ফের টেকনাফ সীমান্তের কাছে আগুনের কুণ্ডলী গোলার বিকট শব্দ
- হুমায়ুন কবির জুশান উখিয়া (কক্সবাজার)
- ১৯ মে ২০২৪, ০০:০০
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও সশস্ত্রবাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষে মর্টারশেল ও ভারী গোলার শব্দ ভেসে আসছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে। এপার থেকে আগুনের কুণ্ডলী স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার স্থলসীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে গোলার শব্দ শোনা যায় ও আগুনের কুণ্ডলী দেখা গেছে। টেকনাফ পৌরসভার সীমান্তের বাসিন্দা মোহাম্মদ কাদের বলেন, রাতে সীমান্তের ওপারে আগুনের কুণ্ডলী দেখা গেছে। এর আগের দিন বিকট শব্দ শোনা গেছে, গতকাল শনিবারও শোনা গেছে। সীমান্তের গোলার শব্দ বন্ধ হয়নি বলে জানিয়েছেন, টেকনাফ পৌরসসভার দক্ষিণ জালিয়াপাড়ায় বসবাসকারী আবুল আলী। তিনি বলেন, গত শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সীমান্তের মানুষ রাখাইনে বিস্ফোরিত গোলার বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছে। ভোর রাতেও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। জানা গেছে, মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির সাথে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত নাফ নদীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদস্যরা দিনরাত নাফ নদী ও সীমান্ত সড়কে টহল বৃদ্ধি করেছে।
সেটি চলমান এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সব সময় প্রস্তুত সীমান্তরক্ষী বিজিবি ও কোস্টগার্ড । এ দিকে আরাকান আর্মি মংডু টাউনশিপ দখল করে নিয়েছে বলে অসমর্থিত তথ্য পাওয়া গেছে। দেশটির সরকারি সংস্থা বিজিপির সদস্যদের কেউ কেউ বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিচ্ছে। চলতি মে মাসে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের ১২৮ জন বিজিপি সদস্য এপারে আত্মসমর্পণ করেছে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের কাছে। নিরস্ত্র করে তাদের সবাইকে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়। বর্তমানে বিজিপির ১২৮ জনকে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। এর আগে দুই দফায় পালিয়ে আসা মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনাবাহিনীর ৬১৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন বিজিপি সেনা এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জন বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা