ইউরোপীয় পার্লামেন্ট : এক এক দেশের এক এক পদ্ধতিতে সদস্য নির্বাচন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ জুন ২০২৪, ২২:৪১
ইইউ বাসিন্দারা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৭২০ সদস্য নির্বাচন করবে। ২৭টি দেশের সাড়ে ৩ কোটির বেশি লোককে ৬ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত পশ্চিমের অন্যতম বৃহত্তম গণতান্ত্রিক ইভেন্টটিতে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রেরই নিজস্ব বিকল্প ভাবনার পদ্ধতি রয়েছে। খবর এএফপি’র।
এক এক দেশ এক এক ভোটিং পদ্ধতিতে সদস্য নির্বাচন করে। জার্মানি, ফ্রান্স ও স্পেনসহ ছয়টি দেশে বন্ধ তালিকা ভোটিং পদ্ধতি অবলম্বন করে। এ পদ্ধতিতে ভোটাররা শুধুমাত্র একটি দলীয় তালিকায় ভোট দিতে পারে এবং তালিকায় থাকা দলের প্রার্থীদের ক্রম পরিবর্তন করতে পারে না। অগ্রাধিকারমূলক ভোটিং-এ ভোটাররা এক বা একাধিক প্রার্থীর জন্য তাদের পছন্দ প্রকাশ করতে পারেন। সবচেয়ে বেশি পছন্দের ভোটে জয়ী প্রার্থীরা আসন জিতবেন। পদ্ধতিটি ইতালি, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও নর্ডিক দেশগুলোসহ ১৯টি দেশে রয়েছে। মাল্টা ও আয়ারল্যান্ড উভয় দেশে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোট পদ্ধতি বর্তমান। পদ্ধতিটিতে ভোটাররা তাদের পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থীদের র্যাঙ্ক করে।
যদিও ভোটদানে বিরত থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে খুব কমই ব্যবস্থা নেওয়া থাকে তবে তা সত্ত্বেও বেলজিয়াম, গ্রিস, বুলগেরিয়া ও লুক্সেমবার্গ চারটি দেশ ইইউ নির্বাচনে ভোটদান বাধ্যতামূলক করেছে। অন্যান্য দেশে, ভোটাররা ভোট দেবে কিনা সে সম্পর্কে তারা নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেয়।
বেশিরভাগ ইইউ দেশে ভোট দেয়ার জন্য বয়স হতে হয় ১৮ বছর। তবে সম্প্রতি অস্ট্রিয়া, গ্রীস ও মাল্টার সাথে যোগ দিয়েছে জার্মানি ও বেলজিয়াম এই চারটি দেশ ভোট দেয়ার জন্য বয়স কমিয়ে ১৬ বছর করেছে। পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রে, বয়স হতে হবে ২১, রোমানিয়াতে কমপক্ষে ২৩ এবং ইতালি ও গ্রীসে কমপক্ষে ২৫ বছর।
জার্মানি, স্পেন ও নর্ডিক দেশগুলোসহ ১৩টি দেশ তাদের বেশিরভাগ প্রবাসী নাগরিকের জন্য পোস্টাল ভোটিংয়ের অনুমতি দেয়। এই বছর, গ্রিসের বিশাল সংখ্যার প্রবাসী অনলাইনে ভোট দেয়ার বদলে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ মহামারীকালে জনপ্রিয়তাপ্রাপ্ত এ পদ্ধতি পরীক্ষা করবে। শুধুমাত্র দক্ষ প্রযুক্তিসম্পন্ন এস্তোনিয়া তার নাগরিকদের ইলেকট্রনিক ভোট দেয়ার অনুমতি দেয়।
ফ্রান্স, ইতালি, বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গসহ দশটি দেশ দলীয় তালিকায় লিঙ্গ কোটা আরোপ করেছে। স্পেন, পর্তুগাল, গ্রীস, স্লোভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়াতে, দলগুলোকে অবশ্যই প্রতিটি লিঙ্গের কমপক্ষে ৪০ শতাংশ প্রার্থী দিতে হবে। পোল্যান্ডে ৩৫ শতাংশ প্রার্থী দিতে হবে। রোমানিয়া তার নির্বাচনে লিঙ্গ সমতা উন্নীত করার জন্য একটি আইন পাস করেছে, কিন্তু কিছু অস্পষ্ট শব্দ বিদ্যমান থাকায় আইনটি অকার্যকর করে তুলেছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে সর্বাধিক পুরুষ-প্রধান রোমানিয়ার বর্তমান এমইপির (সরাসরি ভোটে নির্বাচীত) দলভূক্ত মাত্র ১৫ শতাংশ নারী।
লুক্সেমবার্গের গ্রুপে সবচেয়ে বেশি নারী (৬৭ শতাংশ), এর পর ফিনল্যান্ড (৫৭ শতাংশ) এবং সুইডেন (৫২ শতাংশ)। পরবর্তী দুটি উল্লেখযোগ্যভাবে কোনো কোটা ছাড়াই বেশি নারীকে নির্বাচিত করেছে। সূত্র : বাসস