তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে বিরোধীদের জয়
পরাজয় মেনে ত্রুটি-বিচ্যুতি শুধরে নেয়ার কথা বললেন এরদোগান- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৪
তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে প্রধান শহর ইস্তাম্বুল ও রাজধানী আঙ্কারায় ঐতিহাসিক বিজয় দাবি করেছে প্রধান বিরোধী দল। রোববার রাতে প্রাথমিক ফলাফলে দ্বিতীয়বারের মতো ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন একরাম ইমামোগলু। এরদোগানের ক্ষমতাসীন একে পার্র্র্টির প্রার্থীকে ১০ লাখের বেশি ভোটে পরাজিত করার দাবি করেছেন তিনি। বিবিসি।
দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় পরাজয়ের মুখোমুখি হলো প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান এবং তার জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টি। রোববার ইস্তাম্বুলে ৯৫ শতাংশের বেশি ব্যালট বাক্স গণনার পর রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) মেয়র একরাম ইমামোগলু বলেছেন, যারা জাতির বার্তা বোঝেন না, তারাই শেষে হেরে যাবেন। রোববার রাতে হাজার হাজার সমর্থকের উদ্দেশে দেয়া এক বক্তৃতায় সাবেক ব্যবসায়ী ইমামোগলু বলেন, ইস্তাম্বুলের ১৬ লাখ মানুষ বর্তমান প্রেসিডেন্টের প্রতি একটি বার্তা পাঠিয়েছেন।
২০১৯ সালের স্থানীয় নির্বাচনে ইস্তাম্বুলের মেয়র পদে প্রথম বারের মতো বিজয়ী হন ইমামোগলু। এবারের নির্বাচনে ইস্তাম্বুলে ইমামোগলুর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন একে পার্টির প্রার্থী সাবেক পরিবেশমন্ত্রী মুরাত কুরুম। দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হওয়ার ফলে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমামোগলু বিরোধী দলের প্রার্থী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এরদোগানের নিজের শহর ইস্তাম্বুল। এক কোটি ৬০ লাখ জনসংখ্যার এ শহরেই জন্ম ও বেড়ে উঠেছেন ৭০ বছর বয়সী এ তুর্কি নেতা। ১৯৯৪ সালে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ শহরটির মেয়র নির্বাচিত হয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন তিনি। এদিকে, আঙ্কারায় সিএইচপির মেয়র মানসুর ইয়াভাস তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে হারানোর দাবি করেছেন। ফলাফলকে দেশের শাসকদের জন্য এক স্পষ্ট বার্তা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তুরস্কের তৃতীয় বড় শহর ইজমিরেও এগিয়ে আছে সিএইচপি। ফলাফলকে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে আনন্দ উদযাপনে ইস্তাম্বুলে জড়ো হয়েছিলেন বিরোধীদলীয় সমর্থকরা। দেশটির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৩৬টিতে এগিয়ে আছে সিএইচপি। এর অনেকগুলোই একে পার্টির শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বারান্দা থেকে দেয়া ভাষণে পরাজয় স্বীকার করে নেন এরদোগান। তিনি বলেন, দেশজুড়ে প্রভাবশালী অবস্থান হারিয়েছে তার দল। তবে নিজেদের ভুল ও ত্রুটি-বিচ্যুতি শুধরে নেয়ার কথা বলেন তিনি। তুরস্কে ২০০২ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা