১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

আরো ৩ দিনের তাপ সতর্কতা খরতাপে কাহিল জনজীবন

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৬ : পাঁচ স্থানে ৮ জনের মৃত্যু
দুঃসহ খরায় শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন নিদারুণ কষ্টে। একটু প্রশান্তি পেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি বটগাছের ছায়ায় ঝিমুচ্ছেন কয়েকজন রিকশা শ্রমিক : নাসিম সিকদার -


খরতাপে কাহিল জনজীবন, অসহনীয় গরম সর্বত্র। বিপর্যস্ত অবস্থা প্রাণীকূলের। প্রচণ্ড ঘাম অস্বস্তি আরো বাড়িয়েছে। আজ মঙ্গলবার থেকে আরো তিন দিনের তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। বাতাসে রয়েছে জলীয় বাষ্পের আধিক্য, সে কারণে ঘেমে নেয়ে যাওয়ার অবস্থা হচ্ছে। আজো সারা দেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছে।
তপ্তরোদে রাস্তাও ফাঁকা থাকে বেশ কয়েক দিন যাবত। যদিও সারা দেশে সার্বিক তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে তবু গরমজনিত অস্বস্তি সামান্যও কমেনি। শ্রমজীবী মানুষের কষ্টের সীমা নেই। গরমের কারণে কায়িক পরিশ্রম করা কঠিন হয়ে গেছে। শুধু যে তপ্ত রোদে গেলে ঘাম ঝরছে তাই নয়, ঘরের ভেতরের অবস্থাও একই রকমের। শিশুরা পানি ছাড়া আর কিছু খেতে চাচ্ছে না। গরমের অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে ঠাণ্ডাজাতীয় পানীয় পান করে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ছে, বিশেষ করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। দিনের বেলা রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যাও কম। ঢাকা শহরে দিনের বেলা রিকশা চলাচল থাকে না বললেই চলে। রাজধানীতে গতকাল বিকেলে রিকশা চালাতে চালাতে অসুস্থ হয়ে এক চালকের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সেই দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতেই রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, একই সাথে খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় একই রকম সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকা শহরেও আগের কয়েক দিনের চেয়ে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কম রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত স্থানগুলোর অন্যতম রাজশাহী, পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় আগের মতোই আছে। গতকাল রাজশাহীতে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঈশ্বরদীতে ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তবে খুলনা বিভাগের সর্বত্র গতকাল তুলনামূলকভাবে বেশি তাপমাত্রা ছিল গতকাল। তবে তীব্র তাপ প্রবাহের এলাকা বেড়েছে। চুয়াডাঙ্গায় গত দুদিনে হিটস্ট্রোক ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরে প্রচণ্ড গরমে টেম্পোর ভেতরে এক যাত্রী মারা গেছেন। দিনাজপুরে হিটস্ট্রোকে দুজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাগুলোর উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এসব এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশে এবং ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা নতুন এলাকায় বিস্তার লাভ করতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। বাংলাদেশের অন্য কোথাও বৃষ্টিপাত না হলেও গতকাল সিলেটে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে এবং গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

চুয়াডাঙ্গায় ২থদিনে ৩ মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, চুয়াডাঙ্গায় গতকাল কিছুটা তাপমাত্রা কমলেও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে এই জেলায়। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৯ শতাংশ। এ দিকে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাবদাহে গত দু’দিনে হিটস্ট্রোক ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ তিনজন মারা গেছেন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অনেকেই।
গত রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নির্মাণশ্রমিক সিদ্দীক আলীর (৪৫)।থসিদ্দিক দামুড়হুদা উপজেলার পুরনো বাস্তপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে। শনিবার বেলা ৩টার দিকে তীব্র তাপমাত্রায় হিটস্ট্রোক দামুড়হুদা উপজেলা সদরে মর্জিনা খাতুন (৬০) নামে এক নারী মারা যান। নিহত মর্জিনা খাতুন উপজেলা সদরের ইউনিয়ন পরিষদ পাড়ার আজিম উদ্দীনের স্ত্রী। এর আগে শনিবার সকাল ৭টার দিকে মাঠে কৃষিকাজ করতে গিয়ে প্রচণ্ড গরমে স্ট্রোক করেন সীমান্তবর্তী ঠাকুরপুর গ্রামের জাকির হোসেন (৩৬)। হাসপাতালে নেয়ার পথে সকাল ৮টার দিকে তিনি মারা যান।

দিনাজপুরে ২ জনের মৃত্যু
দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, তাপপ্রবাহে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে হিটস্ট্রোকে দু’জন মারা গেছেন। তারা হলেন- পৌর এলাকার চকসাবাজপুর গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোতাহার আলী (৫৮) এবং অপরজন যশোর কোতয়ালি থানা এলাকার রাজারহাট গ্রামের ট্রাকচালক বিল্লাল হোসেন (৫২)। গত রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মশিউর রহমান।
নিহত মোতাহার আলীর ছেলে সানজিদ আহম্মেদ সুইট বলেন, হঠাৎ করে শনিবার আমার বাবা জ্বরে আক্রান্ত হন। বাসাতে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট নেয়ার সময় বিকেলে বাবা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ট্রাক মালিক সোহরাব হোসেন বলেন, যশোর থেকে পাথরের ডাস্টের ভাড়া আনতে বড়পুকুরিয়া এলাকায় যান ট্রাকচালক বিল্লাল হোসেন। শনিবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মশিউর রহমান বলেন, স্থানীয়রা বিল্লাল হোসেনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তার পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। এখানে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে। সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোতাহার আলীরও মৃত্যু একই কারণে হয়েছে।

চট্টগ্রামে টেম্পোর ভেতরে যাত্রীর মৃত্যু
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম নগরের কর্নেলহাট এলাকায় প্রচণ্ড গরমে যাত্রীবাহী টেম্পোর ভেতরে শুকুর আলী নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে মৃত্যুর কারণ। গতকাল সোমবার সকালে কর্নেল হাট শ্যামলী বাস কাউন্টারের সামনে টেম্পোর ভেতরে তার মৃত্যু হয়।
মারা যাওয়া শুকুর আলী (২৫) লক্ষ্মীপুর জেলার দালাল বাজারের হাজীবাড়ির মানিক মিস্ত্রির ছেলে। বর্তমানে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জলিলের সিডিএ এলাকার বুলু মেম্বারের ভাড়া ঘরে বসবাস করতেন। কর্নেলহাট শ্যামলী বাস কাউন্টারের বাবুল আহমদ জানান, টেম্পোতে করে ছেলেটি সিটি গেটের দিকে কোথাও যাচ্ছিল। সে গরমে নাকি হাঁসফাঁস করছিল। কাউন্টারের সামনে গাড়ি ব্রেক করে নামিয়ে তাকে শুইয়ে দেয়। সেখানে সাথে সাথে সে মারা যায়।
পাহাড়তলী থানার ওসি মোহাম্মদ কেপায়েত উল্লাহ বলেন, আমরা ফেসবুকে মারা যাওয়া যুবকের ছবি পোস্ট করার পর তার মামা আসেন। তিনি লাশটি শনাক্ত করেন।

গফরগাঁওয়ে একজনের মৃত্যু
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা জানান, গফরগাঁওয়ে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ফজলুল হক ঢালী (৫৬) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় পর উপজেলার পাগলা থানাধীন লংগাইর ইউনিয়নের বাগবেড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফজলুল হক ঢালী ওই এলাকার আফাজ উদ্দিন ঢালীর ছেলে। স্থানীয় লংগাইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল আমিন বিপ্লব ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, ফজলুল হক ঢালী তীব্র তাপদহের মধ্যে রোববার বিকেলে স্থানীয় বাজার থেকে ফিরে বাথরুমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। দীর্ঘ সময় অবস্থান করার পরও বের না হওয়ায় তার মা উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে জরুরি বিভাগের ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

শিবালয়ে অতিষ্ঠ মানুষ
শিবালয় (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, তাপদাহে অতিষ্ঠ মানিকগঞ্জের জনজীবন। নতুন করে আরো তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারির পর শঙ্কিত হয়ে পড়েছে জনগণ। বিশেষ করে হতদরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ ক্রমেই কর্মহীন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি আগুন ঝরা বাতাসে নারী শিশুসহ কর্মজীবী মানুষ দিন দিন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে শরণাপন্ন হচ্ছে। গতকাল সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহন ও যাত্রী চলাচল শূন্যের কোটায় নেমে আসে। বেশির ভাগ দূরপাল্লার কোচ ও লোকাল গাড়ি যাত্রীর অভাবে পার্কিং করে রাখা হয়। মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন বলেন, প্রচণ্ড গরমে শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়া শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। ইমার্জেন্সি বিভাগের দৈনিক শতাধিক রোগী ভর্তি হচ্ছে।

সাটুরিয়ায় জনজীবনে হাঁসফাঁস
সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, কয়েক দিন ধরেই তীব্র গরমে তাপমাত্রার পারদ ৪১ থেকে ৪২ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। গতকাল দুপুরের দিকে হঠাৎ সাটুরিয়ায় গরমের তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। এতে জনজীবনে হাঁসফাঁস শুরু হয়। উপজেলা হাসপাতালে শিশুসহ নানা বয়সী রোগীর চাপ বেড়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। গরম থেকে বাঁচতে মানুষ বারবার গোসল করছে। ফসলের মাঠ শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। এ দিকে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
উপজেলার ছনকা এলাকার কৃষক দবির উদ্দিন বলেন, অতীতের চেয়ে এবার বেশি তাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষ। ধানক্ষেতে বারবার সেচ দিতে হচ্ছে। নতুন করে ভুট্টার আবাদ করা যাচ্ছে না।

বদলগাছীতে পুড়ছে কৃষকের ফসল
বদলগাছী (নওগাঁ) সংবাদদাতা জানান, বদলগাছীতে দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে বোরো ধানসহ মাঠেই পুড়ছে কৃষকদের ক্ষেতের ফসল। ধান, পাট,পটোলসহ বিভিন্ন ফসল মাঠেই নষ্ট হচ্ছে। কৃষকেরা বলছেন আমরা ধান, পাট,পটোলসহ বিভিন্ন ফল-ফসলের ওপর নির্ভরশীল। কিন্ত দীর্ঘদিন ধরে অনাবৃষ্টির কারণে আমাদের কপাল পুড়ছে। খরা ও তাপদাহের কারণে গভীর নলকূপসহ বাসাবাড়ির মোটরগুলোতেই পানি কম উঠছে। ফলে প্রয়োজনীয় খাবার পানি পাওয়াও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ঝরে যাচ্ছে গাছের আম, লিচু, কলার বোঁটা, শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার সাবাব ফারহান বলেন, তাপদাহে আম, লিচু, কলা ও বোরো ধানের গোড়ার সেচ দিতে হবে। আমরা কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

যশোরে রেকর্ড তাপমাত্রা
যশোর অফিস জানায়, সোমবার যশোরে ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে রাস্তায় বের হওয়ার উপায় নেই। অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে যাচ্ছে না। শহরে যানবাহনের সংখ্যাও তুলনামূলক কম। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রিকশা-ইজিবাইক চলাচল কমে যাচ্ছে। হাসপাতালে ব্যাপক রোগীর চাপ বেড়েছে। সবমিলিয়ে মানুষের মধ্যে নাভিশ্বাস তৈরি হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement