২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এলপিজির দাম বাড়ল

-

ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম (১২ কেজি) প্রায় সাড়ে ১১ শতাংশ বা ১০২ টাকা বাড়িয়ে ৯৯৩ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আগামী ১ আগস্ট থেকে নতুন দর কার্যকর হবে। বর্তমানে এর দর রয়েছে ৮৯১ টাকা।
ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় দেশেও বাড়ানো হলো। বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ ৮৯১ টাকা থেকে ১০২ টাকা বাড়িয়ে ৯৯৩ টাকা করা হয়েছে। এটি সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য, যা আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। সংবাদ সম্মেলনে দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মো: আবদুল জলিল। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেনÑ বিইআরসির সদস্য মোহম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান ও মো: কামরুজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয় পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি। সরকারি সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম আগের ৫৯১ টাকাই থাকছে। গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির নতুন দাম প্রতি লিটার ৪৮ টাকা ৭১ পয়সা। আগে এটি ছিল ৪৪ টাকা।
খুচরা বিক্রেতরা ও এলপিজি আমদানিকারকরা বিইআরসির আদেশ খুব একটা মানছে না। দেখা গেছে, জুন মাসের জন্য সিলিন্ডার (১২ কেজি) প্রতি খুচরা মূল্য ৮৪২ টাকা ঘোষণা করে। কিন্তু কোথাও এই দামে কেনাবেচা হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। পাইকারিতে এই দরের চেয়ে বেশি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে তখন। দর বাস্তবায়ন না হওয়া প্রসঙ্গে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘কিছু কিছু কাজ হচ্ছে। নতুন একটি বিষয় বাস্তবায়ন করতে কিছুটা সময় লাগে। দর না মানলে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে আইনে। বিধি প্রণয়ন করতে হবে, আর বিধি করবে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। আমরা যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি।’
এ দিকে মার্চের সিপি (সৌদি আরামকো কন্ট্রাক্ট প্রাইস) দর ছিল যথাক্রমে প্রতি টন প্রোপেন বিউটেন ৬২৫ ও ৫৯৫ ডলার। পরের মাস এপ্রিলে যথাক্রমে ৫৬০ ও ৫৩০ ইউএস ডলার হলে সিলিন্ডার (১২ কেজি) প্রতি এলপি গ্যাসের দর নির্ধারণ করা হয় ৯০৭ টাকা। মে মাসে ৪৯৫ ও ৪৭৫ ডলারে নেমে এলে দর নির্ধারণ করা হয় ৮৪২ টাকা, জুনে যথাক্রমে ৫৩০ ও ৫২৫ ডলার ও জুলাই মাসে ৬২০ ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। অন্য দিকে এলপি গ্যাসের ব্যবহার দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে। এরপর থেকেই এলপি গ্যাসের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দেশে এলপিজি ব্যবহৃত হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৭৪ মেট্রিক টন। কয়েক বছরে চাহিদা বেড়ে ১২ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। জাইকার এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ৩০ লাখ টন ও ২০৪১ সালে চাহিদা হবে ৬০ লাখ টন।


আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে ইয়াবাসহ গৃহবধূ গ্রেফতার জুলাইয়ে ব্রাজিল সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিলো ভানুয়াতু বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন ‘মাশা আল্লাহ’ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী

সকল