বিদেশে ১৮ হাজার নারী শ্রমিকের বেশির ভাগই গেছে সৌদি আরবে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:২৬
চলতি বছর প্রথম তিন মাসে বিদেশগামী নারী শ্রমিকদের মধ্য অধিকাংশই পাড়ি জমিয়েছেন মধ্যেপ্রাচ্যের শ্রমবান্ধব দেশ সৌদি আরব ও জর্ডানে। বাকি অল্প সংখ্যক কর্মী গিয়েছেন ইউকে, কানাডা, ইতালি, মরিশাসসহ বিভিন্ন দেশে।
অভিযোগ রয়েছে, নারী কর্মীদের বহির্গমন ছাড়পত্র শতভাগ অনলাইনে আবেদন জমা হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস রিক্রুটিং এজেন্সির পক্ষ থেকে জনশক্তি ব্যুরোর সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা পড়ছে না। এর ফলে বিদেশগামী নারী কর্মীরা বিদেশে গিয়ে নানা ধরনের সমস্যার মধ্য পড়ছেন।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে বিদেশে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্য ১৮ হাজার ১৫৯ জন নারী পাড়ি জমিয়েছেন। এরমধ্যে সৌদি আরবেই গেছেন ১১ হাজার ৭৬৬ জন। এর পরের অবস্থানে আছে জর্ডান। এই দেশটিতে গেছেন ৪ হাজার ৩৩৩ জন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী তৃতীয় দেশের তালিকায় আছে কাতার। তিন মাসে গিয়েছে ৪৭০ নারী। ৪৫৮ জন নারী গিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। বাকি অন্যান্য দেশের তালিকায় রয়েছে ৯৪ জনের মতো।
বিদেশে নারী কর্মীদের মধ্য বেশির ভাগ সৌদি আরব যাচ্ছেন কেন এ বিষয়ে বিএমইটির একজন কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, কয়েক দিন আগেও সৌদি আরব যেতে সত্যায়ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এখন এই সত্যায়ন নিয়ম বাদ দেয়া হয়েছে। তবে বিএমইটিতে বিদেশগামী নারী শ্রমিকরা সঠিক ট্রেনিং ও ভাষা শিখে সার্টিফিকেট জমা দিয়ে যাচ্ছেন কি-না এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষের কঠোর মনিটরিং করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। নতুবা বিদেশে গিয়ে নারী কর্মীরা যেসব সমস্যায় পড়ছেন তার বেশির ভাগ ভাষা না জানার কারণে বলে তাদের অভিযোগের তদন্তে পাওয়া গেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা