হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৫
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিন দিন চিকিৎসার পর গত রাতে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
হাসপাতাল থেকে রাত ৮টায় গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় পৌঁছান তিনি। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তে ম্যাডাম বাসায় এসেছেন। বাসায় বোর্ডের চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলবে।
গত ৩০ মার্চ গভীর রাতে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েলে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রেখে চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা সেবা দেন।
হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনে বিএনপি চেয়ারপারসন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ১৩ মার্চ এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এক দিন সেখানে থেকে পরদিন তিনি বাসায় ফেরেন। এর আগে গত বছরের ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন পাঁচ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত ১১ জানুয়ারি গুলশানের বাসায় ফেরেন বিএনপির চেয়ারপারসন। ওই সময়ে গত বছরের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের রক্তনালীতে অস্ত্রোপচার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে তার রক্তনালীতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তার অসুস্থতা বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে। করোনা মহামারীর সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান। সবশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। গত বছরের ২৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হাসপাতালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাংলাদেশে আসেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য। তাদের চিকিৎসা শুরুর পরই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। এর পর থেকে কিছু দিন বিরতি দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভার কেয়ার হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে তাকে।
৭৮ বয়েসী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি ও ফুসফুস জটিলতাসহ নানা রোগে ভোগছেন।
সরকার খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। তবে চিকিৎসার জন্য তার বিদেশে যেতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা