হায়দার আকবর খান রনোর ইন্তেকাল

প্রবীণ রাজনীতিক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনো আর নেই। হাসপাতালে চিকিৎসধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ২টা ৫ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
দীর্ঘ দিন ধরে শ্বাসতন্ত্রের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন এই প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা। গত ৬ মে পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। সেখানেই মারা যান তিনি।
কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম জানান, পরিবারের সদস্যরা দেশের বাইরে থাকায় হায়দার আকবর খান রনোর লাশ শমরিতা হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। স্বজনরা দেশে ফিরলে কাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য হায়দার আকবর রনোর লাশ সিপিবি অফিসে রাখা হবে। সেখান থেকে শোভাযাত্রা করে লাশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত দেশবাসীর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য লাশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে।
বেলা ১টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে হায়দার আকবর রনোর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বনানীতে বাবা ও মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
হায়দার আকবর খান রনোর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট কলকাতায়। তার পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হায়দার আকবর খান রনো ১৯৬২ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের সময় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বে ছিলেন।
রনো ৯০ দশকের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনসহ এরশাদ পতনের গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠক ছিলেন।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাথে দীর্ঘ দিন থাকলেও ২০১০ সালে মতভিন্নতার কারণে এই দলটি ছেড়ে সিপিবিতে যোগ দেন। ২০১২ সালে তাকে সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়। এরপর তিনি সিপিবির উপদেষ্টা হন। রাজনীতিকের পরিচয়ের বাইরে তিনি তাত্ত্বিক ও লেখক। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৩।