০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ফ্রান্সের সহিংস ‘হলুদ জ্যাকেট’ বিক্ষোভকারী কারা?

প্যারিসে ‘হলুদ জ্যাকেট’ বিক্ষোভ - ছবি : সংগ্রহ

ক্রমেই সহিংস হয়ে উঠছে ফ্রান্সের ‘হলুদ জ্যাকেট’ বিক্ষোভ। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো বিক্ষোভে নেমেছে দেশটির লক্ষাধিক মানুষ। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহতও হয়েছে বেশ কয়েকজন। আহত হয়েছে অনেকে। রাজধানী প্যারিসের বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছে।

শনিবার সন্ধ্যা প্যারিসের চ্যাম্পস এলিসিসি এভিনিউয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয় আন্দোলনকারীদের। আন্দোলনকারীরা হলুদ জ্যাকেট পরে বিক্ষোভে অংশ নেয়। প্রেসিডেন্ট ভবনের দিকে বিক্ষোভ সহকারে এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। এদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বিক্ষোভকারীদের আচরণকে ‘লজ্জাজনক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

Paris-1

বিবিসি জানিয়েছে, এদিন চ্যাম্পস এলিসিস এভিনিউয়ে পাঁচ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তারা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভকারীদের আটকে দিতে চেষ্টা করে। এই সড়কটিতেই অবস্থিত প্রেসিডেন্ট অফিস, পার্লামেন্ট ভবনসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা। বিক্ষোভকারীরা যাতে এসব ভবনের দিকে যেতে না পারে সেজন্য ব্যারিকেড সৃষ্টি করে পুলিশ।

লাতিতিয়া দিওয়ালে নামের এক বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা খুবই শান্তিপূর্ণ ছিলাম। আমরা শুধু চেয়েছি সরকার যাতে আমাদের কথা শোনে।

অবশ্য ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, অনেক বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে রাস্তার ট্রাফিক সাইন ভেঙে ফেলে। অনেকে পুলিশের বেরিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে সন্ধ্যার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়।

গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরদের মধ্যে কট্টর ডানপন্থীরা অনুপ্রবেশ করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। তারাই পুলিশের সাথে সংঘর্ষ ও ভাঙচুর অগ্নিকাণ্ড চালাচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের অনেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে পাথর এনে দিচ্ছে, আরেকদল এগুলো ছুড়ছে পুলিশের দিকে। এর জবাবে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, পিপার স্প্রে ও গরম পানি ছুড়ছে তাদের ওপর।

পুলিশ যাতে বিক্ষোভকারীদের দিকে অগ্রসর হতে না পারে তারা সেজন্য পাশ্ববর্তী বিভিন্ন নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে লোহা, পাথর, ইট ও অন্যান্য বস্তু এনে রাস্তায় ব্যারিকেড দিচ্ছে। হাতের কাছে যা পাচ্ছে, তাই এনে রাস্তা আটকানোর চেষ্টা করছে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ বুলডোজার দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে অগ্রসর হচ্ছে।

এদিন টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো ফ্রান্সের অন্যান্য স্থানেও বিক্ষোভ হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, সারা ফ্রান্সেই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভের ফলে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ ভেঙে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশের সাথে। ১৩০ জনের বেশি গ্রেফতার হয়েছে এসব জায়গা থেকে। তবে দেশের সর্বত্র গত সপ্তাহের চেয়ে এই শনিবার বিক্ষোভের মাত্রা কিছুটা কম ছিলো। আগের সপ্তাহে অন্তত দুইশটি স্থানে প্রায় তিন লাখ লোক বিক্ষোভ করেছিলো, নিহত হয়েছিলো দুই জন।

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, যারা পুলিশের ওপর হামলা করেছেন তাদের জন্য লজ্জা। তিনি পুলিশের পেশাদারিত্ব ও ধৈর্যের প্রশংসা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ মুরাদনগরে আর্সি নদীতে নির্মাণ করা বাঁধ অপসারণ নওগাঁয় ইট ভাঙার মেশিনের চাপায় নিহত ১ গণতন্ত্র-সুশাসনের জন্য সর্বশেষ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান রিজভীর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ভারতের রেজিস্ট্রিবিহীন হজ পালন কমাতে নতুন পদক্ষেপ ঘোষণা সৌদি আরবের নির্বাচনের কথা আপনাদের মুখে মানায় না : মির্জা আব্বাস তেল আবিবে ইরাকি গ্রুপের হামলা ফিলিস্তিন সঙ্কট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে মুসলিম উম্মাহ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী নোয়াখালীতে সিএনজি-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৩ কোভিড ভ্যাকসিনে মস্তিষ্কে ক্ষতি, মামলা জয়ে এগিয়ে ভুক্তভোগী

সকল