আইডিবির সভায় অংশগ্রহণ ও সৌদি প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী
- বাসস
- ০৫ মে ২০২৪, ০০:০০, আপডেট: ০৫ মে ২০২৪, ০০:৩১
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে গত ২৭ থেকে ৩০ এপ্রিল ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) পরিচালনা পর্ষদের বার্ষিক সভা এবং আইডিবি গ্রুপের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে ৮ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন। প্রতিনিধিদল চার দিনের এই আয়োজনে সৌদিভিত্তিক বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর সাথে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় সভায়ও মিলিত হন।
প্রতিনিধিদল এ সময়ে আইডিবি গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ সোলায়মান আল জাসের, সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের (এসএফডি) ডেপুটি চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ফয়সাল এম. আল-খাতানি এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফাইন্যান্সিং করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ইসলামিক কো-অপারেশন ফর ডেভেলপমেন্ট অব দ্যা প্রাইভেট সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত সিইও হানি সালেম সোনবলের সাথে আলাদা আলাদা দ্বিপক্ষীয় সভা করেন।
এসব সভায় বাংলাদেশের জন্য আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধি, ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার কৌশল নির্ধারণ, নমনীয় ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি ও ঋণের সুদ হ্রাসকরণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলাসহ সার্বিক উন্নয়নে বিদ্যমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়। প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো: শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী অংশগ্রহণ করেন।
গত ২৮ এপ্রিল সাইড ইভেন্টে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আইডিবি গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদের সাথে একান্ত বৈঠক করেন। যেখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সাফল্য এবং বিশেষত বাংলাদেশের অর্থনীতির বহুমূখিতা, বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা এবং নীতিগত উদ্যোগগুলোর ওপর আলোচনা হয়।
২৯ এপ্রিল অপর একটি সাইড ইভেন্টে আইডিবি গ্রুপের মেম্বর কান্ট্রি পার্টনারশীপ স্ট্রাটেজি (এমসিপিএস) ফর দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ ২০২৪-২৫ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। দেশের ক্ষেত্রভিত্তিক উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আগামী তিন বছর বাংলাদেশের জন্য আইডিবির অর্থায়নের পরিকল্পনা এখানে বর্ণিত রয়েছে। এদিন বাংলাদেশ সরকার ও ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মধ্যে রুরাল অ্যান্ড প্রি আরবান হাউজিং ফাইন্যান্স প্রোজেক্ট-সেকেন্ড পেজ শীর্ষক পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সর্বমোট ২৭০.৫৭ মিলিয়ন ইউরোর ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়। প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের পল্লী ও শহরতলী এলাকায় বসবাসরত নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য পরিকল্পিত, টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব আবাসন নিশ্চিতকল্পে সাশ্রয়ী গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা