১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
আদালতে বিপুল মামলাজট

ন্যায়বিচারে অস্বীকৃতি

-

দেশের বিভিন্ন আদালতে ৪১ লাখের বেশি মামলা বিচারাধীন। আর লাখ লাখ মামলার বিচার বছরের পর বছর ঝুলে আছে। চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড ও দুর্নীতির অসংখ্য মামলা ঝুলে আছে কোনো অগ্রগতি ছাড়াই।
জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রী বিচারাধীন মামলার সংখ্যা জানানোর পাশাপাশি উল্লেখ করেছেন মামলা ঝুলে থাকার কারণ। বলেছেন, বিচারকের অপ্রতুলতা আছে।
তবে একটি জাতীয় দৈনিকে গতকাল প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, উচ্চ আদালতে অসংখ্য মামলা ঝুলে থাকার কারণ কেবল বিচারক স্বল্পতা নয়, আরো নানা কারণ আছে। এর ফলে বিচারপ্রার্থী এবং আসামিপক্ষের সংশ্লিষ্টদের হয়রানি ও ভোগান্তি প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
মামলার সাথে জড়িত আসামিদেরও সবাই দোষী নয়। অভিযুক্তদেরও অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগ পর্যন্ত দোষী বলার বা দোষী হিসেবে গণ্য করার সুযোগ নেই। তাদেরও কোনোরকম ভোগান্তি ছাড়াই বিচার ও রায় পাওয়ার অধিকার স্বীকৃত। কিন্তু সেই অধিকার দিনে পর দিন লঙ্ঘিত হচ্ছে।
দৈনিকের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, বেশ কিছু হত্যা মামলায় আসামিদের বিচারিক আদালতে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হওয়ার পর হাইকোর্টে এসে দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে। এ ছাড়া দুর্নীতির বেশ কিছু মামলার আপিল শুনানি উচ্চ আদালতে আটকে আছে। হলমার্ক গ্রুপ, ডেসটিনিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির দুর্নীতি মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। আটকে থাকা দেড় সহস্রাধিক মামলার মধ্যে রয়েছে বিশেষ করে অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থ আত্মসাৎ, অর্থ পাচার, উৎকোচ গ্রহণ, সরকারি ক্রয়ে দুর্নীতির মতো মামলা। এসব মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে রাজনৈতিক ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, সাবেক আমলা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এসব গুরুত্বপূর্ণ মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া প্রত্যাশিত নয়।
যেসব মামলা ঝুলে আছে, খেয়াল করলে সেগুলোর মধ্যে এক ধরনের সমরূপ চরিত্র দেখা যেতে পারে। এগুলোর সাথে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতা আছে। তাদের দায়িত্ব এসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া।
সাবেক একজন প্রধান বিচারপতি উল্লিখিত দৈনিককে বলেছেন, পুরোনো মামলা নিষ্পত্তি এবং বিচার বিভাগের ডিজিটালাইজেশনের ওপর আরো জোর দেয়া উচিত। বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি। উচ্চ আদালতে বেঞ্চ বাড়িয়ে এসব মামলা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেয়া উচিত।
আইন ও বিচারের ক্ষেত্রে সর্বজনস্বীকৃত একটি আপ্তবাণী আছে- বিচার বিলম্বিত হওয়া মানে, ন্যায়বিচারে অস্বীকৃতি। যে সমাজে ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা নেই সেটি সভ্য সমাজ হতে পারে না।
ক্ষমতাসীনরা এ বিষয়ে উদ্যোগী হবে, এটিই জাতি আশা করে।


আরো সংবাদ



premium cement
শিবচরে ভারতীয় আগ্রাসন ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বাশার আল-আসাদের পতনে সিরিয়ানদের ভাগ্যে যা ঘটতে পারে গাজায় একদিনে আরো ৫০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল ৬ বছর পর রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন খালেদা জিয়া রৌমারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধ নিহত কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি আশরাফ, সম্পাদক আল আমিন ইসরাইলি পাইলটদের যুদ্ধবিমান না চালানোর আহ্বান সাবেক আইন কর্মকর্তার আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মা নিহত, ছেলে-মেয়েসহ আহত ৬ এবার ব্রিটিশ ব্যাংকে ‘ফ্রিজ’ করা হলো বাশারের ৫৫ মিলিয়ন পাউন্ড নোয়াখালীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত বিজয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

সকল