স্বাধীনতা দিবসে চীনের প্রেসিডেন্ট ও রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ২৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্টিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। পৃথক বার্তায় বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন।
শি জিনপিং এক বার্তায় বলেছেন, গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশ অবিচলভাবে তার স্বাধীনতাকে সমুন্নত রেখেছে, তার অর্থনীতির উন্নয়ন এবং জনগণের জীবিকা উন্নত করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। চীন ও বাংলাদেশ ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব শক্তিশালী থেকে আরো শক্তিশালী হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের দুই দেশ দৃঢ় এবং গভীর রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ সহযোগিতা উপভোগ করেছে, যা উভয় দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা নিয়ে এসেছে।
শি জিনপিং বলেন, বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নকে চীন গুরুত্ব দেয়। উচ্চ-মানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতাকে আরো এগিয়ে নিতে এবং চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরো গভীর করতে একসাথে কাজ করতে আমি প্রস্তুত।
একই দিন চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই যথাক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে পৃথক অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।
এ দিকে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্টিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে বলেছেন, রাশিয়ান ফেডারেশন সরকারের পক্ষ থেকে এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অভিনন্দন জানাচ্ছি। রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনায় বিকশিত হচ্ছে, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এগিয়ে যাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। দুই দেশ একসাথে কাজ করলে বন্ধুত্ব আরো শক্তিশালী এবং উভয়ের স্বার্থ রক্ষা হবে।
রুশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, তার দায়িত্বশীল কাজে নতুন সাফল্য এবং বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশের জনগণের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারত সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে পাঠানো চিঠিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি লিখেছেন, ভারত সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে আপনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বিগত এক দশকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের গুণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। দুই দেশের নেতৃত্বের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করার জন্য প্রচেষ্টা চলবে বলে আমি আশাবাদী।
বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত : স্বাধীনতা দিবসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেছেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে আমি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্বিত।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রোহিঙ্গা সঙ্কটে সাড়া দেয়া, বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা এবং স্বাস্থ্য খাতে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। আমাদের এই অংশীদারিত্ব একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার আরেকটি বছর উদযাপন করছে, তখন আমরা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এবং মানবাধিকার রক্ষায় আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি। এই প্রচেষ্টাগুলো বাংলাদেশকে আরো সমৃদ্ধ করবে।
দুই দেশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তরিকতার কথা তুলে ধরে ব্লিংকেন বলেন, আমি এই বিশেষ দিনে সব বাংলাদেশীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আগামী বছরে আমাদের দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উত্তরোত্তর বাড়ানোর জন্য আমরা উন্মুখ হয়ে আছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা