পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে জবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন
- জবি প্রতিনিধি
- ২৫ জুন ২০২৪, ১৮:৩৮
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ডাকে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্ত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকরা বলেন, আমাদের এ আন্দোলন সরকার বিরোধী আন্দোলন নয়। এটা আমাদের শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি। এই আন্দোলন অর্থের জন্য নয়, আমাদের মর্যাদার জন্য। এতে শিক্ষকদের মর্যাদা ভুলুণ্ঠিত হচ্ছে। পেনশন স্কিমে প্রথমে প্রত্যয় স্কিম ছিল না, একটা কূচক্রী মহল এটিকে পরে নিয়ে এসে শিক্ষকদের এর অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে।
এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, এই কর্মসূচিতে আমরা প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কোনো কাজ করব না। আমরা শুধু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজগুলো করব।
তিনি বলেন, এক তারিখ থেকে আমাদের যে কর্মসূচি সেখানে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান কোনো দাপ্তরিক কাজ করবেন না। হল প্রভোস্ট হলে যাবেন না, অন্য শিক্ষকরাও যারা বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বে আছেন, তারাও তাদের কাজ করবেন না। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য আন্দোলন করছি। তারা যেন কর্মপেশায় এসে বঞ্চিত না হয় সেজন্যই আমাদের এই আন্দোলন।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমান বলেন, এটা আমাদের যৌক্তিক দাবি। আমরা আমাদের পেশার সুযোগ সুবিধার কথা বলছি। শ্রীলঙ্কা ও নেপালের মতো দেশেও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে সম্মানজনক পে স্কেল। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেও একজন লেকচারারের পে স্কেল আমাদের প্রফেসরের চেয়ে বেশি। আমাদের বর্তমান যে সুযোগ আছে সেটাকেও কেটে ফেলা হচ্ছে। আমরা শিক্ষক, আমরা আন্দোলন চাই না। আমাকে রাস্তায় রাখা হলে আমি গবেষণা করতে পারব না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা