২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাধার মুখে ভিসির বাসায় খাবারো পৌঁছানো যায়নি

শাবিতে ১২ দিনের আন্দোলন
-

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ১২ দিন ধরে উত্তাল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আন্দোলনের প্রথম ছয় দিনে দাবি পূরণ না হওয়ায় ভিসির বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন ছাত্রছাত্রীরা। অনশনরতদের একটা অংশ মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও সেখানে খাবার গ্রহণ করছে না তারা। আরেক দল ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনের বিদ্যুৎ পানি সংযোগ কেটে দিয়ে মূল ফটকে অবস্থান নিয়েছেন। বাড়ির ভেতরে পুলিশ-সাংবাদিক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। গতকাল বিকেলে প্রক্টরের নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষক প্রবেশ করতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।
ভিসির বাসভবনের পানি-তেল ফুরিয়ে আসছে : ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনে পানির সরবরাহ ও জেনারেটরের তেল ফুরিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন এক কর্মচারী। গতকাল দুপুরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মচারী বলেন, স্যারের বাসায় পানি ফুরিয়ে আসছে। যা আছে তা দিয়ে সম্ভবত বিকেল পর্যন্ত চলবে। তবে বাসায় খাবার ও গ্যাসের কোনো সঙ্কট নেই। সন্ধ্যার পর থেকে স্যার পানির সঙ্কটে ভুগতে পারেন, বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, গত রোববার ছাত্ররা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার পর থেকে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছিল। কিন্তু জেনারেটরের তেলও ফুরিয়ে এসেছে। তেল সরবরাহ না পেলে সন্ধ্যার পর থেকে হয়তো আর জেনারেটরও চালানো সম্ভব হবে না। বাসভবনে অবস্থানরতরা সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন কি না, জানতে চাইলে ওই কর্মচারী বলেন, এখন পর্যন্ত স্যারের বাসার সবাই সুস্থ আছেন। তবে শুনেছি হলে অবরুদ্ধ একজন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
অসুস্থ শিক্ষার্থীর অস্ত্রোপচার, ভাঙেননি অনশন : ভিসির পদত্যাগের দাবি অনশনরত শাবি শিক্ষার্থী মাহীন শাহরিয়ার রাতুলের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহীনের অনশনের দ্বিতীয় দিন থেকে থেমে থেমে পেটব্যথা হচ্ছিল। গতকাল রোববার বিকেলে হঠাৎ পেটব্যথা বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। অ্যাপেন্ডিসাইটিস ধরা পড়লে রাত পৌনে ১১টায় তার অস্ত্রোপচার হয়। অনশনরত শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম বলেন, অস্ত্রোপচারের পরও মাহীন অনশন ভাঙেননি। রাগীব রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান নুরুল কাইয়ুম মোহাম্মদ মোরসালিন বলেন, পেটব্যথার পাশাপাশি মাহীনের জ্বর ছিল। বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
অনশনস্থলে হাসপাতাল ফেরত ৭ শিক্ষার্থী : আমরণ অনশনকারত সাত শিক্ষার্থী হাসপাতাল থেকে ফের অনশনরত স্থানে ফিরেছেন। সোমবার বেলা দেড়টায় মেডিক্যাল থেকে তারা অনশনস্থলে ফিরেন এমনটি জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল বাসার রাজ। তিনি বলেন, বর্তমানে মেডিক্যালে ভর্তি আছেন ১৩ জন। আন্দোলনে অনশনরত শিক্ষার্থীরা যারা মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছেন তারা একটু সুস্থতাবোধ করায় ডাক্তারের ছাড়পত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে আসছেন। যারা ফিরেছেন তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো না।
২০ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি : ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনকারী শিক্ষার্থীর ২০ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত ২০ জন শিক্ষার্থী মেডিক্যালে ভর্তি আছেন বলে জানা যায়। বর্তমানে আটজন অনশনকারী শিক্ষার্থী ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন। সর্বশেষ গুরুতর অসুস্থ হয়ে আরো চারজন হাসপাতালে ভর্তি হয় এতে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। অন্য আটজন অনশনরত অবস্থায় ভিসি বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
এবার অনশনে যাচ্ছেন আন্দোলনকারী সবাই : শাবির আন্দোলনরত সব শিক্ষার্থী এবার একযোগে অনশনে যাচ্ছেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল দুপুরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ব্রিফিংকালে তারা জানান, আমরা এখানে আন্দোলনকারী সব শিক্ষার্থী এবার গণ-অনশনে যোগ দিবো। এ দিকে অনশনস্থলে আটজন শিক্ষার্থী ও হাসপাতালে ২০ জন নগরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও জানান তারা। শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, চিকিৎসা চলাকালে কোনো অনশনকারী হাসপাতালের খাবার গ্রহণ করেনি, এগুলো পথশিশুদের বিলিয়ে দেয়া হবে বলে জানান। তারা বলেন, অনেক পত্রিকায় লেখা হচ্ছেÑ আমরা ভিসি বাসভবনের পানি, গ্যাস ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। আসলে তথ্যটি ঠিক নয়, আমরা শুধু বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি।
শিক্ষকদের সাথে তর্কাতর্কি : ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে টানা ১১ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এর অংশ হিসেবে গত বুধবার বিকেল থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থী। এ ছাড়াও মানবপ্রাচীর তৈরি করে এবং বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে ভিসির বাসভবনে পুলিশ ও সাংবাদিক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না আন্দোলনকারীরা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় অনশনরতদের দেখতে যান শাবির শিক্ষকরা। পরে তারা ভিসি বাসভবনে ঢুকতে গেলে শিক্ষার্থীরা ভবনের মূল ফটকের সামনে শুয়ে পড়ে শিক্ষকদের পথ রোধ করেন। একপর্যায়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। তখন শিক্ষকরা ভিসি অসুস্থ বলার পরও বাসভবনে ঢুকতে দেননি আন্দোলনরতরা।
খাবার ফিরিয়ে দিলেন শিক্ষার্থীরা : ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও তার পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের জন্য নেয়া খাবার ফিরিয়ে দিয়েছেন শাবিপ্রবি আন্দোলন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিরা তাদের জন্য এই খাবার নিয়ে যান। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় শাবিপ্রবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক আলমগীর কবির, সহকারী প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক আবু হেনা পহিল, ছাত্র উপদেষ্টা ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু হলের সহকারী প্রভোস্ট মুনিরুজ্জামান সোহাগ ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও অনশনরত শিক্ষার্থীদের জন্য খাবার নিয়ে যান। এর আগে শিক্ষার্থীরা সিলেট সিটি করপোরেশনের দুই কাউন্সিলরকে নিয়ে আসা বিরিয়ানি ফিরিয়ে দেন।
এ বিষয়ে সিসিক কাউন্সিলর মো: মখলিছুর রহমান কামরান বলেন, আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও বাসায় আটকা পড়াদের জন্য কিছু খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সে খাবার ফিরিয়ে দেন এবং আমাদের ভিসির বাসায় ঢুকতে দেননি। পরে আমরা সেগুলো গরিবদের মধ্যে বিতরণ করি। তিনি বলেন, আমরা বারবার অনুরোধ করায় শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বাইরের কারো দেয়া খাবার তারা গ্রহণ করছেন না। তাদের খাবার নিজেরাই রান্না করছেন।
ছাত্রী নিয়ে মন্তব্যে ক্ষমা চাইলেন ভিসি : নিজের আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। জাবি ছাত্রীদের নিয়ে সাম্প্রতিক আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য তিনি এ ক্ষমা চান। জাবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার জানানো হয়েছে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন। গতকাল বেলা ২টায় জাবির জনসংযোগ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঢাবিতে দিনভর সভা-সমাবেশ
ঢাবি প্রতিবেদক জানান, শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগের দাবি ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল দিনভর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক, প্রগতিশীল ছাত্র জোট, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ঐক্য, ছাত্র অধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন।
গতকাল দুপুর ১২টা থেকে অপরাজেয় বাংলার সামনে টানা তিন ঘণ্টার বেশি প্রতীকী অনশন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের ব্যানারে শিক্ষকবৃন্দ। কর্মসূচিতে ছিলেন ঢাবির অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুশাদ ফরিদী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো: কামরুজ্জামান, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোসাহিদা সুলতানা রিতু, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিমুদ্দীন খান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজলি শেহরীন ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, সাইদ ফেরদৌস, মীর্জা তসলিমা, রেহনুমা আহমেদ প্রমুখ।
কর্মসূচিতে অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান বলেন, এখনো শিক্ষার্থীদের দাবি না মেনে নিয়ে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। এটি মূলত আন্দোলনকে অসহিষ্ণু করার কৌশল। আমরা কয়েকজন শিক্ষকের বক্তব্য শুনলাম, ৩৪ জন ভিসির কার্যকলাপ দেখলাম, কী ধরনের মানুষ বর্তমানে ভিসি হন তা তাদের অবস্থান দেখলেই বোঝা যায়।
অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় এমন ধরনের ভিসি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে যাদের সাথে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুসম্পর্ক নেই এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিতে সচেতন না। এরই ধারাবাহিকতায় শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে সরকারি গুণ্ডা বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছেন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
এ দিকে একই সময়ে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র জোট রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। জোটের পক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বরাবর খোলা চিঠি প্রেরণের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে যান। প্রগতিশীল ছাত্র জোটের মিছিলটি শিক্ষক নেটওয়ার্কের প্রতীকী অনশন কর্মসূচিস্থলে গিয়ে সংহতি প্রকাশ করে এবং সেখানেই শেষ হয়। এ ছাড়াও শিক্ষক নেটওয়ার্কের কর্মসূচির সাথে সংহতি জানিয়ে দুপুরে অনশনে যোগ দেন গণসংহতি আন্দোলনের সংগঠক জোনায়েদ সাকি, গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর ও ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার নেতৃত্বে দলটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ : বিকাল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নাগরিক ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য ইউনিটের নেতাকর্মীরা। পরে তারা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। একই দাবিতে এবং একই সময়ে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুনয়ন চাকমার সভাপতিত্বে বিক্ষোভ ও বিক্ষোভ পরবর্তী মশাল মিছিল করেন ‘শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা’ ব্যানারে কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গণ অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা : ছাত্রসংগঠনগুলো যৌথ বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি মশাল মিছিল নিয়ে কাঁটাবন মোড় দিয়ে নীলক্ষেত হয়ে রাজু ভাস্কর্য প্রদক্ষিণ করে টিএসসিতে এসে শেষ করে। সেখান থেকে তাদের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে আগামী ২৬ জানুয়ারি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গণ অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।
ঢাবি শিক্ষক সমিতির বিবৃতি : এ দিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চলছে দাবি করে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: রহমতুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৩ জানুয়ারি শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের বিভিন্ন ইস্যুতে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রীরা আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলন চলাকালে পুলিশের বলপ্রয়োগের মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ওই হলের প্রভোস্ট পদত্যাগ করেন। আন্দোলনে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের মূল দাবি পূরণ হওয়া সত্ত্বেও উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলনে রূপ নেয়। আন্দোলনের এই রূপান্তরের বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত এবং উদ্বেগের, যা খতিয়ে দেখার দাবি রাখে।
রাবিতে অবস্থান কর্মসূচি
রাবি সংবাদদাতা জানান, শাবিপ্রবি ভিসি অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীনের পদত্যাগ দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন তারা।
কর্মসূচিতে রাবি শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাব্বত হোসেন মিলনের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে আছে। ক্যাম্পাসের স্বৈরাচারী কাঠামো ভাঙতে হবে। কোনো নারীবিদ্বেষী, দালাল, স্বজনপ্রীতি, রক্ত পিপাসু হামলাকারী ভিসিকে শিক্ষার্থীরা আর চায় না। এমন ভিসির ক্যাম্পাসে জায়গা হবে না। রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুর মজিদ অন্তর বলেন, আজ প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত অবহেলার শিকার হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে। প্রশাসন কর্তৃক মারধরের শিকার হচ্ছে। মামলা হামলার শিকার হচ্ছে। শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে সব সমস্যার সমাধান করুন। নির্লজ্জ বেহায়া ভিসিকে অপসারণ করুন। এ সময় অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দাবি পেশ করেন। কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য দেন, আমানউল্লাহ আমান, সাকলাইন গৌরব, মেহেদী হাসান মুন্না প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement
মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইলি হামলায় আহত শিশুর মুখে ২০০ সেলাই বিষখালীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান : জেলে নিখোঁজ, আহত ২ দক্ষিণ এশিয়ার যে শহরগুলোর তাপমাত্রা এখন সর্বোচ্চ

সকল