১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের আহ্বান এরদোগানের

-

গাজায় ইসরাইলের হামলা বন্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান। এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু। খবরে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরাইলের হামলা বন্ধ নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার মুসলিম বিশ্বের প্রতি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এরদোগান।
গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আদামা ব্যারোর সাথে ফোনকলে প্রেসিডেন্ট এরদোগান ফিলিস্তিনের ওপর চলমান ইসরাইলি হামলা এবং গাম্বিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ১৫তম ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনের আলোচ্যসূচি নিয়ে আলোচনা করেন বলে তুরস্কের যোগাযোগ অধিদফতর সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে জানিয়েছে।
গাম্বিয়া আজ ৪ ও আগামীকাল ৫ মে রাজধানী বানজুলে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন, শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো কল্যাণকর হবে। তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান সম্মেলনে তুরস্কের প্রতিনিধিত্ব করবেন বলেও জানান তিনি। এরদোগান বলেন, ‘তুরস্ক ও গাম্বিয়ার মধ্যে সম্পর্ক বাড়াতে সামনে যৌথ পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।’

ইসরাইলের সাথে তুরস্কের সব বাণিজ্য স্থগিত
তা ছাড়া বিবিসি জানায়, গাজায় হামলার কারণে ইসরাইলের সাথে সব বাণিজ্য স্থগিত করেছে তুরস্ক। গাজায় মানবিক বিপর্যয় হচ্ছে বলেছে দেশটি। তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, গাজায় বাধাহীনভাবে ও যথেষ্ট ত্রাণ ঢোকার অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত ইসরাইলের সাথে সব বাণিজ্য স্থগিত থাকবে।
গত বছর তুরস্ক ও ইসরাইলের মধ্যে ৭০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট স্বৈরশাসকের মতো আচরণ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সামাজিক মাধ্যম এক্সে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেছেন, ‘তুরস্কের জনগণ, ব্যবসায়ীদের চাহিদার অমর্যাদা করছেন এরদোগান। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তিকেও তিনি উপেক্ষা করছেন।’

ইসরাইল কাটজ আরো বলেন, তিনি তুরস্কের সাথে বাণিজ্যের বিকল্প খুঁজে বের করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। স্থানীয় উৎপাদন ও অন্য দেশ থেকে আমদানির ওপর জোর দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তুরস্ক বলেছে, সব ধরনের পণ্যে বাণিজ্য স্থগিত করেছে তারা। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, গাজায় বাধাহীন ও যথেষ্ট মানবিক ত্রাণ ঢুকতে দেয়ার অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত তুরস্ক কঠোরভাবে এই নতুন নিয়ম মেনে চলবে।
১৯৪৯ সালে তুরস্কই প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়। তবে সাম্প্রতিক কয়েক দশকে তুরস্ক ও ইসরাইলের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ২০১০ সালে ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে তুরস্ক। তুরস্কের একটি জাহাজে চড়ে গাজায় সমুদ্রপথে ইসরাইলের অবরোধ ভাঙার চেষ্টার সময় ইসরাইলি কমান্ডোদের সাথে সংঘর্ষে ১০ জন ফিলিস্তিন সমর্থক তুরস্কের কর্মী নিহত হন। এরপরেই সম্পর্ক ছিন্ন করে দেশটি। ২০১৬ সালে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন হয়। তবে গাজা-ইসরাইল সীমান্তে বিক্ষোভের সময় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের হামলা ও নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই বছর পর দুই দেশই শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৫০০ জন নিহত হয়েছেন। এই হিসাব গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। গত বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও বন্দীদের মুক্তির জন্য দুই পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। হামাসের এই চুক্তিতে সম্মত হওয়া প্রয়োজন বলেন তিনি। মধ্যস্থতাকারীরা এই প্রস্তাবে হামাসের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। চুক্তিতে ৪০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে ৩০ জনের বেশি ইসরাইলি বন্দীর মুক্তির কথা বলা হয়েছে।

রাফায় ইসরাইলি হামলায় ৪ শিশুসহ নিহত ৬
আলজাজিরা জানায়, ইসরাইলি হামলায় রাফায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চারজন শিশুও রয়েছে বলে আলজাজিরার লাইভ নিউজে বলা হয়েছে। একটি আবাসিক ভবনে ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। কোনো পূর্বসতর্কতা ছাড়াই গতকাল মধ্যরাতের পর হামলা চালানো হয়। এটি রাফাহ শহরের উত্তরে ছিল। গোটা এলাকা বোমার আঘাতে কেঁপে ওঠে। আহতদের অ্যাম্বুল্যান্সে করে কুয়েত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গাজার অন্যান্য এলাকায়ও ব্যাপকভাবে হামলা চালানো হয়েছে।
বুরেজ শরণার্থীশিবিরসহ অন্যান্য এলাকায় ৯ জন ফিলিস্তিনি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গাজা শহরের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে জেইতুন এবং এর আশপাশে বোমাবর্ষণ চলছে। সেখানে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আবাসিক বাড়ি ও কৃষিজমি লক্ষ্য করে অবিরাম গোলাবর্ষণ চলাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। চলমান বোমা হামলার মধ্যেও মানবিক পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। শেষ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাফা এবং কারেম আবু সালেম (কেরেম শালোম) ক্রসিং দিয়ে শুধু ১২১টি সাহায্যবাহী ট্রাককে ভূখণ্ডে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। যা গাজার জনসংখ্যার বিপুল চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট নয়।

জয়ের জন্য সব করার হুমকি নেতানিয়াহুর
আলজাজিরা জানায়, দখলদার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু ফের গাজার রাফায় হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সেনাদের স্মরণে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এমন হুমকি দেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, “জয়ের জন্য, আমাদের শত্রুদের হারানোর জন্য যা প্রয়োজন তার সব করব, যার মধ্যে রাফাও রয়েছে।” তিনি আরো বলেছেন, “কাছে এবং দূরে অভিযান চালানো নিয়ে আমাদের মধ্যে মত পার্থক্য ছিল। কিন্তু আলোচনার শেষে আমি একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”
দখলদার ইসরাইলের সাথে হামাসের যুদ্ধবিরতি ও বন্দী মুক্তির আলোচনা চলছে। হামাস জানিয়েছে, তারা ‘ইতিবাচক মনোভাব’ নিয়ে ইসরাইলের নতুন প্রস্তাবটি বিবেচনা করছে। এর মধ্যেই রাফায় নতুন করে হামলার হুমকি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। হামাস জানিয়েছে, ইসরাইল যদি বন্দীদের মুক্তি চায় তাহলে গাজায় যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। যুদ্ধ বন্ধ না করলে তারা কোনো ধরনের চুক্তিতে রাজি হবে না।
গত সপ্তাহে দুই ইসরাইলি কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদবিষয়ক ওয়েবসাইট এক্সিউসকে জানান, তারা ধীরে ধীরে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করে দিতে চান। এরপর ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহাভ গ্যালান্ট জানান, যদি হামাস বন্দীমুক্তি চুক্তি করে তাহলে রাফায় তারা কোনো ধরনের হামলা চালাবেন না। তবে ইসরাইলি উগ্রপন্থী অর্থমন্ত্রী বাজালেল স্মোরিচ এবং জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন গিভির হুমকি দেন যদি রাফায় হামলা না চালানো হয় তাহলে তারা নেতানিয়াহুর জোট থেকে সরে আসবেন এবং সরকার ভেঙে দেবেন। তাদের হুমকির পরই নেতানিয়াহু জানান, বন্দী চুক্তি হোক আর না হোক রাফাহতে তারা হামলা চালাবেনই।

ইসরাইলবিরোধী যুদ্ধে বাহরাইনের আল-আশতার ব্রিগেড
পার্সটুডে জানায়, গাজাবাসীর সমর্থনে ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রথমবারের মতো যোগ দিয়েছে বাহরাইনের একটি প্রতিরোধ গ্রুপ। এটি বলেছে, তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলীয় এইলাত বন্দরে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে। গ্রুপটি নিজেকে ‘আল-আশতার ব্রিগেড’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ড্রোন ব্যবহার করে গত ২৭ এপ্রিল ওই হামলা চালিয়েছে। আল-আশতার ব্রিগেড বলেছে, ‘ট্রাকনেট’ নামক যে কোম্পানি এইলাত সমুদ্র বন্দর থেকে সড়কপথে পণ্য পরিবহন করে ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয় সেটির সদর দফতরে হামলা চালানো হয়েছে। প্রতিরোধ গ্রুপটি তার বিবৃতিতে আরো বলেছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি গণহত্যার শিকার গাজাবাসী ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা এ অভিযানটি চালিয়েছে। বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়েছে, দখলদার ইহুদিবাদীরা গাজায় তাদের গণহত্যা বন্ধ না করা পর্যন্ত গাজাবাসীর সমর্থনে আল-আশতার ব্রিগেড এ অভিযান চালিয়ে যাবে।
গত বছরের অক্টোবরের গোড়ার দিক থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো বিশেষ করে ইয়েমেন, ইরাক ও লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযান চালিয়ে আসছিল। এবার তাদের সাথে যোগ দিল বাহরাইনের প্রতিরোধ গ্রুপ আল-আশতার ব্রিগেড। ইরাকের ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ফোর্স সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে আল-আরকাব ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরাইলের বির শেবায় আব্রাহাম গোয়েন্দা সদরদফতরে এবং তেল আবিবে মোসাদের গ্লিলট গোয়েন্দা কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া মৃত সাগরেও একটি ইসরাইলি টার্গেটে আত্মঘাতী ড্রোন হামলা চালিয়েছে ওই ফ্রন্ট।

মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা নেই হামাসের
আলজাজিরা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা হামাসের নেই। অর্থাৎ এরকম কোনো ইঙ্গিত তিনি পাননি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, গাজায় যুদ্ধ চলছে। এখানে অনেক কিছুই হতে পারে বা অনেক কিছুই ঘটতে পারে। বর্তমানে গাজা উপকূলে সাময়িকভাবে জেটি নির্মাণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা কাজ করছে। মূলত গাজায় ত্রাণসহায়তা সরবরাহ করতেই এমন জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে এই নির্মাণকাজ চলাকালীন সেনাদের গাজা ভূখণ্ডে পা রাখতে নিষেধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। সেখানে দীর্ঘদিনের সঙ্ঘাতের কারণে খাদ্যসঙ্কট তীব্র হয়ে উঠেছে। জাতিসঙ্ঘের মানবিক সমন্বয়বিষয়ক কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, ইসরাইল গত এপ্রিলে গাজার উত্তরে সহায়তা মিশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়েছে। তবে ইসরাইল বরাবরই বিষয়গুলো অস্বীকার করে আসছে। সংস্থাটি বলছে, নতুন করে সহায়তা কার্যক্রমের অনুমতি দেয়া হলেও ধারাবাহিকতা না থাকলে ছয় মাসের বেশ সময় ধরে চলা এই খাদ্যসঙ্কট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। সেখানে এখন যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে ত্রাণ কার্যক্রম আরো বাড়াতে হবে এবং তা চলমান রাখতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশে মুসলিম কৃষকের ধানে আগুনকে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বলে প্রচার শিক্ষানুরাগী এস এম খলিলুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ সিরিয়ার নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র! ইতিহাসের প্রথম : ৪০০ বিলিয়ন ডলারের মালিক মাস্ক ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ সৌদি আরবে সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর সচল ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ ভারতীয় মিডিয়াতে ইসকনের ওপর হামলার খবর ভুয়া : সিএ প্রেস উইং ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মির্জা ফখরুল টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা ঢাকা সফর নিয়ে ভারতের এমপিদের ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন দুর্নীতি তদন্তে অগ্রাধিকার পাবে

সকল