নিত্যপণ্যের বাজারে গত দুই সপ্তাহ ধরে অস্থিতিশীল রয়েছে কাঁচামরিচের দাম। ঢাকাসহ সারা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই কৃষিপণ্যের দাম অস্বাভাবিক উঠানামা করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। অস্বাভাবিক দাম ঠেকাতে সেই সাথে সারা দেশে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদফতর। আমদানির খবরে গত সোমবার বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমে গেলেও পরের দিন থেকে আবার বেড়ে যায়। ফলে দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোন উদ্যোগই কাজে আসছে না।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে। ৪০ টাকা দরের ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। এ ছাড়া গত সপ্তাহে দেশী পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। ঈদের আগে একই আলুর দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।
সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির বাজার দরের তালিকায় দেখা গেছে, এক বছরের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে আলুর দাম বেড়েছে ৩৪ শতাংশের বেশি। গত বছরের এই সময়ে বাজারে আলুর কেজি ছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকা, যা এ বছর ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। টিসিবির এই দর অনুযায়ী গত এক সপ্তাহে আলুর দাম বেড়েছে ৩ শতাংশের মতো।
বাজারে বেগুনের দামও বেড়েছে। বড় আকারের কালো বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, ঈদের আগে যা ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। করলার দাম ছুঁয়েছে ১০০ টাকা কেজি। দরদাম করে নিলেও ৯০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।
অন্যান্য সবজির মধ্যে কাঁকরোলের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ঝিঙে, চিচিঙ্গা ও ধুন্দুলের কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সস্তার সবজি হিসেবে পরিচিত পেঁপের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। শসার দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। টমেটো ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে। তবে আমদানি করা টমেটোর কেজি পড়ছে ২০০ টাকার আশপাশে।
বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের পরে বাজার এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি। সবজি আসছে কম। তাতে দাম একটু বেড়েছে। এর মধ্যে বেশি বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।
কোরবানির ঈদের পর বাজারে গোশতের চাহিদা কম থাকে। তাতে স্বাভাবিকভাবে গোশতের সরবরাহ কম। দামও বেশি না। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। সোনালি মুরগির কেজিও ৩০০ টাকার নিচে। তবে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে মাছের দাম। নদী ও হাওরের মাছ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে গেছে অনেক আগেই। চাষের মাছও এখন বেশ চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে।
ঈদের আগে এক কেজি ছোট ও মাঝারি আকারের পাঙ্গাশের দাম ছিল ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, সেই একই পাঙ্গাশ এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। দাম বেড়ে তেলাপিয়া মাছের কেজি ২৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। মাঝারি ও বড় মানের তেলাপিয়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়। ঈদের আগে যা ছিল ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। চাষের কই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০ টাকার ওপরে। আর ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের চাষের রুই মাছের দাম হাঁকানো হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি।
ফার্মের মুরগির লাল ডিম ১৪৫ টাকা ডজন, কিছুটা আকারে ছোট ডিম ১৪০ টাকা ডজন। গত সপ্তাহে সাইজভেদে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে ডিম। এ ছাড়া গত সপ্তাহে ফার্মের সাদা ডিম ১২৫ টাকা ডজন বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৪০ টাকা ডজন বিক্রি করা হচ্ছে।
বাজারে পাটশাক জোড়া আঁটি ৩০ টাকা, কলমি শাক জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কচু দুই আঁটি ২০ টাকা, লালশাকের জোড়া আঁটি ৩০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, শাপলা ডাঁটা ১০ টাকা, ডাঁটা শাক ১০ টাকা, সবুজ ডাঁটা ২০ টাকা আঁটিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ধনেপাতা ১০০ গ্রাম ৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা