২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হত্যার শিকার ২২ নারীর পরিচয় জানতে কাজ করছে ইন্টারপোল

হত্যার শিকার ২২ নারীর পরিচয় জানতে কাজ করছে ইন্টারপোল। - ছবি : সংগৃহীত

ইউরোপের তিনটি দেশের পুলিশ রহস্যময় হত্যাকাণ্ডের শিকার ২২ নারীর পরিচয় জানতে লোকজনের কাছে সাহায্য চাইছে। নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও জার্মানিতে ১৯৭৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তাদের লাশ পাওয়া যায়।

আমস্টারডামে এক নারীর রহস্যজনক হত্যার পর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল) এই বিশেষ অভিযান শুরু করে। নেদারল্যান্ডসের রাজধানীর ভেতর দিয়ে বয়ে চলা এক নদীতে একটি আবর্জনার ডাস্টবিনের ভেতরে ওই নারীর লাশ পাওয়া যায়। নিহত ওই নারীদের বিষয়ে জানতে প্রথমবারের মতো ইন্টারপোলের পক্ষ থেকে একটি তালিকা প্রকাশ করে লোকজনের কাছে সাহায্য চাওয়া হলো।

এ অভিযানের নামকরণ করা হয়েছে 'অপারেশন আইডেন্টিফাই মি’।

সাধারণত এ ধরনের কথিত ‘ব্ল্যাক নোটিশ’ সারাবিশ্বে ইন্টারপোলের সদস্য পুলিশ বাহিনীর মধ্যে বিতরণ করা হয়।

আমস্টারডামে ১৯৯৯ সালে নদীতে ফেলে দেয়া একটি ডাস্টবিনের ভেতরে যে নারীর লাশ পাওয়া যায়, তার মাথায় ও বুকে গুলি করা হয়েছিল।

ফরেনসিক গোয়েন্দা সারিনা ভন লিওভেন ২০০৫ সাল থেকে ওই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্যে কাজ করে যাচ্ছেন। ওই বছর তিনি আমস্টারডাম পুলিশের একটি টিমে যোগ দেন, যারা এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের সুরাহা করতে কাজ করে।

এমন মামলাকে বলা হয় কোল্ড কেস। ডাচ পুলিশ বলছে, কোনো হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পরেও যদি এর রহস্য সমাধান করা না যায় তখন সেটি ‘কোল্ড কেসে’ পরিণত হয়।

রহস্য উদঘাটনে সব ধরনের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি ও তার এক সহকর্মী প্রতিবেশী জার্মানি ও বেলজিয়ামের পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন। তখন তারা এ ধরনের আরো বেশ কিছু নারীর হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে জানতে পারেন, যাদেরকে এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

এরপর ওই তিনটি দেশের পুলিশ ২২ জন অজ্ঞাত পরিচয়ের নারীর একটি তালিকা তৈরি করে, যাদের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তারা হিমশিম খাচ্ছে। এ বিষয়ে তারা ইন্টারপোলের সহযোগিতা চায়।

বেলজিয়ান পুলিশ এ ধরনের সাতটি, জার্মানি ছয়টি ও নেদারল্যান্ডস নয়টি হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে। ওই ২২ নারীর বেশিরভাগেরই বয়স ১৫ থেকে ৩০।

পুলিশ বলছে, নিহতদের নাম পরিচয় ও কারা তাদের হত্যা করেছে এসব না জানার কারণে তাদের মৃত্যুর আসল কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

পুরো তালিকাটি ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে নিহত নারীদের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু তথ্য, যেসব জিনিসের সাহায্যে তাদের চিহ্নিত করা যেতে পারে তেমন কিছু ছবি- যেমন পোশাক, গহনা, উল্কি।

এছাড়াও কয়েকজন নারী দেখতে কেমন তার একটা ধারণা পাওয়ার জন্য প্রযুক্তির সাহায্যে তাদের মুখ পুনর্গঠন করা হয়েছে এবং এসব মামলার বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরে হয়েছে।

ফরেনসিক গোয়েন্দা সারিনা ভান লিওভেন বলছেন, এসব ঘটনায় কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া রহস্য সমাধানের জন্য খুবই জরুরি।

তিনি বলেন, ‘আপনার যদি নাম না থাকে, আপনার কোনো গল্প পাওয়া যাবে না। আপনি তখন শুধু একটি নম্বর এবং একজন মানুষ তো কোনো নম্বর নয়।’

ইউরোপের ওই অংশে সীমান্ত উন্মুক্ত থাকার কারণে লোকজন এক দেশ থেকে আরেক দেশে অবাধে ও খুব সহজে চলাচল করতে পারে।

ইন্টারপোলের ডিএনএ ইউনিটের সমন্বয়কারী ড. সুসান হিচিন বলছেন, বিশ্বজুড়ে অভিবাসন ও মানব পাচারে বেড়ে যাওয়ার ফলে বর্তমানে নিজেদের দেশের বাইরেও লোকজনের নিখোঁজ হওয়া বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে তাদের লাশ শনাক্ত করা কঠিন হয়।

তিনি বলেন, ‘নারীরা লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার শিকার হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে পারিবারিক সহিংসতা, যৌন হামলা ও পাচারের মতো ঘটনা। এই অপারেশনের উদ্দেশ্য হচ্ছে ওই সব নারীকে তাদের নাম ফিরিয়ে দেয়া।’

এক নম্বর ভিকটিম
আমস্টারডামে যে নারীর লাশ পাওয়া গেছে, তাকে শহরের কেন্দ্রে একটি গোরস্তানে সমাহিত করা হয়েছে। তার কবর একটি ট্রেন লাইনের কাছে, এক সারি কবরের পেছনে। তার কবরটি খুব সহজে চোখে পড়ে না। অন্য কবরগুলোর গায়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য লেখা রয়েছে। এসবের ওপরে তাজা ফুলও রেখে গেছে লোকেরা।

কিন্তু ওই নারীর কবর এমন এক জায়গায়, যেখানে অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো কয়েকজনের কবর। ওই সব কবরের গায়ে লেখা- ‘পরিচয় জানা যায়নি’।

স্থানীয় এক ব্যক্তি ইয়েন মেইয়ের যখন তার হারিয়ে যাওয়া হুইলি বিন খুঁজতে একটি নৌকা নিয়ে নদীতে নেমে পড়েন, তখন ওই নারীর লাশের সন্ধান পান। ইয়েনের এক প্রতিবেশী এর আগে তাকে জানায় যে তিনি তার বিনটি নদীতে ভাসতে দেখেছেন।

নেদারল্যান্ডসের রাজধানীর উপকণ্ঠে তার বাড়ির খুব কাছ দিয়ে ওই নদীটি প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু যখন তিনি বিনটিকে নৌকার কাছাকাছি নিয়ে আসেন, তখন তিনি বুঝতে পারেন যে এটিকে তার ধারণার চেয়েও বেশি ভারি বলে মনে হচ্ছে।

বিনটিকে যতই পানির নিচ থকে ওপরে তোলা হচ্ছিল ততই এর ভেতর থেকে কোনো কিছুর দুর্গন্ধ ভেসে আসছিল।

ইয়েন দমকল বাহিনীর একজন কর্মী। এর আগেও তিনি লাশ দেখেছেন। তবে তখন যে গন্ধ পাওয়া গেছে, তাকে মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের গন্ধ বলেই তার মনে হয়েছে।

গন্ধটা ইয়েনকে তার শৈশবের একটি ঘটনা মনে করিয়ে দেয়। যখন তিনি জবাই করা মেষের পঁচে যাওয়া গোশত দেখতে পেয়েছিলেন।

খুব কাছে গিয়ে তিনি দেখলেন যে বিনটি পেরেক মেরে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিনটিকে তিনি ডেকের কাছে নিয়ে এসে পুলিশকে ফোন করেন। বিনটি খোলার পর পুলিশের কর্মকর্তারা দেখলেন যে তার ভেতরে কিছু কংক্রিটের ওপর ওয়াশিং পাউডারের কয়েকটি ব্যাগ স্তূপীকৃত করে রাখা। তারা বিনটিকে উল্টা করে ধরলে ভেতর থেকে একটি লাশ মেঝেতে পড়ে। একটি হাত কংক্রিটে আবৃত।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন পুলিশ অফিসার বলছেন, লাশটি ছিল ছাই রঙের এবং দেখতে বালির তৈরি ভাস্কর্য বলে মনে হচ্ছিল।

তিনি বলেন লাশ দেখে বলা খুবই কঠিন ছিল যে সেটা নারীর না কি পুরুষের।

ওই সময় ঘটনায় যে তদন্ত পরিচালিত হয় তাতে দেখা যায় যে ওই নারীর বয়স ২৫-এর কাছাকাছি এবং তিনি দেখতে কিছুটা পশ্চিম ইউরোপিয় এবং কিছুটা এশিয় লোকজনের মতো।

সম্প্রতি আইসোটোপ বিশ্লেষণের মাধ্যমে ওই লাশের ওপর যে ফরেনসিক তদন্ত চালানো হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে তার জন্ম নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, লাক্সেমবুর্গ অথবা বেলজিয়াম- এই চারটি দেশের কোনো একটিতে।

ভান লিওভেন বলেন, ‘যে ধরনের খাবার আপনি খান, যে পানি পান করেন, যে বাতাস আপনি নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণ করেন, সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে ফরেনসিক অনুসন্ধান চালানো হয়।

ওই নারীর লাশ উদ্ধারের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মধ্যেই পুলিশ তার পরিহিত পোশাক, জুতার মাপ ইত্যাদির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে। কিন্তু এর পরেও তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

ওই নারীর পায়ে জুতা ছিল না, কিন্তু জুতা লাশের সাথে বিনের ভেতরে রেখে দেয়া হয়েছিল।

লাশের সাথে আরো যেসব জিনিস পাওয়া গেছে তার বিস্তারিত তথ্য ইন্টারপোল তার ‘অপারেশন আইডেন্টিফাই মি’-এর অংশ হিসেবে প্রকাশ করেছে। তার ডান হাতের কব্জিতে ছিল সোনালী রঙের। বিনের ভেতরে সাপের চামড়ার প্রিন্টের একটি ব্যাগও পাওয়া যায়।

ওই বিনের ভেতরে পুরুষের কিছু পোশাকও পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা এগুলো হয়ত হত্যাকারীর। এর মধ্যে রয়েছে একটি জ্যাকেট, যার গায়ে লাল রঙের একটি প্রতীক সেলাই করা। ওই প্রতীক কিসের তা অনুসন্ধান করে কিছুই জানা যায়নি।

ওই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি।

ওই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদ মাধ্যমের যে আগ্রহ দেখা যায়, পরে সময়ের সাথে সাথে তাও হারিয়ে যায়।

কিন্তু যেদিন লাশটি উদ্ধার করা হয়, ওই দিন ঘটনাস্থলে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের পক্ষে নাম পরিচয়হীন ওই নারীকে ভুলে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাদেরকে এখনো ওই চিন্তা তাড়া করে, কে ওই নারী এবং কারা তাকে হারিয়ে ফেলেছে!

কারা তাকে মিস করছে?
ফরেনসিক গোয়েন্দা সারিনা ভন লিওভেন ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো যখন ওই ভিকটিমের কবর দেখতে যান, তখন তিনি মৃত্যুর মধ্য দিয়ে কারো নাম পরিচয় হারিয়ে যাওয়ার কথা ভেবে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন। ওই গোরস্তানের মালিক তার কাছে জানতে চাইলেন অজ্ঞাত পরিচয়ের লাশের ব্যাপারে তার পরিকল্পনা সম্পর্কে।

তখনই তিনি উপলব্ধি করলেন এ সমস্যার মাত্রা আসলেই কত প্রকট।

এরপর তিনি লাশ শনাক্ত করার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠেন এবং বিভিন্ন কারণে মৃত্যু হয়েছে এমন অজ্ঞাত ৪১ জনকে তিনি শনাক্ত করেছেন।

তিনি যেসব লাশ শনাক্ত করেছেন সবগুলোর বেলায় একটা বিষয়ে মিল ছিল।

তিনি বলেন, ‘তাদেরকে শনাক্ত করতে কত সময় লেগেছে সেটা বড় কথা নয়, কিন্তু তাদের প্রত্যেকের কেউ না কেউ ছিল যারা তাদেরকে মিস করছিল। এমনকি ২৫ বছর পরেও যখন কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে, লোকজন খুশি হচ্ছে, কারণ তারা কিছু একটা পাচ্ছে, যাকে তারা কবর দিতে এবং যার প্রতি সম্মান দেখাতে পারছে।’

অপারেশন আইডেন্টিফাই মি
যেসব লাশ শনাক্ত করতে সারিনা সাহায্য করেছেন তার মাত্র চারটি নেদারল্যান্ডসের। এ কারণে তিনি মনে করেন যে এ বিষয়ে অন্য দেশের পুলিশের সাথে কাজ করার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ।

‘অপারেশন আইডেন্টিফাই মি’ অভিযানে যেসব নারীর নাম পরিচয় খোঁজা হচ্ছে তাদের একজনের লাশ পাওয়া গেছে বেলজিয়ামে। তার গায়ে আঁকা উল্কিতে ছিল একটি কালো ফুল এবং সবুজ পাতা। তার নিচে ‘R’NICK’ লেখা।

তার লাশ এন্টাওয়ার্পের একটি নদীতে পাওয়া গিয়েছিল ১৯৯২ সালে। পুলিশ বলেছে, তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তারা ওিই নারীর নাম কখনো প্রকাশ করেনি।

আরেক ঘটনায় এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয় জার্মানির ব্রেমেন শহরের একটি সেইলিং ক্লাব থেকে। তার লাশ একটি কার্পেট দিয়ে পেঁচিয়ে দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল।

ইন্টারপোল বলছে তারা যে ‘ব্ল্যাক নোটিশ’ প্রকাশ করেছে তার ফলে লোকজন কিছু স্মৃতি মনে করতে পারবে এবং তাদের কাছে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য থাকলে ওই নোটিশ তাদেরকে পুলিশের কাছে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে।

ইন্টারপোলের ড. সুসান হিচিন বলেন, ‘হয়ত তারা একটি কানের দুলের কথা মনে করতে পারবে অথবা মনে করতে পারবে কোনো একটি পোশাকের বিশেষ অংশ যা অজ্ঞাত পরিচয়ের নারীর লাশের সাথে পাওয়া গিয়েছিল।

ওই ২২ নারীকে শনাক্ত করতে পুলিশ এখন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, যা তাদের লাশ উদ্ধারের সময় ছিল না। তারা মনে করছে, এ প্রযুক্তির ফলে নারীদের চিহ্নিত করার কাজ ত্বরান্বিত হবে।

আমস্টারডামে বিন থেকে যে নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়, স্কটল্যান্ডের একজন ফরেনসিক শিল্পী ড. ক্রিস্টোফার রিন ওই নারীর মুখ পুনর্গঠন করেছেন, যাতে তিনি দেখতে কেমন ছিলেন সে বিষয়ে ধারণা করা যায়।

রিন বলছেন, ছাত্রাবস্থায় তিনি ওই নারীর আসল পোস্টমর্টেম ছবি দেখেছিলেন। সেসব ছবি তিনি কখনো ভুলতে পারেননি।

তিনি আশা করছেন, উন্নত কম্পিউটার সফটওয়্যারের সাহায্যে তিনি ওই নারীর খুলির চারপাশ ঘিরে যে মুখমণ্ডলের ছবি তৈরি করেছেন সেটা নতুন ক্লু পেতে সাহায্য করবে।

ফরেনসিক গোয়েন্দা সারিনা বলছেন, তিনি যেমন অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই সব নারীর পরিচয় খুঁজে বের করতে চান, তেমনি চান হত্যাকারীদেরও শনাক্ত করতে।

সারিনা জানিয়েছেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই নারীদের পরিচয় সন্ধানে তিনি কখনো হাল ছাড়বেন না।

তিনি বলেন, ‘আপনি একজন ব্যক্তি, আপনার একটি নাম আছে, আপনার একটি ইতিহাস আছে। এর পরিণতি মর্মান্তিক ও ভয়াবহ হলেও এ ইতিহাসের শেষ পর্যন্ত জানতে হবে।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
আগ্রাসন ও যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃষ্টির জন্য সারা দেশে ইসতিস্কার নামাজ আদায় আরো ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট তাপপ্রবাহ মে পর্যন্ত গড়াবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার ভূমিকা চায় যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যুৎ গ্যাসের ছাড়পত্র ছাড়া নতুন শিল্পে ঋণ বিতরণ করা যাবে না মিয়ানমারে ফিরল সেনাসহ আশ্রিত ২৮৮ জন বিএনপি ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : কাদের রোববার থেকে স্কুল খোলা : শনিবারও চলবে ক্লাস যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বরাজনীতির মঞ্চ থেকে সরিয়ে আনতে চান ট্রাম্প : বাইডেন কলিং ভিসায় প্রতারণার শিকার প্রবাসী দেশে ফেরার সময় মারা গেলেন

সকল