ধর্ষণের অভিযোগে মংলায় পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১৪ মে ২০২৪, ০১:৩৬
বাগেরহাটে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) হিরন্ময় সরকারের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী ওই নারী মংলা থানার ওসি, সহকারী পুলিশ সুপার ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হিরন্ময় সরকারকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে বাগেরহাট পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মো: আবুল হাসনাত খান। বাংলা নিউজ
যশোর জেলার বাসিন্দা ওই নারী লিখিত অভিযোগে বলেন, পাঁচ বছর আগে হিরন্ময় সরকারের সাথে তার পরিচয় হয়। ওই সময় হিরন্ময় সরকার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত ছিলেন। নিজের ধর্ম পরিচয় গোপন করে ওই নারীর সাথে ঘনিষ্ঠ হন হিরন্ময় সরকার। গোপন রাখেন তার সংসারের কথাও। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেম হয়। পরে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছ ুদিন পর মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে নানা অজুহাত দেখিয়ে হিরন্ময় ভ্রƒণ নষ্ট করান। এর পর হিরন্ময় ওই নারীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
গত ৯ মে যশোর থেকে এসে মংলার একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান নেন ওই নারী। পরে মংলা থানায় গিয়ে বিষয়টি ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম ও সহকারী পুলিশ সুপার (মংলা সার্কেল) মুশফিকুর রহমান তুষারকে সব খুলে বলেন।
গত শনিবার বিকেলে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ওই নারী। পরে পুলিশ সুপারের আশ্বাসে ওই নারী রোববার (১২ মে) মংলা থেকে যশোর ফিরে যান।
গতকাল সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান বলেন, হিরন্ময় সরকারকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে হিরন্ময় সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হিরন্ময় সরকার বলেন, কয়েক মাস আগে তার সাথে ওই নারীর পরিচয় হয়। ওই নারীর সাথে তার শুধু বন্ধুত্ব ছিল। কোনো শারীরিক বা প্রেমের সম্পর্ক হয়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা