১৫০ আসনের বেশি পাবে না বিজেপি মন্তব্য রাহুলের
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৩৫
আগামীকাল শুক্রবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ। গতকাল বুধবার শেষ হয়েছে প্রথম ধাপের প্রচারণা।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন, এবারে বিজেপি ও এর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট লোকসভা নির্বাচনে ১৫০ আসনের বেশি পাবে না। গতকাল বুধবার উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
রাহুল বলেন, আমি আসনের ব্যাপারে কোনো সমীক্ষা বা অনুমানে বিশ্বাসী নই। তবে ১৫-২০ দিন আগেও আমি ভাবছিলাম বিজেপি ১৮০ আসন পেতে পারে। কিন্তু এখন আমার মনে হচ্ছে ওরা ১৫০টির মতো আসনে জিততে পারে। আমরা প্রতিটা রাজ্য থেকে যে রিপোর্ট পাচ্ছি, তাতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে এবং অবশ্যই উত্তর প্রদেশে আমাদের শক্তিশালী জোট রয়েছে। এখানে আমরা খুবই ভালো ফল করব।
বিজেপি বারবার দাবি করছে, এনডিএ জোট ৪০০টির বেশি আসন পাবে। কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এনআইএকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকার যথেষ্ট ভাইরাল হয়েছে। সে বিষয়ে রাহুল বলেছেন, ওটি একটি স্ক্রিপ্টেড সাক্ষাৎকার ছিল। আমি মনে করি ওটা একটি ফ্লপ শো। প্রধানমন্ত্রী খোদ নিজে একজন ‘দুর্নীতির চ্যাম্পিয়ন’। গোটা দেশ থেকে কীভাবে চাঁদাবাজি এবং তোলাবাজি করেছে, তা সবাই জানে। প্রধানমন্ত্রী হলেন ‘ভ্রষ্টাচারীদের চ্যাম্পিয়ন’। গত লোকসভা নির্বাচনে রাহুল দু’টি আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। প্রথমটি উত্তর প্রদেশের আমেঠী এবং অপরটি কেরালার ওয়েনাড়। গত নির্বাচনে আমেঠী থেকে বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে পরাজিত হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সেটা ছিল রাহুলের কাছে বড় ধাক্কা। পরে ওয়েনাড় থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। সেখান থেকে জিতে সংসদ সদস্য হন তিনি। এবারে দেশটির জাতীয় কংগ্রেস রাহুল গান্ধীকে ওয়েনাড় আসন থেকে প্রার্থী করেছে। তবে কংগ্রেস এখনো ধোঁয়াশা রেখেছে রাহুলের আমেঠী আসনের বিষয়ে।
এ বিষয়ে রাহুলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, আমি জানি এটা বিজেপির করা প্রশ্ন। আমি শুধু বলতে পারি, আমার ওপর দলের যা নির্দেশ আসবে আমি সেই মতো চলব।
কংগ্রেস নেতা আরো বলেন, এবারের নির্বাচন আদর্শের নির্বাচন। এই নির্বাচনে আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ) এবং বিজেপি দুই তরফেই সংবিধান ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। অন্য দিকে ইন্ডিয়া জোট এবং কংগ্রেস সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষা করার চেষ্টা করছে। এবারে নির্বাচনে দুই-তিনটি বড় ইস্যু আছে। এর মধ্যে বেকারত্ব সবচেয়ে বড় এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম ইস্যু ভারতের মুদ্রাস্ফীতি। কিন্তু বিজেপি এই নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। প্রধানমন্ত্রী বা বিজেপি কেউই বিষয়টি নিয়ে কথা বলছে না।
পশ্চিমবঙ্গে মমতার নেতৃত্বে তৃণমূল দল ইন্ডিয়া জোটের বিপরীতে হেঁটেছে। রাজ্যটিতে কারো সাথে আসন সমঝোতা করেননি তৃণমূল নেত্রী মমতা। কিন্তু উত্তর প্রদেশে ইন্ডিয়া জোট বহাল রয়েছে। সেখানে জোটের পক্ষ থেকে কংগ্রেস ১৭ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। ওই রাজ্যে বিজেপির পরে শক্তিশালী দল সমাজবাদী পার্টি এবং অন্যান্য। ইন্ডিয়া জোটের সহযোগীরা ৬৩ আসনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে। এতে রাহুলের অভিমত, উত্তর প্রদেশের লোকসভার ৮০ আসন থেকেই বিরোধীরা জয় পাবেন।
ভারতের মোট ৫৪৩ আসনের এবারের লোকসভা নির্বাচন হবে সাত ধাপে। প্রথম ধাপের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল। শেষ হবে ১ জুন। ফল ঘোষণা ৪ জুন। ১৯ এপ্রিল ভোট গ্রহণ হবে দেশটির অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, তামিলনাড়ু, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লাক্ষাদ্বীপ, পদুচেরি, উত্তরাখন্ড, রাজস্থান, ত্রিপুরা, মনিপুর, আসাম, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, জম্মু-কাশ্মির, বিহার, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ। তবে পশ্চিমবঙ্গে ১৯ এপ্রিল ভোট গ্রহণ হবে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার আসনে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা