১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চাপ বাড়ছে বিদেশী ঋণ পরিশোধে

-

উন্নয়ন সহযোগীদের দেয়া প্রতিশ্রুতির বিপরীতে অর্থ ছাড় কমেছে। তবে সরকারের বিদেশী ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) সরকার সুদ ও আসল মিলে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে ২০৩ কোটি ডলার।
যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে পরিশোধ করেছিল ১৪২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। তবে এখানে সুদ পরিশোধের খরচ দ্বিগুণ হয়েছে। অন্য দিকে প্রতিশ্রুতির বিপরীতে অর্থছাড় করেছে ৪৯৯ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার ডলার। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য থেকে এটা জানা গেছে।
ইআরডির সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছর উন্নয়ন সহযোগীদের ৭২০ কোটি ১১ লাখ ৭০ হাজার ডলার প্রতিশ্রুতির বিপরীতে ছাড় করেছে অর্ধেকের কিছু বেশি। এখানে বেশি ছাড় করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৩০ কোটি ১৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং জাপান ১০৪ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ডলার। সরকারের পরিশোধ করা অর্থের মধ্যে সুদ হিসেবে ৮০ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আসল ১২২ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে ৬১ কোটি ডলার।

ইআরডি বলছে, ঋণ পরিশোধের ব্যয় এতটা বৃদ্ধির পেছনে সুদ পরিশোধই মূলত ভূমিকা রাখছে। আট মাসে সুদ পরিশোধ করা হয়েছে ৮০ কোটি ৬০ লাখ ডলার যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে ৪০ কোটি ৩০ লাখ ডলার সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়। যার তুলনায় এটি দ্বিগুণ হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ প্রতিশ্রুতি বেড়েছে। উন্নয়ন সহযোগীরা এই সময়ে ৭২০ কোটি ১১ লাখ ৭০ হাজার ডলারর ঋণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৭৮ কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে ৯৯২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে এডিবির কাছ থেকে। এই সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া গেছে ২৬২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি। এ ছাড়া জাপানের কাছ থেকে ২০২ কোটি ডলার, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১৪১ কোটি ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বৈদেশিক অর্থছাড় হয়েছে ৪৯৯ কোটি ৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে অর্থছাড়ের পরিমাণ ছিল ৪৮৭ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার ডলার। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করেছে এডিবি। বিশ্বব্যাংক ছাড় করেছে ৮৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এ ছাড়া রাশিয়া ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ডলার এবং চীন ৩৬ কোটি ১৭ লাখ ১০ হাজার ডলার ছাড় করেছে।
গত অর্থবছরে (জুলাই-জুন) বাংলাদেশকে উন্নয়ন সহযোগীদের দিতে হয়েছে ২৬৭ কোটি ডলার। এরমধ্যে সুদ হিসেবে পরিশোধ করেছে ৯৩ কোটি ৫৬ লাখ ডলার আর আসল পরিশোধ করেছে ১৭৩ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে পরিশোধ বেড়ে হবে ৩৫৬ কোটি ডলার। আগামী দুই অর্থবছরে তা আরো বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪২১ কোটি এবং ৪৭২ কোটি ডলার বলে জানা গেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বীর মুক্তিযোদ্ধারা চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে : অ্যাডভোকেট জুবায়ের ভারতীয় চলচ্চিত্রে বাংলাদেশকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন! স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক, প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর রাজশাহীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ কর্মী গ্রেফতার জামায়াত নেতা ড. তাহের সম্পর্কে সাংবাদিক ইলিয়াসের মন্তব্যের প্রতিবাদ গাজীপুরে নতুন ট্রেন ও অসমাপ্ত বিআরটি লেনে বিআরটি বাস সার্ভিসের উদ্বোধন বেনজীর ও মতিউরের বিরুদ্ধে দুদকের ৬ মামলা ছিনতাই রোধে রাজধানীতে শেষ রাতে পুলিশি টহল বাড়ানোর নির্দেশ পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সাথে বিএনপি নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ জামায়াতের একজন নেতাও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেনি: ড. মাসুদ মালয়েশিয়ায় বেতন না পেয়ে কোম্পানির অফিস ঘেরাও-অবরোধ, যা বলল বাংলাদেশ দূতাবাস

সকল