১৬ মে ২০২৪, ০২ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫
`


বিদ্রোহীদের তাড়া খেয়ে ভারতে পালাল ৬০০ বর্মি সেনা

সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করবে দিল্লি
-

মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের তাড়া খেয়ে গত কয়েক দিনে মিজোরামে ঢুকেছে অন্তত ৬০০ সৈন্য। তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে মিজোরাম সরকার।
গতকাল শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মিয়ানমারে তীব্র সংঘর্ষের মধ্যে গত কয়েক দিনে প্রায় ৬০০ সৈন্য ভারতে প্রবেশ করেছে। জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কয়েকটি ক্যাম্প দখল করার পর পালিয়ে মিজোরামের লংটলাই জেলায় আশ্রয় নেয় এসব সৈন্য। তাদের আসাম রাইফেলসের ক্যাম্পে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। জাগো নিউজ।
এ অবস্থায় শিলংয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে জরুরি আলোচনায় বসেছিলেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা।
সরকারি সূত্রগুলো বলেছে, পালিয়ে যাওয়া মিয়ানমারের সেনাসদস্যদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে মিজোরাম। ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের জেরে এই আবেদন জানিয়েছে ভারতীয় রাজ্যটি।
মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, মিয়ানমার থেকে মানুষজন আমাদের দেশে আশ্রয়ের জন্য পালিয়ে আসছে এবং আমরা মানবিক কারণে তাদের সাহায্য করছি। আগে আমরা তাদের আকাশপথে ফেরত পাঠাতাম। এ যাবৎ প্রায় ৪৫০ জন সেনাসদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এর পর থেকেই গণতন্ত্রপন্থীদের সাথে সংঘর্ষ চলছে তাদের। তবে গত অক্টোবরের শেষের দিকে তিনটি জাতিগত সংখ্যালঘু বাহিনী সমন্বিত আক্রমণ শুরু করলে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে জান্তা সরকার। এরই মধ্যে বেশ কিছু শহর ও সামরিক পোস্ট দখল করেছে বিদ্রোহীরা এবং এর ফলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে মিয়ানমারের সৈন্যরা।
মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করবে ভারত : ভারতে অবাধে প্রবেশ বন্ধ করতে মিয়ানমার সীমান্তজুড়ে বেড়া নির্মাণ করবে ভারত। এ ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মিয়ানমারে জাতিগত সংখ্যালঘুদের সাথে সেনাবাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। বিদ্রোহীদের কাছে বিভিন্ন স্থানে পরাজিত হচ্ছে সরকারের সেনাবাহিনী। পরাজিত হওয়ার পর তারা ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমার থেকে তারা উচ্চ মাত্রায় ভারতে প্রবেশ করছে। তাই এমন উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। আসাম পুলিশ কমান্ডোদের একটি প্যারেড অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তকে যেভাবে সুরক্ষিত রাখা হয়েছে, ভারতের সাথে মিয়ানমারের সীমান্তকেও সেভাবে সুরক্ষিত রাখা হবে।
উল্লেখ্য, আরাকান আর্মি হলো মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে জাতিগত একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুই দেশের সীমান্তে বেড়া নির্মাণের মধ্য দিয়ে ভারত দুই দেশের মধ্যে ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম (এফএমআর) বাতিল করতে চায়। সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারীদের অন্য দেশে ভ্রমণ করতে হলে ভিসা নিতে হবে। মিয়ানমার ও ভারত সীমান্তের কাছে বসবাসকারী মানুষের দুই দেশে অবাধে চলাচলে এফএমআর গ্রহণ করা হয়েছিল ১৯৭০-এর দশকে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
নাইক্ষ‍্যংছড়ির পাহাড়ি এলাকা থেকে অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম বন্দর অন্য দেশেও এর কার্যক্রম চালাবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের সাথে আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তায় অবদান রাখতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া ২০৪১ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলারের সেমিকন্ডাক্টর খাতের উন্নয়ন চায় বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে স্পেনের রাষ্ট্রদূত ও ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধির সাক্ষাৎ বৌদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই : ডিএমপি কমিশনার চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ বাড়াতে হবে : পরিবেশমন্ত্রী প্রার্থিতা দিতে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল, সেলিম প্রধানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ইতালিয়ান-থাইয়ের শেয়ার হস্তান্তরের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের নামে মামলা রংপুর মহানগরী জামায়াত নেতা কাজলসহ ৩ জনকে গ্রেফতারের নিন্দা

সকল