১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও বাংলাদেশে বাড়ছে স্বর্ণের দাম

-

স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতা কাটছেই না। টানা আটবার দাম কমার পর গত দুই দিন দাম বেড়েছে। দেশের ইতিহাসে এবার এপ্রিলেই স্বর্ণের দাম সমন্বয় হয়েছে সব চেয়ে বেশি। আটবার কমানো হয়েছে আর বেড়েছে চারবার। জুয়েলার্স সমিতি বলছে আগের সনাতনী পদ্ধতির পরিবর্তে বর্তমান কমিটি স্বর্ণের দাম নির্ধারণে আন্তর্জাতিক বাজারকে অনুসরণ করছে, তাই দামও ওঠানামা করেছে ঘন ঘন। তবে দাম নির্ধারণে আন্তর্জাতিক বাজারের দাম ওঠানামাকে কারণ হিসেবে বললেও বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।
গোল্ড মার্কেটের আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য ওঠানামা দেখার বিশ্বস্ত সাইট গোল্ডপ্রাইস.ওআরজি। সাইটটির তথ্য মতে, গতকাল রোববার আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে ০.০৬ শতাংশ। সেই হিসাবে আজ বাংলাদেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি গত শনিবারের পর রোববারেও স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকায় বিক্রি করা হবে।
স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
গতকাল রোববার সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৫ হাজার ১৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৯০ হাজার ১৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ ৭৪ হাজার ৯৮৯ টাকায় বিক্রি হয়।
বাজুসের দাম নির্ধারণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এবার এপ্রিলেই ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে। এর মাঝে গেলো ৩০ এপ্রিল ২২ ক্যারেট মানের প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ৯ হাজার ৫২০ টাকায় এবং ভরি ১ লাখ ১১ হাজার। যদিও গেলো মাসেই স্বর্ণের দাম উঠেছিল ইতিহাসের সর্বোচ্চে। ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকায়। তবে এই দাম ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং গয়না তৈরির মজুরি ছাড়া।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির দাবি দেশে বছরে স্বর্ণের চাহিদা প্রায় ২০০ টন, এর মাত্র ২৫ শতাংশের জোগান বিদেশ থেকে আসে বৈধ পথে, বাকিটার জোগান আসে দেশের পুরনো স্বর্ণ থেকেই। তবুও আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে গেলো মাসে দাম আটবারই কমাতে হয়েছে। জুয়েলার্স সমিতি দাবি করছে- সম্প্রতি কয়েকবার হ্রাস-বৃদ্ধির পর আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে তেমন পার্থক্য নেই।


আরো সংবাদ



premium cement