১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
ইফতার মাহফিলে ডা: শফিক

সকল বাধা ও শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে হলে শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে

রাজধানীতে রাজনৈতিক ও বিশিষ্টজনদের সম্মানে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিলে দোয়া করছেন ডা: শফিকুর রহমান : নয়া দিগন্ত -


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, মুক্তি অর্জন করতে হলে অবশ্যই সংগ্রাম করতে হবে। বিনা সংগ্রামে কখনো মুক্তি আসে না। সকল বাধা ও শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে হলে শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা সকলের মঙ্গল কামনা করি। সকল রকম হঠকারিতা ও বিশৃঙ্খলা ছাড়তে হবে। তবে কেউ যদি পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে আসে তাহলে অবশ্যই তার জবাব দিতে হবে। জামায়াত আমির আরো বলেন, সরকারি দলের লোকদের যদি রাজনীতি করার অধিকার থাকে, তাহলে দেশের প্রতিটি নাগরিকেরও রাজনীতি করার অধিকার আছে। শুধু আল্লাহকে ভয় করতে হবে এবং দোয়া করতে হবে আল্লাহ যেন আমাদের সকল বন্ধন থেকে মুক্ত করে দেন।
গতকাল জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। আট বছর পর রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এতে বিএনপি, এলডিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, আলেম-ওলামা, আইনজীবী, সাংবাদিক, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। ইফতারের আগে এক বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেন, হাজারো প্রতিকূলতা সত্ত্বেও জামায়াতের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল আয়োজন করতে পেরে আমরা আল্লাহর শুকরিয়া জানাচ্ছি। আমাদের দাওয়াতে এ ইফতার মাহফিলে যারা শামিল হয়েছেন, আমি তাদের সবাইকে মোবারকবাদ জানাচ্ছি এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। ডা: শফিকুর রহমান আরও বলেন, আল্লাহ পাক এ পবিত্র রমজান মাসে কুরআন নাজিল করেছেন। এ মাস অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ মাস। এ মাসে রয়েছে বরকতময় লাইলাতুল কদর। মহান রব পবিত্র কুরআনে প্রথমেই নাজিল করলেন ‘পড় তোমার সৃষ্টিকর্তা প্রভুর নামে।’ মানুষের জ্ঞান অর্জনের জন্যই আল্লাহ এ আয়াত নাজিল করেছেন। আল্লাহ মানুষের জন্য তার হেদায়াত ও নেয়ামত পূর্ণ করে দিলেন।

ইফতারের পূর্ব মূহূর্তে মাহফিলে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে জামায়াত আমির আল্লাহর কাছে দোয়া করে বলেন, তিনি যেন আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে সব বাধা-বন্ধন থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করেন। আমাদের দেশের আলেম সমাজ যেন আমাদের দিক-নির্দেশনা দিতে পারেন সেজন্য আল্লাহ যেন তাদের যোগ্যতা বাড়িয়ে দেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে স্বাধীনতার সুফল ভোগ করার তাওফিক দান করুন। আজকে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর যে জুলুন-নিপীড়ন চলছে, আল্লাহ যেন তা থেকে তাদের মুক্তি দেন এবং তাদের বিজয় দান করেন। তিনি দেশ, জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ কামনা করে মুনাজাত শেষ করেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়ার বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দের সঞ্চালনায় মাহফিলে আগত মেহমানদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। পবিত্র আল কুরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে ইফতার মাহফিল শুরু হয়। কালামে হাকিম থেকে তেলাওয়াত করবেন ক্বারী বেলাল হোসাইন।

