্যাকারীরা। তারা কখনো বেনাপোল, মুজাফফরাবাদ, কখনো পশ্চিমবঙ্গের শেষ বর্ডারে থেকে মেসেজগুলো দিয়েছে। তদন্তকারীরা যাতে ডিভাইসটা খুঁজে না পায় সেটিও তারা করেছে। তিনি বলেন, সব কিছু মিলিয়ে আমরা তদন্ত করছি। আমাদের কাছে আটক তিনজন স্বীকার করেছেন। আমাদের সাথে কলকাতা পুলিশ, কলকাতা সিআইডি এসটিএফের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে। ইন্ডিয়ান একটি তদন্ত সংশ্লিষ্ট টিম আমাদের এখানে আসবে। তারা আটককৃতদের সাথে কথা বলবেন, জিজ্ঞাসা করবেন। আমরাও প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে অনুমতি নিয়ে ঘটনাস্থলে যাবো। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের মাটিতে তারা এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটাতে পারেনি।
লাশ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে হারুন বলেন, লাশ পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু বলা সম্ভব না। তবে শিমুলের বর্ণনা মতে আনারের লাশ তো খণ্ড খণ্ড করা হয়েছে। হাড়-হাড্ডি মাংস আলাদা করে হলুদ মিশিয়ে ব্যাগে ভরে ফেলা হয়েছে। আমরা আশা করছি পুরোপুরি না পেলেও খণ্ডিত হলেও লাশ উদ্ধার সম্ভব হবে। তা ছাড়া যে ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করেছে সে কলকাতা পুলিশের কাছে আটক আছে।

কেন হত্যাকাণ্ড এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটনানো হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেন ঘটানো হয়েছে সেটি বের হবেই, তবে কারা কারা জড়িত, আরো কেউ জড়িত কি না, রাজনৈতিক বা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। আমাদের কাছে এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সব অপরাধীকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা। কী কারণে হত্যা সেটা পরে দেখব। আমরা তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু বলছি না। তবে যে তিনজনকে আমরা ধরেছি তারা সবাই পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ছিলেন। যাদের বিরুদ্ধে অনেক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
এ দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে যারা হত্যা করেছে, তাদের প্রায় চিহ্নিত করা হয়েছে। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা একমত হতে পারলে ঘোষণা দেয়ার বাকি মাত্র।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আনারের লাশ এখনো উদ্ধার করতে পারিনি। যে পর্যন্ত লাশ উদ্ধার করতে না পারব সে পর্যন্ত অফিসিয়ালি কিছু বলতে পারছি না। তিনি বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসন বর্ডার এলাকা। যেখানে সন্ত্রাসী জনগোষ্ঠী রয়েছে। সেই এলাকার তিনবারের এমপি আনার। কী কারণে হত্যাকাণ্ড হয়েছে সে বিষয়ে সুনিশ্চিত না হয়ে আমাদের কিছুই বলা ঠিক হবে না। আমরা আগে সুনিশ্চিত হই, তারপর বিস্তারিত জানানো হবে। মন্ত্রী বলেন, ‘একজন সংসদ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়টি আমরা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বিষয়টি। আশা করছি খুব অল্পসময়ে আমরা আপনাদের কিছু জানাতে পারব।’

কলকাতা সিআইডির বক্তব্য : ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে প্রথমে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় এবং পরে তার লাশ কেটে টুকরো টুকরো করে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলা হয়। ধারণা করছি যে, লাশের কিছু অংশ ফ্রিজে রাখা হয়েছিল এবং আমরা সেসব নমুনা সংগ্রহ করেছি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা গতকাল বাংলাদেশের একজন সাংবাদিককে ফোনে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কলকাতার নিউ টাউনের যে ফ্ল্যাটে আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যা করা হয়, সেই ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে রক্তের আলামত এবং বেশ কিছু প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করেছে সিআইডি। তিনি বলেন, ‘এটি একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আনারকে হত্যার জন্য তার এক বন্ধু পাঁচ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। যে ক্যাবে করে আনার ওই ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন সেটি গত ৩০ এপ্রিল ভাড়া করা হয়েছিল। এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় যে, গত ১২ মে আনার কলকাতায় পৌঁছানোর আগেই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।’ সেই ক্যাবটিকে জব্দ করেছে সিআইডি। ক্যাবের চালক জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য দিয়েছেন বলেও জানান এই সিআইডি কর্মকর্তা।

আমাকে ফাঁসানো হয়েছে : শাহিন
কলকাতায় আনোয়ারুল আজিম আনার খুনের সময় ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ আক্তারুজ্জামান শাহিন বাংলাদেশে ছিলেন বলে দাবি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে এমন দাবি করেছেন তিনি।
আক্তারুজ্জামান শাহিন বলেন, আনার হত্যায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনা কবে ঘটেছে, সেগুলো আমি পত্রিকায় দেখেছি। সে সময় আমি বাংলাদেশে ছিলাম। আমার পাসপোর্ট রেকর্ড দেখলে দেখা যাবে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।
পাঁচ কোটি টাকায় কিলিং মিশন চুক্তির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, বলা হচ্ছে আমি পাঁচ কোটি টাকা দিয়েছি। ফকভাবে আমি পাঁচ কোটি টাকা দিয়েছি? কোথা থেকে পেলাম আমি এত টাকা? এখন এগুলো মানুষ বললে আমার কী করার আছে! তিনি আপরভ বলেন, আমি যদি অন্যায় করে থাকি তা হলে আমাকে ধরুক। যদি কোনো প্রমাণ থাকে তাহলে দেখাক। আমি তো এই দেশে বিচার পাব না। আমি আমেরিকার নাগরিক, এখানে চলে এসেছি।


আরো সংবাদ



premium cement