১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রফতানি আয় দেশে আনার নীতিমালা শিথিল : বাড়তে পারে ডলারের দাম

-

রফতানি আয় দেশে আনার নীতিমালা শিথিল করলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে যে দিনই রফতানি আয় দেশে আসবে ওই দিনের বাজার দরেই ডলারের মূল্য পাবেন রফতানিকারকরা। আগে ১২০ দিনের মধ্যে রফতানি আয় দেশে না আসলে ডলারের বাজারমূল্য পেতেন না ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গতকাল এক সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এর ফলে আবারো রফতানিকারক পর্যায়ে ডলার মজুদ বেড়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পণ্য রফতানি করার চার মাসের(১২০ দিন) মধ্যে রফতানি আয় দেশে আনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী ডলারের বেশি মূল্য পাওয়ার আসায় সময় মতো রফতানি আয় দেশে আনতেন না বলে অভিযোগ ছিল। তারা বিদেশে ডলার রেখে দিতো। দেশে ডলারের দাম বাড়লে তখন রফতানি আয় আনা হতো। এতে দুই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। একদিকে ডলারের নিয়মিত সরবরাহে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। অপর দিকে, বিদেশে ডলার মজুদ করে দেশে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার অস্থিতিশীল করা হতো। এভাবে বেড়ে যেতো ডলারের দাম।
বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি জানার পর রফতানি আয় দেশে আনার বিষয়ে কড়াকড়ি করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বলা হয়, ১২০ দিনের মধ্যেই রফতানি আয় দেশে আনতে হবে। এর পরে কেউ ডলার আনলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডলারের যে মূল্য ছিল তাই পাবে। বর্ধিত মূল্যে ডলার নগদায়ন করা যাবে না। এ বিষয়ে গত বছর ৬ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এক সার্কুলার জারি করা হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এর পর অনেকেই রফতানি আয় বিদেশে না রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দেশে আনতেন।

কিন্তু ব্যাবসায়ীদের চাপে গতকাল এ নির্দেশনা আবার শিথিল করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এখন থেকে ১২০ দিন পরে রফতানি আয় দেশে আনলেও বাজার দরেই ডলার নগদায়ন করা যাবে। এর কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগে এক্সচেঞ্জ রেটের ’ক্রলিং পেগ’ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া নির্দেশনার কারণে ডলারের দাম কম পাচ্ছিলেন রফতানিকারকরা। সেটি কাটাতেই নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নীতিমালা শিথিলের কারণে এখন থেকে যে দিন রফতানি আয় নগদায়ন করা হবে সে দিনের ডলারের বিনিময় দর অনুসারে টাকা পাবেন রফতানিকারকরা। ফলে তারা দেরিতে নগদায়ন করলেও ডলারের বাড়তি দর পাওয়ার সুযোগ পাবেন। এর ফলে রফতানিকারকরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন।

জানা গেছে, কয়েক দিন আগে এক্সচেঞ্জ রেটের ‘ক্রলিং পেগ’ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া নির্দেশনার কারণে ডলারের দাম কম পাচ্ছিলেন রফতানিকারকরা। সেটি কাটাতেই নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা। সে হিসাবে, রফতানি আয় এখন নগদায়ন করলে প্রতি ডলারের বিপরীতে ১১৭-১১৮ টাকা দর পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করেছেন, এর ফলে আবারও ডলার মজুদ বেড়ে যেতে পারে। কারণ, আগে রফতানিকারকদের ডলার মজুদ ঠেকাতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এখন এ নীতিমালা শিথিল করায় আবারও ডলার মজুদ বেড়ে যেতে পারে। এমনিতেই ডলার সঙ্কট কাটছে না। ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী এলসি খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এ অভিযোগ প্রতিনিয়তই বাংলাদেশ ব্যাংকে আসে। এখন ডলার মজুদ বেড়ে গেলে এ সঙ্কট আরও বেড়ে যাবে। আর এ কারণেই তদারকি ব্যবস্থা জোরদারের বিকল্প থাকবে না।


আরো সংবাদ



premium cement
আমাদের সংবিধান ও পার্বত্য শান্তিচুক্তি চব্বিশের নতুন বাংলাদেশে বিজয় দিবস বাংলাদেশের ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব চীনের রাষ্ট্রদূতের সাথে মঈন খানের বৈঠক বীর মুক্তিযোদ্ধারা চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে : অ্যাডভোকেট জুবায়ের ভারতীয় চলচ্চিত্রে বাংলাদেশকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন! স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক, প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর রাজশাহীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ কর্মী গ্রেফতার জামায়াত নেতা ড. তাহের সম্পর্কে সাংবাদিক ইলিয়াসের মন্তব্যের প্রতিবাদ গাজীপুরে নতুন ট্রেন ও অসমাপ্ত বিআরটি লেনে বিআরটি বাস সার্ভিসের উদ্বোধন বেনজীর ও মতিউরের বিরুদ্ধে দুদকের ৬ মামলা

সকল