২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাংলাদেশ সরকারকে সমাবেশের অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের

সহিংসতার আশঙ্কায় মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতার আহ্বান
-

বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। মঙ্গলবার এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তুলে ধরেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পুলিশের হয়রানি নিয়ে উদ্বিগ্ন, তারা যেভাবে বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তার এই বক্তব্য পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।


এতে নেড প্রাইস বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারকে মুক্তমত, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মৌলিক অধিকারকে সুরক্ষা এবং সম্মান জানানোর আহ্বান জানাই। আমরা পুলিশের হয়রানি, বিরোধী দলের সদস্যদের গ্রেফতার এবং তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের বিরুদ্ধে কড়াকড়ির রিপোর্টগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা বাংলাদেশের সবপক্ষকে আহ্বান জানাব তারা যেন আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকেন এবং সহিংসতা, হয়রানি এবং ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকেন। কোনো দল বা প্রার্থী যাতে অন্য দল বা প্রার্থীর বিরুদ্ধে হুমকি, উসকানি কিংবা সহিংসতা সৃষ্টি করতে না পারে, তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।


তিনি আরো বলেন, সব প্রার্থীর ভোটারদের সাথে সহিংসতা, হয়রানি এবং হুমকি ছাড়া যোগাযোগ করতে পারা প্রকৃত নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের সহিংসতার রিপোর্টগুলো স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষভাবে তদন্তে উৎসাহিত করি। এ ছাড়া ওই ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের প্রসঙ্গও আসে। এতে পিনাকী ভট্টাচার্য এবং সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র জানে বলে উল্লেখ করেন নেড প্রাইস।
তিনি বলেন, আমরা এই আইন সম্পর্কে আমাদের উদ্বেগ স্পষ্ট করেছি। আমাদের মানবাধিকার রিপোর্টেও এটি উল্লেখ করেছি। আমাদের বাংলাদেশী পার্টনারদের সাথেও এ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে আমাদের। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে অপরাধে রূপান্তরিত করা যাবে না। এটা কখনো ভীতি ও হুমকি প্রদর্শনের উপলক্ষ হতে পারে না।


সহিংসতার আশঙ্কায় মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতার আহ্বান
কূটনৈতিক প্রতিবেদক জানান, ১০ ডিসেম্বরকে ঘিরে সহিংসতার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইট ও টুইটারে সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি বা তার আগে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশ ও নির্বাচনকেন্দ্রিক অন্যান্য তৎপরতা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে রাজনৈতিক সমাবেশ ও বিক্ষোভের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আগামী ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বৃহৎ দু’টি রাজনৈতিক দল ঢাকায় পৃথক পৃথক স্থানে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।
বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সঙ্ঘাত ও সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। যেকোনো ধরনের বিক্ষোভ ও সমাবেশ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পরিকল্পনা পর্যালোচনা, আশপাশের পরিস্থিতি সম্পর্কে সজাগ থাকা এবং স্থানীয় গণমাধ্যমের ওপর নজর রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সম্ভাব্য বিপদের বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। কারণ তাদের মনে রাখা উচিত, বাংলাদেশে সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হলেও তা সঙ্ঘাতময় হয়ে পরে সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। তাই মার্কিন নাগরিকদের গণসমাবেশ এড়িয়ে চলার পাশাপাশি বড় সমাবেশের আশপাশের এলাকার বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।
এর আগে রাজধানীতে ১০ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য সহিংসতার আশঙ্কায় ব্রিটিশ নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।


আরো সংবাদ



premium cement
জুলাইয়ে ব্রাজিল সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিলো ভানুয়াতু বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন ‘মাশা আল্লাহ’ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ

সকল