১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


বতসোয়ানায় শত শত হাতির মৃতদেহ উদ্ধার মৃত্যুর রহস্য অজানা

-

বতসোয়ানায় গত দুই মাসে শত শত হাতির রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে। হাতির মৃত্যুর এই ‘অভূতপূর্ব’ ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত পরিষ্কার করে কিছুই জানা যায়নি।
আফ্রিকায় অবস্থানরত সহকর্মীদের বরাত দিয়ে ডক্টর নিয়াল ম্যাককান জানান, মে মাসের শুরু থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশটি ওকাভাঙ্গো ব-দ্বীপে ৩৫০টির বেশি হাতির মৃতদেহ দেখা গেছে।
তবে হাতিগুলো কেন মারা যাচ্ছে, সে সম্পর্কে কেউ কোনো ধারণা দিতে পারছে না। দেশটির সরকার বলছে প্রাণীগুলোর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করতে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা চলছে, যেই রিপোর্ট আরও সপ্তাহখানেক পরে পাওয়া যাবে।
আফ্রিকার মোট হাতির এক-তৃতীয়াংশ রয়েছে বতসোয়ানায়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল পার্ক রেসকিউর কর্মকর্তা নিয়াল ম্যাককান বিবিসিকে জানায় যে স্থানীয় পরিবেশ সংরক্ষণবাদীরা মে মাসের শুরুর দিকে ব-দ্বীপের ওপর দিয়ে বিমান ভ্রমণ করার সময় কিছু হাতির মৃতদেহ চোখে পড়লে বসতোয়ানার সরকারকে বিষয়টি জানায়।
তিনি বলেন, ‘তারা ওই অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৩ ঘণ্টার একটি ফ্লাইটে যাওয়ার সময় ১৬৯টি হাতির মৃতদেহ দেখে। তিন ঘণ্টার ফ্লাইটে ওই পরিমাণ হাতির মৃতদেহ দেখতে পাওয়া খুবই অস্বাভাবিক। ওই ঘটনার এক মাস পর আরও তদন্ত করে তারা আরও অনেকগুলো মৃতদেহ দেখতে পান। মোট সংখ্যাটি ৩৫০-এর ওপর। মি. ম্যাককান বলেন, ‘যেই বিপুলসংখ্যক হাতি মারা গেছে, তা একেবারেই অভূতপূর্ব। খরা বাদে কোনো একটি একক কারণে এত বিপুল পরিমাণ প্রাণী মারা যাওয়ার ঘটনা দেখা যায় না।’
বিজ্ঞানবিষয়ক পত্রিকা ফিস-এর খবর অনুযায়ী, এই হাতিগুলোর মৃত্যুর পেছনে চোরাশিকারিদের হাত থাকার সম্ভাবনা আগেই নাকচ করে দিয়েছে বতসোয়ানার সরকার। কারণ হাতিগুলোর দাঁত কেটে নেয়া হয়নি। ড. ম্যাককান বলেন, ‘সেখানে শুধু হাতিই মারা যাচ্ছে, অন্য কোনো প্রাণী নয়। যদি চোরাশিকারিদের দেয়া সায়ানাইডে হাতিগুলো মারা যেত, তাহলে হাতি বাদে অন্য আরও পশুও মারা যেত।’ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় অ্যানথ্রাক্স বিষক্রিয়ার সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছেন ড. ম্যাককান। গত বছর অ্যানথ্রাক্স বিষক্রিয়ায় বতসোয়ানায় ১০০’র বেশি হাতি মারা গিয়েছিল।


আরো সংবাদ



premium cement