১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে নো-ফ্লাই জোন তৈরিতে মিত্রদের চাপ দিচ্ছে কিয়েভ

ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে নো-ফ্লাই জোন তৈরিতে মিত্রদের চাপ দিচ্ছে কিয়েভ - সংগৃহীত

রাশিয়ার নিরবচ্ছিন্ন হামলা প্রতিহত করার জন্য পর্যাপ্ত বিমান-বিধ্বংসী ব্যবস্থার অভাব থাকায় ইউক্রেন প্রতিবেশী পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করে দেশটির পশ্চিমে নো-ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠা করার জন্য তার ইউরোপীয় মিত্রদের চাপ দিচ্ছে বলে কর্মকর্তারা এএফপিকে জানিয়েছেন।

কিয়েভ ইউক্রেনের পশ্চিমে একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করতে চায় যাতে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়ার হামলায় ছড়িয়ে পড়া ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ থেকে শিল্প, জ্বালানি অবকাঠামো এবং বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা যায়।

আইনপ্রণেতা ওলেক্সি গনচারেঙ্কো যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না নেটো কেন পোল্যান্ড সীমান্তে প্যাট্রিয়ট সিস্টেম মোতায়েন করে না।’

গত সপ্তাহে ফ্রেঞ্চ ইন্সটিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস (আইএফআরআই) এবং নিউ ইউরোপ সেন্টার আয়োজিত সফরের সময় কিয়েভে এএফপির সাথে কথা বলার সময় বেশ কয়েকজন ইউক্রেনীয় বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা এই অনুরোধের প্রতিফলন ঘটান।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দমিত্রো কুলেবা মে মাসে এক বিতর্কের সূচনা করেন।

তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের অংশীদাররা তাদের অঞ্চল থেকে ইউক্রেনের ভূখণ্ডের উপর দিয়ে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করার পথে বাধা আছে এমন কোনো আইনি, নিরাপত্তাজনিত বা নৈতিক যুক্তি নেই।’

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি তার পশ্চিমা অংশীদারদের কাছ থেকে আরো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কয়েক মাস ধরে চাপ দিচ্ছেন, তবে নতুন সরবরাহ খুব অল্প পরিমাণে আসছে।

জটিল জ্বালানি পরিস্থিতি
রাশিয়া ২০২২-২৩ সালের শীতে ইউক্রেনের জ্বালানি বিতরণ নেটওয়ার্কগুলোতে গোলাবর্ষণের ওপর জোর দিয়েছিল। সম্প্রতি জ্বালানি উৎপাদন স্থাপনাগুলো তারা ধ্বংস করছে। এগুলো অনেক বেশি ব্যয়বহুল এবং মেরামত বা পুনর্নির্মাণে কয়েক বছর সময় নেয়।

মস্কো দেশটির জ্বালানি মজুদকেও টার্গেট করছে।

ইউরোপের একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে ভূগর্ভস্থ তিন কিলোমিটার গ্যাস মজুদ করে রাখা একটি স্থাপনায় রাশিয়ার চালানোর হামলায় রাশিয়ার দৃঢ়তার পরিচয় পাওয়া গিয়েছিল।

ওই কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো রুশ বাহিনীর সাথে সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে এবং তাদেরকে বৃহত্তর যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে এমন যেকোনো পদক্ষেপ সম্পর্কে অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। বৃহত্তর যেকোনো যুদ্ধ ‘এই প্রক্রিয়াকে ধীর ও নীরব করে তুলতে পারে।’
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement