তুরস্কে স্থানীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণ
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
তুরস্কে গতকাল রোববার স্থানীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় (বাংলাদেশ সময় ১১টা) ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সিটি ও মিউনিসিপ্যাল নির্বাচন হলেও এ ভোটাভুটিকে দেখা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগানের জন্য কাঠিন পরীক্ষা হিসেবে। আলজাজিরা।
পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গত বছর তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হন এরদোগান। তিনি প্রেসিডেন্ট থাকলেও ২০১৯ সালের স্থানীয় নির্বাচনে তার দল একে পার্টির হাতছাড়া হয়ে গেছে রাজধানী আঙ্কারা ও বড় শহর ইস্তাম্বুল। এতে শহর দু’টির প্রশাসনিক ক্ষমতাও বেরিয়ে যায় প্রেসিডেন্ট এরদোগানের হাত থেকে। এবার শহর দু’টিতে জিতে প্রশাসনিক ক্ষমতা ফিরে পাওয়াই চ্যালেঞ্জ এরদোগানের জন্য।
৭০ বছর বয়সী তুর্কি নেতা এরদোগান এক কোটি ৬০ লাখ জনসংখ্যার শহর ইস্তাম্বুলেই জন্মগ্রহণ ও বেড়ে উঠেছেন। ১৯৯৪ সালে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ শহরটির মেয়রও হয়েছিলেন এরদোগান। এরপর ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি ও তার দলের অধীনেই ছিল ইস্তাম্বুল।
২০১৯ সালের নির্বাচনে এরদোগানের প্রার্থী ও তৎকালীন মেয়র বিনালি ইলদিরিমকে হারিয়ে মেয়র হন বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) প্রার্থী একরাম ইমামোগলু। এবার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রত্যাশী ইমামোগলুর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন এরদোগানের দল একেপির প্রার্থী সাবেক পরিবেশমন্ত্রী মুরাত কুরুম। আগের বার তুর্কি পার্লামেন্টে তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল কুর্দিপন্থী ডিইএম পার্টি এমামোগলুকে সমর্থন দিয়েছিল। এবার তারা নিজেরাই প্রার্থী দিয়েছে। তাই এটিকে সুযোগ হিসেবে দেখছে একেপি।
এ দিকে আঙ্কারায় বর্তমান মেয়রও এরদোগান বিরোধী দলের। দ্বিতীয় মেয়াদের প্রত্যাশী মেয়র মনসুর ইয়াভাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে একে পার্টির প্রার্থী তুরগুত আলতিনো। শহর দু’টির নেতৃত্বে ফেরাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ক্ষমতাসীন একে পার্টি। এ ভোটকে দেখা হচ্ছে এরদোগানের জনপ্রিয়তার একটি ব্যারোমিটার হিসেবে। শহর দু’টিতে একেপি জিতলে বর্তমান মেয়াদ ২০২৮ সালের পরও প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকার সুযোগ তৈরি করতে পারবেন এরদোগান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা