১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
বন বিভাগের বিপুল জমি বেদখল

দখলমুক্ত করুন

-

সারা দেশে কী পরিমাণ সরকারি বা খাসজমি অবৈধ দখলে রয়েছে তার সঠিক তথ্য কারো কাছে আছে কি না তা নিয়ে সংশয় আছে। সংশয় জাগে এই কারণে যে, প্রতিনিয়ত খাসজমি অবৈধ দখলে চলে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং যে বিভাগের আওতাধীন ওই সব সম্পত্তি রয়েছে তারা নির্বিকার।
লক্ষণীয়, সরকারি জমি দখলের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং যখন যে দল সরকারে থাকে সেই দলের নেতাকর্মীদের। ক্ষমতার উত্তাপে তারা এই অপকর্ম অনায়াসে করে থাকেন। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বিচিত্র সব অজুহাতে সরকারি জমি অবৈধ দখলে নিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে একটুও লজ্জাবোধ করেন না। সরকারি সম্পত্তি অবৈধ দখলের ক্ষেত্রে তারা একেবারে নির্লজ্জ।
অনেক সময় দেখা যায়, আইনের মারপ্যাঁচে ভোগদখলকারী তা দখলে রেখেছেন বছরের পর বছর। এ ছাড়া কোনো রকম কাগজপত্র ছাড়াই স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সখ্য গড়ে খাসজমি অবৈধ দখলে নিয়ে অস্থায়ী বা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। সারা দেশে সরকারি হাট-বাজার, সড়ক-মহাসড়ক, নদী-নালা বিশেষ করে বনের জমি বেপরোয়াভাবে অবৈধ দখলে নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে অসংখ্য মিল-কারখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
বন বিভাগের জমি যেন হরিলুটের মাল। বন বিভাগের কী বিপুল জমি ইতোমধ্যে অবৈধ দখলে চলে গেছে; তা জানা যায় জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরপর্বে একজন সংসদ সদস্যের প্রশ্নের উত্তরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর পরিবেশিত তথ্যে। সংসদকে তিনি জানান, বন বিভাগের দুই লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ একর ভূমি অবৈধ দখলে রয়েছে। এর মধ্যে গত মে পর্যন্ত ৩০ হাজার ১৬২ একর দখলমুক্ত করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গত মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সদস্য এম আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
সবার জানা, একটি দেশের পরিবেশের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত নদী-নালা, খাল-বিল-ঝিল ও বনাঞ্চল। জলাধার এবং বনাঞ্চল বিপন্ন হলে পরিবেশের ভারসাম্য থাকে না। এতে করে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসে। আমাদের দেশ বাংলাদেশ এমনিতে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষ দশে রয়েছে বাংলাদেশ। এ জন্য ঘন ঘন ঝড়, বন্যা অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টি ও খরার কবলে পড়তে হচ্ছে আমাদের। পরিণতিতে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা এখন বসবাসের উপযোগিতা হারাচ্ছে; বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চল।
প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় একটি দেশের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ জমি বনাঞ্চল থাকা জরুরি। কিন্তু আমাদের রয়েছে সরকারি হিসাবেই মাত্র ১২ শতাংশ। এ অবস্থায় বন বিভাগের বিপুল জমি অবৈধ দখলে চলে যাওয়ার তথ্য দেশের সচেতন নাগরিকদের উদ্বিগ্ন না করে পারে না। তাই সবার একান্ত চাওয়া, বন বিভাগের সব জমি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করে আবার সেখানে বন তৈরি করা হোক। তাতে অন্তত দেশের পরিবেশের কিছুটা হলেও ভারসাম্য ফিরে আসবে।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশে মুসলিম কৃষকের ধানে আগুনকে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বলে প্রচার শিক্ষানুরাগী এস এম খলিলুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ সিরিয়ার নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র! ইতিহাসের প্রথম : ৪০০ বিলিয়ন ডলারের মালিক মাস্ক ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ সৌদি আরবে সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর সচল ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ ভারতীয় মিডিয়াতে ইসকনের ওপর হামলার খবর ভুয়া : সিএ প্রেস উইং ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মির্জা ফখরুল টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা ঢাকা সফর নিয়ে ভারতের এমপিদের ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন দুর্নীতি তদন্তে অগ্রাধিকার পাবে

সকল