স্বর্ণ নিয়ে বিপদে পড়া রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে লাভবান ৩ দেশ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৬ মে ২০২৩, ১৭:২৩
উৎপাদন করা স্বর্ণের পাহাড় নিয়ে বড় বিপদে পড়ে যাচ্ছিল রাশিয়া। বছরে উৎপাদিত ৩২৫ টন স্বর্ণের পুরোটাই দেশের সীমানায় বন্দি থাকলে বড় বিপর্যয় নামতো রুশ অর্থনীতিতে।
সুকৌশলে সেই বিপদ এড়িয়েছে রাশিয়া। তাতে লাভ হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন ও তুরস্কের।
রাশিয়ার আবগারি বিভাগের তথ্য বলছে, পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা নেমে আসার পর সে দেশ থেকে প্রায় এক হাজার স্বর্ণের চালান গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এই সময়ে সেখানে রুশ স্বর্ণের আমদানি না কমে বরং বেড়েছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগের বছর, অর্থাৎ ২০২১ সালে ৭৪.৩ টন স্বর্ণ রাশিয়া থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়েছিল, ২০২২ সালে সেখানে আমদানিকৃত স্বর্ণ ১.৩ টন বেড়ে হয়ে গেছে ৭৫.৭ টন।
ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে নিষেধাজ্ঞার চাপে পড়া রাশিয়ার স্বর্ণের সবচেয়ে বড় ক্রেতা এখন সংযুক্ত আরব আমিরাত। তার ঠিক পরেই রয়েছে চীন ও তুরস্ক। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩ মার্চ পর্যন্ত এই দুটি দেশে ২০ টন করে স্বর্ণ রফতানি করেছে রাশিয়া।
রাশিয়ার কাস্টমস বিভাগের নথিভুক্ত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশটি নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর থেকে যে পরিমাণ স্বর্ণ রফতানি করেছে তার ৯৯.৮ শতাংশই গেছে এই তিন দেশ, অর্থাৎ সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন ও তুরস্কে।
অর্গ্যানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের স্বর্ণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ লুইস ম্যারেচাল মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের তখন বড় দুর্ভাবনা ছিল, রাশিয়া থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন ও তুরস্কে যাওয়া স্বর্ণ গলিয়ে নতুন চেহারায় বাইডেনের দেশেও পাঠানো হতে পারে!
তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গোল্ড বুলিয়ন কমিটি জানিয়েছে, তারা সবসময় এক রত্তি অবৈধ স্বর্ণও যেন আমদানি বা রফতানি না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখে। এক বিবৃতিতে তারা আরো জানায়, ‘ইউএই খোলামেলাভাবে এবং সৎভাবে জাতিসঙ্ঘের ঘোষণা করা নিয়ম মেনে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে ব্যবসার এ ধারা অব্যাহত রাখবে।’
তবে তিন দেশে রফতানি অব্যাহত রাখতে পারলেও উৎপাদিত সব স্বর্ণ যে রাশিয়া বিক্রি করতে পারছে, ব্যাপারটা সেরকম নয়। ২০২২ সালে মোট ৩২৫ টন স্বর্ণ উৎপাদন করেছে রাশিয়া। সেখান থেকে এ পর্যন্ত রফতানি হয়েছে মাত্র ১১৬. ৩ টন।
সূত্র : ডয়চে ভেলে