কাতারের আমির আসছেন আজ
সই হবে ৬ চুক্তি ৫ এমওইউ- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
বাংলাদেশের জ্বালানি আমদানির গুরুত্বপূর্ণ উৎস কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুই দিনের সফরে আজ ঢাকা আসছেন। তার এই সফরে মোট ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। বাংলাদেশে কাতারের আমিরের সফরকে ‘বিনিয়োগের সম্ভাবনা’ হিসেবে দেখছে সরকার।
সফরের ওপর আলোকপাত করে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এই সফরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ কাতার হচ্ছে পেট্রোলিয়াম সমৃদ্ধ সর্বোচ্চ গড় মাথাপিছু আয়ের দেশ। শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মধ্যস্থতার স্থান হিসাবে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ কাতার। বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজারও কাতার। সেখানে প্রায় চার লাখ বাংলাদেশী কাজ করছে।
স্বাধীনতার পর থেকেই কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাতার বঙ্গবন্ধুর আমলে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী অন্যতম মুসলিম রাষ্ট্র। ২০২৩ সালে কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করছেন। সম্প্রতি কাতারের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ের কূটনৈতিক যোগাযোগ এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পরিধি বাড়ানোর লক্ষ্যে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জ্বালানি, বিমান চলাচল, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমিরের সফরে বাংলাদেশে কাতারের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হবে। আমাদের সিরামিক আছে, আমাদের গার্মেন্ট প্রোডাক্ট আছে, আমদের আরো অনেক রফতানি পণ্য রয়েছে। এ ছাড়া আমাদের ওষুধও আছে। কাতারকে এসব পণ্যে আমদানি বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হবে। আমরা বিনিয়োগও চাইব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কাতারের আমিরের সফরে দ্বৈত কর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা চুক্তি, সাগর পথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি, পারস্পরিক উন্নয়ন ও সুরক্ষা চুক্তি, বন্দিবিনিময় চুক্তি এবং যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি হবে। এ ছাড়া শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা খতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হবে। হাছান মাহমুদ জানান, রাজধানীর মিরপুরের কালশি এলাকায় বালুর মাঠের নির্মিতব্য পার্ক এবং মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশি উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি আমিরের নামে করা হবে। আমির এগুলো উদ্বোধন করবেন।
কর্মসূচি অনুযায়ী, কাতারের আমিরকে বহনকারী বিশেষ বিমান আজ দুপুরে হজরত শাহজালাল রহ. আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে। রাষ্ট্রপতি মুহাম্মদ সাহাবুদ্দীন বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন। পরদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কাতারের আমিরের প্রথমে একান্ত ও পরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। এরপর চুক্তি ও এমওইউগুলো সই হবে। এ দিন দুপুরে কাতারের আমির বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং তার সম্মানে দেয়া মাধ্যহ্নভোজে যোগ দেবেন। সন্ধ্যায় তিনি ঢাকা ছেড়ে যাবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা