২১ মে ২০২৪, ০৭ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫
`


তিন বোনকে নিয়ে তথ্যচিত্র!

তিন বোনকে নিয়ে তথ্যচিত্র! -


বাংলাদেশের সিনেমার গর্ব তিন বোন- সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা। সুচন্দা ও ববিতা দীর্ঘদিন নতুন কোনো সিনেমায় অভিনয় করছেন না। চম্পা মাঝে মধ্যে অভিনয় করেন সিনেমা ও নাটকে। তিনিও খুব বেশি নিয়মিত নন। তবে কোনো বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে তিন বোনকে একসাথে দেখা যায়। সর্বশেষ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তাদের তিন বোনকে একসাথে দেখা গিয়েছিল। তারা ভোট দিতে বিএফডিসিতে গিয়েছিলেন। সুচন্দা, ববিতা ও চম্পাকে একসাথে প্রথম শিবলী সাদিক পরিচালিত ‘তিন কন্যা’ সিনেমাতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। সুচন্দা বলেন, ‘মূলত আমার আব্বার স্বপ্ন ছিল যেন আমরা তিন বোন একসাথে সিনেমায় অভিনয় করি। এ কারণেই শিবলী ভাইয়ের নির্দেশনায় তিন কন্যা সিনেমাতে অভিনয় করা।’ তবে তিন কন্যার পর তাদের তিন বোনের একসাথে একই সিনেমায় আর অভিনয় করা হয়ে উঠেনি।

তবে সুচন্দার প্রযোজনা সংস্থা থেকে নির্মিত সিনেমা ‘বাসনা’তে ববিতা ও চম্পা একসাথে অভিনয় করেছিলেন। বাংলাদেশের সিনেমার গর্ব এই তিন বোনকে নিয়ে মাঝে দু’-একজন নির্মাতা একসাথে সিনেমা নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে তার চেয়েও জরুরি এখন যে বিষয়টি তা হলো- তাদের তিনজনকে নিয়ে যথাযথভাবে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করা। সিনেমা না হোক অন্তত তথ্যচিত্রটি যেন আগামী প্রজন্মের জন্য করে রাখা যায়, সেটি এখন সময়ের দাবি। ববিতা বলে, ‘আমরা তিন বোনের আগ্রহ আছে অবশ্যই ভালো গল্প পেলে সিনেমাতে অভিনয় করব।
কিন্তু এখন কেন যেন মনে হয়, এটি আর সম্ভব নয়। তবে তথ্যচিত্র বা ডকুমেন্টারির কথা যদি বলি, সেটিও অনেক গবেষণা করে একদম শতভাগ মনোযোগ দিয়ে কাজটি করতে হবে। তিনজনের একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্যচিত্র যদি থেকে যায়, তবে আগামী প্রজন্মের জন্য তা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। জানি না, এই তথ্যচিত্রটিও করা হবে কি-না।’ চম্পা বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, এখনই সময় আমাদের তিন বোনকে নিয়ে যথাযথভাবে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণের। আমার কথা না হয় বাদই দিলাম। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে আমার দুই বোন সুচন্দা আপা ও ববিতা আপার যে অবদান আছে তা আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার দায়িত্ব আমাদেরই। তাই অনেক গবেষণার পর একটি পারফেক্ট তথ্যচিত্র নির্মাণ এখন সময়েরই দাবি।
আমার বিশ^াস, যদি স্ক্রিপ্ট পছন্দ হয় এবং যথাযথ গবেষণাও আমার দুই বোনের পছন্দ হয়, তাহলে তারা তাতে সম্মতি দেবেন। কিন্তু কে নেবে এই উদ্যোগ। জানা নেই আমারও।’ তথ্য মন্ত্রণালয় চাইলেই এই উদ্যোগ নিতে পারে। কিংবদন্তিদের মৃত্যুর পর গণমাধ্যমের সামনে এসে অনেকেই অনেক কথা বলেন। এটি করা উচিত ছিল, ওটি করা উচিত ছিল। কিন্তু জীবদ্দশায় সাধারণত এই দেশে শিল্পীদের তেমন মূল্যায়নই করা হয় না। তাই সুচন্দা, ববিতা ও চম্পাকে নিয়ে ভাবার এখনই সময়।

 


আরো সংবাদ



premium cement