২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অ্যাস্ট্রাজেনেকায় রক্ত জমাটের কারণ

-

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত টিকায় রক্ত জমাট বাঁধার (ব্লাড ক্লটিং) কারণ খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। এই কোম্পানির করোনা টিকা গ্রহণকারীদের প্রতি এক লাখে একজন রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যায় ভুগেন এবং তাদের আকস্মিক মৃত্যুও হচ্ছে। করোনার এই টিকাটি দিয়ে ব্রিটিশরা চলতি বছরের প্রথম দিকে লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে এবং বিশ্বের সবচেয়ে বেশি টিকাপ্রাপ্ত দেশের একটি হিসেবে পরিণত হয়। কিন্তু প্রতি এক লাখে একজনের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধা সমস্যার কারণে ব্রিটেন অথবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে নেতিবাচক প্রচারণা শুরু হয় এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বন্ধ করে দিয়ে অন্য কোম্পানির এমআরএনএ টিকা দেয়া শুরু হয়। ইউরোপের কোনো কোনো দেশে এই টিকাটি নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারতে এই টিকাটি দেয়া অব্যাহত রয়েছে। পরে ব্রিটিশ সরকার কার্ডিফ ইউনিভার্সিটিকে একটি জরুরি তহবিল দেয় রক্ত জমাটের কারণ খুঁজে বের করার জন্য।
গবেষকরা বলেন, এডিনোভাইরাসের দুর্বল গঠনযুক্ত এই টিকাটির মাধ্যমে দেহ কোষকে কোভিড-১৯ নিরপেক্ষ করার কৌশলটি শেখানো হয়। এই কৌশলটিই দেহে কোনো কোনো সময় চুম্বক হিসেবে কাজ করে রক্তের প্রোটিনের মধ্যে থাকা প্লাটিলেটকে (রক্তকণিকা) আকর্ষণ করে। কিন্তু মানুষের দেহে থাকা কোষ মাঝে মধ্যে রক্তে থাকা প্লাটিলেটকে শত্রু (হুমকি) হিসেবে ভুল করে ফেলে এবং দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি করে হুমকি হিসেবে মনে করা প্লাটিলেটকে ধ্বংস করে। পরে ওই প্লাটিলেটকে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি দুই পাশ থেকে এঁটে ধরে এবং এ কারণেই রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এভাবে রক্ত অনেক বেশি জমাট বেঁধে গেলে রক্তনালীর মধ্যে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং যার দেহে এমনটি হয়ে থাকে হঠাৎ তার মৃত্যু হয়ে থাকে। গবেষকরা এখন এই রক্ত জমাট বাঁধার পেছনে আরো অনেক কিছু জানার চেষ্টা করছেন। তারা চেষ্টা করছেন রক্ত জমাটের এই কারণটি টিকা থেকে বের করে নিয়ে এসে এই টিকাটির ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারা যায় কি না।
উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকায় শিম্পাঞ্জির সর্দি-কাশির ভাইরাসকে পরীক্ষাগারে দুর্বল করে এর জেনেটিক কোড পরিবর্তন করে দেয়া হয়। একই সাথে শিম্পাঞ্জির এই ভাইরাসের জিনে কোভিড-১৯ ভাইরাসের জেনেটিক কোড যোগ করে দেয়া হয়েছে। শিম্পাঞ্জির এই ভাইরাসটিকে মানুষের দেহের অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আগে থেকে চিনে। অ্যাডিনুভাইরাসযুক্ত করোনাভাইরাসের টিকা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে শরীরের অ্যান্টিবডি ভাইরাসটিকে ধ্বংস করে ফেলে। একই সাথে আমাদের শরীরের অ্যান্টিবডি শিম্পাঞ্জির ভাইরাসে যোগ করে দেয়া কোভিড-১৯ ভাইরাসের জেনেটিক কোডকেও ধ্বংস করার সময় চিনে রাখে। পরে কোভিড-১৯ ভাইরাস যখন শরীরে আসলে শিম্পাঞ্জির ভাইরাসে কোভিড-১৯ ভাইরাসের জেনেটিক কোডের কোভিড ভাইরাসের কোডের মিল পেয়ে যায় এবং কোভিড-১৯ ভাইরাসকেও ধ্বংস করে দিতে পারে। এভাবেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা মানুষকে কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা দেয়। এখানে আরো উল্লেখ্য, শিম্পাঞ্জির দেহের ভাইরাসটিকে আমাদের দেহের অ্যান্টিবডি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলে। শরীরের মধ্যে এর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। দেহে থাকা অ্যান্টিবডিকে কোভিড ভাইরাসকে ধ্বংস করার কৌশল শিখিয়ে দেয়ার কাজটিই করে থাকে করোনার টিকা।


আরো সংবাদ



premium cement
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইলি হামলায় আহত শিশুর মুখে ২০০ সেলাই বিষখালীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান : জেলে নিখোঁজ, আহত ২ দক্ষিণ এশিয়ার যে শহরগুলোর তাপমাত্রা এখন সর্বোচ্চ গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানে অটোরিকশার ধাক্কায় হতাহত ৫

সকল