২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


হ্যারি কেন নিয়ে ক্রোট ভাবনা

হ্যারি কেন নিয়ে ক্রোট ভাবনা - ছবি : সংগৃহীত

আগামীকাল মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলার মিশন ক্রোয়েশিয়ার। তাদের সামনে ইংল্যান্ড ও ফরোয়ার্ড হ্যারী কেন। ৬ গোল দিয়ে এই ইংলিশ অধিনায়ক এখন গোল দাতার শীর্ষে। সুতরাং ক্রোয়েটদের জন্য আতংকের নাম হবেন হ্যারি কেন। অবশ্য তাকে আটকানোর কৌশল করে ফেলেছেন প্রতিপক্ষ কোচ জ্লাতকো ডেলিচ। জানান, ‘আমরা মেসিকে আটকাতে পেরেছি। তাহলে কেন আটকাতে পারবোনা হ্যারি কেনকে।’ উল্লেখ্য, মেসি মানের ফুটবলার নন হ্যারি কেন।

৫১ বছর বয়সী এই কোচের মতে, অবশ্যই ইংল্যান্ড শক্তিশালী দল। তাদের দলে দু'জন ভালো মানের স্ট্রাইকার আছেন। হ্যারি কেন ও রাহিম স্ট্রার্লিং। এই নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। কারণ আমরা আমাদের শক্তি সম্পর্কেও অবগত। এরপর হ্যারি কেন সম্পর্কে বলেন, তিনি এই আসরের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা। তাকে থামানোটা মোটেই সহজ নয়। তবে যেহেতু আমরা আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচে লিওনেল মেসিকে আটকাতে পেরেছি তাহলে কেন পারবো না হ্যারি কেনকে রুখতে? আশা করি ক্রিশ্চিয়ান এরকিসন এবারও তার দায়িত্ব পালন করবেন সঠিক ভাবে।

এদিকে তিন বছর ধরে ইংল্যান্ডর জার্সি গায়ে গোলের দেখা পাচ্ছেন না রাহিম স্ট্রার্লিং। এ নিয়ে সমর্থক ও ফুটবল বিশেষজ্ঞদের তীব্র সমালোচনার মুখে ম্যানচেষ্টার সিটির খেলোয়াড় রাহিম। অবশ্য ২৩ বছর বয়সী এই ফুটবলারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ডেভিড বেকহ্যাম ও গ্যারি নেভিল। ডেলিচও রাহিমকে মূল্যায়ন করলেন উঁচু মানের খেলোয়াড় হিসেবে। জানান, স্ট্রার্লিং দ্রুত গতির ফুটবলার। চমৎকার বুঝাপড়া তার হ্যারি কেনের সাথে।

আর ইংল্যান্ড দল সম্পর্কে তার মন্তব্য, আমার প্রতিপক্ষ দলের কোনো দুর্বলতা আমি দেখছি না। তারা সেমি ফাইনালে এসেছে এটাই বড় কথা। এরপরই বলেন, যে খেলা আমি ইংল্যাল্ডের দেখেছি তাতে আমার বিশ্লেষণ, তারা ডাইরেক্ট ফুটবল খেলে এবং খেলায় গতি আছে। একই সাথে স্টে পিস ও কর্নারে বেশ ভয়ংকর। তারা বেশ সহজভাবেই হারিয়েছে সুইডেনকে। তাই তাদেরকে সম্মান করতেই হবে। আমাদের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ তারা।

এদিকে ক্রোয়েশিয়া দলের জন্য সুসংবাদ। তাদের ডিফেন্ডার ডোমাগোজ ভিদাকে শুধুই সতর্ক করেছে ফিফা। নিষিদ্ধ করেনি। রাশিয়ার বিপক্ষে গোল করার পর ইউক্রেনিয়ান ভাষায় ইউক্রেনের সাফল্য বলে চিৎকার করেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া নিয়ে যুদ্ধ হয় রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে। পরে অবশ্য খেলা শেষে তিনি জানান, আমি স্রেফেই মজা করেছিলাম। জয়টা শুধু ক্রোয়েশিয়ারই। এখানে রাজনীতির কিছুই নেই।

বাসস

ইংল্যান্ডের এই পারফরমেন্স পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে
১৯৯০ সালের পরে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। আর জাতীয় দলের এই পারফরমেন্স পরবর্তী প্রজন্মকে দারুণভাবে অনুপ্রাণীত করবে বলে বিশ্বাস ইংলিশ মিডফিল্ডার এরিক ডায়ারের।

শনিবার সুইডেনকে ২-০ গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে পরাজিত করে শেষ চার নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। হ্যারি ম্যাগুয়াইরে ও ডেলে আলির গোলে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়। শেষ চারে তাদের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া।
টটেনহ্যামের তারকা মিডফিল্ডার ডায়ার বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্থ বহন করে। এই নিয়ে মাত্র তিনবার ও ২৮ বছরের প্রথমবার ইংল্যান্ড সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জণ করেছে। ইংলিশ ফুটবলের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমি এটাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখতে চাই। আশা করি তারা যখন আমাদের দিকে তাকাবে তখন তাদের মনে একটাই বিশ্বাস আসবে, সবকিছুই সম্ভব। আর এতেই তারা আমাদেরকে ছাড়িয়ে আরো অনেক দুর যাবার আত্মবিশ্বাস পাবে।’

পর্তুগালে বেড়ে ওঠা ডায়ার বলেছেন তিনি সবসময়ই ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেছেন। কিন্তু আজ যা ঘটেছে তা কখনই কল্পনাও করেননি। একইসাথে তিনি স্বীকার করেছেন টুর্নামেন্ট থেকে ইতোমধ্যেই ফেবারিট দলগুলো বিদায় নিলেও বিষয়টি নিয়ে ইংল্যান্ড মোটেই চিন্তিত নয়। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচই বেশ কঠিন হয়েছে। টুর্নামেন্ট শুরুর দিন থেকে আমরা দেখেছি যে দলগুলোকে অপেক্ষাকৃত দূর্বল ভাবা হয়েছে তাদের বিপক্ষে বড় দলগুলো কতটা চাপে ছিল। যদিও বিশ্বকাপে দুর্বল দল বলে কোন কথা নেই। এখানে প্রতিটি দলেই কিছু না কিছু গুন আছে। আমরা সুইডেনের বিপক্ষে সেই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। এটা সত্যিই দারুণ কঠিন ম্যাচ ছিল। আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে একতা। এই দলের ২৩ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে দারুণ একটি সম্পর্ক রয়েছে। আমরা একে অপরের জন্য লড়াই করতে প্রস্তুত এবং এজন্য আমাদের মানসিকতাও বেশ শক্তিশালী। বিশ্বকাপের আগে থেকেই প্রত্যেকে এই ফলাফলটাই দেখতে চেয়েছে। আর এখন শেষ দিন পর্যন্ত আমরা প্রত্যাশা করে যাব।


আরো সংবাদ



premium cement