সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। ফ্যাসিবাদী শক্তি সমস্ত জাতির ওপর চেপে ধরে বসে আছে। আমাদের সব আশা-আকাক্সক্ষা ব্যর্থ করে দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে এক ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি। ইফতার মাহফিল রাজনৈতিক মিলন মেলায় পরিণত হয়। অন্যতম আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের উপস্থিতি। জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মো: গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, নায়েবে আমির ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের উপস্থিত ছিলেন।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, একদফার আন্দোলনে সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে সম্বলিত করে। আমরা যে চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য কাজ করছি, সেই চূড়ান্ত আন্দোলনে বিজয় হবে, ইনশাআল্লাহ।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষ আজ মজলুম। পুরো দেশের মানুষ আজ জুলুমের শিকার। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, লড়াই আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। বিজয় আমাদের হবেই, ইনশাআল্লাহ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, গণ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না,গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুনুর রশিদ, জাগপা একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, বিকল্পধারা বাংলাদেশের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বিএনপি’র শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম।

ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা: এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, আব্দুল হাই শিকদার, সাহেদা রফিক, বিজন কান্তি সরকার, চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জহির উদ্দিন স্বপন, ডা: রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

এ ছাড়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, জামায়াতের মাওলানা আব্দুল হালিম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ১২ দলীয় জোটের আহসান হাবিব লিংকন, নওয়াব আলী আব্বাস খান, সৈয়দ এহসানুল হুদা, রাশেদ প্রধান, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির লায়ন ফারুক রহমান, জমিয়তের মহিউদ্দিন ইকরাম, কল্যাণ পার্টির শামসুদ্দিন পারভেজ; বাংলাদেশ এলডিপির মো. ফরিদ উদ্দিন; জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, কারী আবু তাহের, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এস এম শাহাদাত; গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের আবুল কালাম আজাদ, ডা: শামসুল আলম, এনডিএমের ববি হাজ্জাজ, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান, অপরাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ফাতিমা তাসনিম, হাসান আল মামুন, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ছিলেন।