ইফতার মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসহ একটি প্রতিনিধি দল যোগ দেন। বিএনপি প্রতিনিধি দলের অন্যরা হলেন, ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আতাউর রহমান ঢালী, জহির উদ্দিন স্বপন, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সারওয়ার, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা: ফরহাদ হালিম ডোনার, অপর্ণা রায়, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব:) অলি আহমেদ বীরবিক্রম, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, ইসলামী ঐক্যজোটের নায়েবে আমির মাওলানা শওকত আমিন পীর সাহেব, মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল করিম, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, অপর অংশের ফারুক হাসান, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামবাদী, ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, পর অংশের সভাপতি হামদুল্লাহ আল মেহেদী, মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, অপর অংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, অপর অংশের এমএন শাওন সাদেকী, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এনডিপির কারী আবু তাহের, এনডিএম’র চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণদলের এটিএম গোলাম মওলা, এবি পার্টির নেতা ব্যারিস্টার যুবাইর, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারি ও শাহ আহমেদ বাদল, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জাকির হোসেন খান, গণসেবা আন্দোলনের আমির মুফতি ফখরুল ইসলাম, মহাসচিব মুফতি বিন ইয়ামিন প্রমুখ।

বিশিষ্টজনদের মধ্যে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হারুন অর রশীদ, নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাহ উদ্দিন বাবর, ডেপুটি এডিটর (নিউজ) মাসুমুর রহমান খলিলী, দৈনিক সংগ্রামের এমডি নূরুল আমিন, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সভাপতি অধ্যক্ষ যাইনুল আবেদীন, সেক্রেটারি জেনারেল ড. খলিলুর রহমান মাদানী, জামিয়া ইমদাদিয়ার মহাপরিচালক এবং ইসলামিক কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের আমির মাওলানা আবু তাহের জিহাদী আল কাসেমী, ঢাবির অধ্যাপক ড. আবদুর রব, পটুয়াখালি বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক আতাউর রহমান বিশ্বাস, অধ্যাপক আমিনুর রহমান মজুমদার, অধ্যাপক শামসুল আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ ও ইলিয়াস খান, বিএফইউজের সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার ও এ কে এম মহসিন, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, সাবেক মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, সহকারী মহাসচিব বাছির জামাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের-ডিইউজের সভাপতি মো: শহীদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটের (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি নাসিম শিকদার, ইসলামিক কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফি, বাংলাদেশ ইসলামিক দাওয়া সেন্টারের পরিচালক মুফতি নুরুজ্জামান নোমানী, জমিয়তে হিজবুল্লার কেন্দ্রীয় মুরুব্বী অধ্যক্ষ ডক্টর মাওলানা মুহিউদ্দিন, জাতীয় খতিব পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতি মাসুদুর রহমান জাহেদী, ছরছিনা দরবার শরীফের পীর মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, মিরেশ্বরাই দরবার শরীফের পীর মাওলানা আব্দুল মমিন নাসেরী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মাওলানা রফিকুল রহমান মাদানী, সাবেক বিচারপতি ফরিদ, অ্যাডভোকেট মাইনুদ্দিন, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ফজলুল করিম, মেজর জেনারেল অব. আলমাস আমিন, কর্নেল (অব:) আনোয়ার হোসেন, প্রকৌশলী আল আমিন প্রমুখ।

জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মো: তাহের, নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট মোয়ায্যম হোসাইন হেলাল, মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব যোবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুর রব, সাইফুল আলম খান মিলন, অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ শাহাবুদ্দিন, অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মাদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট মশিউল আলম, মাওলানা আবদুল মান্নান, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ড. মুহাম্মদ কেরামত আলী, কাজী দ্বীন মুহাম্মাদ, ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় অফিস সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুস সাত্তার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, মহানগর জামায়াত নেতা আবদুর রহমান মূসা, আবদুস সবুর ফকির, অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, মো: দেলাওয়ার হোসাইন, আব্দুল জব্বার, মাহফুজুর রহমান, জহির উদ্দিন বাবর, মরহুম দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী ও শামীম সাঈদী, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৫ সালের ২৫ জুন হোটেল সোনারগাঁওয়ে রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজনদের নিয়ে ইফতার করেছিল জামায়াতে ইসলামী। তখন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ইফতারে অংশ নিয়েছিলেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement