পুলিশের গুলিতে মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় পুলিশের চার সদস্য এবং পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত তিন জনসহ (পুলিশের মামলার সাক্ষী) মোট ৭ আসামির জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে র্যাবের একটি টিম সাত আসামিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে বের করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। হাসপাতালের কার্যক্রম শেষে দুপুর ১২টার দিকে তাদের র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কক্সবাজার কারা সুপার মোহাম্মদ মোকাম্মেল হোসেন জানান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় আটক আসামিদের মধ্যে সাত আসামিকে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে রিমান্ডের জন্য নিয়ে গেছে র্যাব। যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়েছে তারা হচ্ছেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী মোহাম্মদ নুরুল আমিন, মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছ। বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে বিচারক তামান্না ফারাহ এই সাতজনের প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার জেলগেটে গিয়ে আসামিদের ছাড়াই ফেরত চলে যায় র্যাবের বহর। তবে গত ৬ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করা টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলালকে এখনো রিমান্ডে নেয়া হয়নি। এ তিনজন কারাগারে রয়েছে। তাদেরও যেকোনো সময় কারাগার থেকে র্যাব হেফাজতে রিমান্ডে নেয়া হবে বলে র্যাব সূত্র জানায়। গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শাপলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদি হয়ে টেকনাফ থানায় দু’টি এবং রামু থানায় একটি মামলা করে। পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে আসামি এএসআই মোস্তফা ও টুটুল পলাতক রয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছে কক্সবাজার র্যাব-১৫। ওই মামলায় ওসি প্রদীপসহ তিনজনকে সাত দিনের রিমান্ড ও অন্য আসামিদের দুই দিন করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত। এ ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় ৯ আগস্ট সিনহার সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ ও ১০ আগস্ট সাহেদুল ইসলাম সিফাত জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান। এ দিকে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার এ পরিবর্তন করা হয়। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আশিক বিল্লাহ শুক্রবার জানান, ‘পরিবর্তনের আগে র্যাব-১৫-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জামিলুল হক মামলাটির তদন্ত করছিলেন। তার স্থলে নতুন করে খায়রুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা