১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
কুয়াকাটার টার্মিনাল ভাগাড়

পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে

-

কুয়াকাটার বাসটার্মিনাল যেন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধে পুরো এলাকার পরিবেশ বিপর্যস্ত। নানা রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে। ভোগান্তিতে যাত্রী সাধারণসহ কুয়াকাটায় আগত দেশী-বিদেশী পর্যটকরা। কুয়াকাটা মেয়রের অবহেলা ও ময়লা আবর্জনা ফেলার সুনির্দিষ্ট কোনো স্থান করে না দেয়ায় বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
ডাস্টবিন না থাকায় টার্মিনালে যত্রতত্র ময়লা ফেলা হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে মশা-মাছির উপদ্রব। এই উপদ্রব বেড়েই চলছে টার্মিনাল এলাকায়। আবর্জনা থেকে মশা-মাছি উড়ে এসে পড়ছে ভ্রাম্যমাণ খাবার দোকানগুলোতে। আর সেই খাবারই খাচ্ছেন পরিশ্রান্ত পথচারী ও ভ্রমণযাত্রীরা। কুয়াকাটায় এসে অনেকেই ডায়রিয়া ও আমাশয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন।
দেশী-বিদেশী পর্যটক দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রাতে পরিবহনে যাত্রা শুরু করে সকালে এসে নামেন কুয়াকাটা বাসটার্মিনালে। প্রথমেই পৌরসভার এমন অব্যবস্থাপনার দৃশ্য দেখে মন খারাপ হয়ে যায়। খারাপ ধারণা নিয়েই শুরু হয় তাদের ভ্রমণকার্যক্রম। অনেকে সকালে টার্মিনালের ভেতরে হোটেলগুলোতে নাশতা খেয়ে ভ্রমণে বের হন। নাশতা খেতে বসে বিরক্তির ছাপ লেগে যায়। সেটি নিয়েই ভ্রমণ শুরু হয়। অনেকে দুর্গন্ধে নাশতাও সারতে পারেন না। এমনি অভিযোগ করেন অনেক পর্যটক।
খুলনা থেকে আগত পর্যটক লায়েকুজ্জামান দম্পতি বলেন, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্যটা দেখার জন্যই কুয়াকাটায় এসেছি। টার্মিনালের বেহাল অবস্থা দেখে মনটাই খারাপ। কুয়াকাটায় বাকি দুটো দিন কিভাবে কাটবে, ভাবছি। ঢাকা থেকে আগত পর্যটক জহিরুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পরে ঢাকার অনেক পর্যটক কক্সবাজার না গিয়ে কুয়াকাটায় আসেন। কিন্তু বাসটার্মিনাল তাদেরকে যে ধারণা দেয় তা নিতান্তই দুঃখজনক। একটি পর্যটন এলাকার বাসটার্মিনালের বেহাল অবস্থা মেনে নেয়া যায় না। এটি পর্যটন শিল্পের জন্যও হুমকিস্বরূপ।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিঙ্কন বায়েন বলেন, পর্যটনকেন্দ্র বিশিষ্ট পৌর এলাকায় যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার সুযোগ নেই। এটি কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনারই বহিঃপ্রকাশ। আবর্জনা ও প্লাস্টিক দ্রব্য ব্যবহারের পর সুনির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে মেয়রকেই। কুয়াকাটা পৌর বাসটার্মিনালে ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশকে দূষিত করে রাখলে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নেবেন। পর্যটন শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
পৌরমেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, বাসটার্মিনালের জন্য নির্ধারিত ক্লিনার রয়েছে। তাদের কাজ টার্মিনাল এলাকাটি পরিষ্কার রাখা। বিষয়টি সরেজমিন দেখে ব্যবস্থা নিতে পদক্ষেপ নিচ্ছি।


আরো সংবাদ



premium cement