বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নতিতে বড় সুবিধাভোগী উত্তর-পূর্ব ভারত : এস জয়শঙ্কর
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ০১ মে ২০২৪, ০২:২৬
ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের নাটকীয় উন্নতি হয়েছে বলে উল্লেখ করে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, সম্পর্কের এই নাটকীয় উন্নতিতে উত্তর-পূর্ব ভারত বড় সুবিধাভোগী।
দিল্লির কিরোরি মাল কলেজে গত সোমবার ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং জাপানের সাথে উত্তর-পূর্ব ভারতের একীকরণ : অর্থনৈতিক বন্ধন এবং পরিবেশগত সংরক্ষণের ভারসাম্য’ বিষয়ক একটি অধিবেশনে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন। জয়শঙ্করের মতে, ভারত বিভাজন উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রাকৃতিক সংযোগকে ভেঙে দিয়েছিল। তবে গত এক দশকে কেন্দ্রীয় সরকার নানা প্রচেষ্টায় ওই এলাকার উন্নয়ন ঘটিয়েছে। আমরা যখন ২০১৫ সালে বাংলাদেশের সাথে স্থলসীমানা চুক্তি করি, তখন উভয় দেশের মধ্যে আস্থা ও সম্পর্কের নতুন দিক খুলে যায়। এরপর থেকে সন্ত্রাসবাদ এবং অস্থিতিশীলতা মোকাবেলাসহ অন্যান্য অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে।
জয়শঙ্কর বলেন, ২০১৫ সাল থেকে আমরা যা দেখেছি তা হলো সম্পর্কের পুনর্নির্মাণ। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ভারতের সাথে যুক্ত সব রেল ও সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তাই আমাদের প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ ছিল বিচ্ছিন্ন এই সংযোগকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। চট্টগ্রাম ও মংলার মতো বাংলাদেশের বন্দরগুলো ভারতের ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া এই অঞ্চলে, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বের বাণিজ্যকে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করেছে। ভৌগোলিকভাবে দেখলে মংলা বা চট্টগ্রামের মতো বন্দরগুলো ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রাকৃতিক বন্দর হতো। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে ওই বন্দরগুলোতে আমরা প্রবেশাধিকার পায়নি। আজ যখন আমরা উত্তর-পূর্বের উন্মোচিত সম্ভাবনার দিকে তাকাই, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিশাল উন্নতি সেখানে আরো অনেক সুযোগের দ্বার উন্মোচন করেছে।
তিনি বলেন, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প যাতে মোদি সরকার প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে, তা হলো ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিপক্ষীয় মহাসড়ক। এটি অবশেষে ভিয়েতনামের সাথে ভারতের উত্তর-পূর্বকে সংযুক্ত করবে। যদি এই সব পদক্ষেপ ফলপ্রসূ হয়, অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব মিয়ানমারের মধ্য দিয়ে পূর্ব দিকে যাওয়া যায়, একইসাথে বাংলাদেশের দক্ষিণ দিকে সংযোগ পাওয়া যায়, তাহলে ভারতের সমুদ্রতীরসহ সমগ্র পূর্ব ভারত আরো নিবিড়ভাবে বিকশিত হবে। এটিই মোদি সরকারের উদ্দেশ্য।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা