২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বেলারুশে আবার ভোটের ইঙ্গিত লুকাশেঙ্কোর

- ছবি : সংগৃহীত

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো আবার ভোটের ইঙ্গিত দিলেন। অন্যদিকে পাসপোর্ট ছিঁড়ে তাকে জোর করে ইউক্রেনে পাঠানো রুখলেন বিরোধী নেত্রী কোলেসনিকোভা।

রাশিয়ার একটি টিভি চ্যানেলের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো ফের নির্বাচনের সম্ভাবনা খারিজ করে দেননি।

তিনি বলেছেন, বোধহয় তিনি বেশিদিন ধরে প্রেসিডেন্ট পদে আছেন। তবে তিনি এটাও জোরের সঙ্গে জানিয়েছেন, তিনি ছাড়া বেলারুশকে কেউ এখন রক্ষা করতে পারবে না।

লুকাশেঙ্কো এর আগেও একবার নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর তিনি সেদিকে আর এগোননি। বরং নিরাপত্তা বাহিনীকে দিয়ে জোর করে বিক্ষোভ থামাবার চেষ্টা করেছেন।

এবার তিনি বলেছেন, ''আমি আগে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে চাই। তারপর আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা যেতে পারে।''

অন্যদিকে বিক্ষোভ দেখানোর সময়ই বিরোধী নেত্রী কোলেসনিকোভাকে অপহরণ করেছিল মুখোশধারীরা। তারা মিনস্ক থেকে তাকে সোজা নিয়ে যায় ইউক্রেনের সীমান্তে। জোর করে তাকে বেলারুশ থেকে ইউক্রেনে পাঠানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু এই সাহসিনী নেত্রী সেখানে নিজের পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলে দেন। ফলে তাকে আর জোর করে ইউক্রেন পাঠানো যায়নি। তার সঙ্গে থাকা দুই অনুগামীকে অবশ্য তার আগে ইউক্রেনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোলেসনিকোভাকে আটক করা হয়েছে।

তবে লুকাশেঙ্কো আবার নির্বাচনের ইঙ্গিত দিলেও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। রাশিয়ার একটি রেডিও কেন্দ্রকে তিনি বলেছেন, ''এই বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্ব কে দিচ্ছেন, সেটাই তো আমি জানি না।''

রাশিয়ার সাংবাদিকদের কাছে লুকাশেঙ্কোর দাবি, বিক্ষোভের ফলে তার শাসনের অবসান হলে এরপর রাশিয়াও রেহাই পাবে না। তাকে সরে যেতে হলে রাশিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হবে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লুকাশেঙ্কোর প্রধান প্রতিপক্ষ শ্বেতলানা একটি ভিডিও বার্তায় বিশ্বের দেশগুলির কাছে অনুরোধ করেছেন, তারা যেন বেলারুশের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তিনি বলেছেন, ''আমার দেশ, আমার দেশের লোক এখন আপনাদের কাছ থেকে সাহায্য পেতে চায়।'' ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement