১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

গণতান্ত্রিক সমাজ কাম্য

-

আজ ২৬ মার্চ, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পূর্ণ হলো। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। গৌরবময় দিনের স্মরণের মধ্যে দিয়ে নতুন দিগন্তে ছুটে চলার প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হবে জাতি। আজ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে হয় স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নকারী সেসব বীরকে। একই সাথে আমরা যথেষ্ট সন্তুষ্টিও প্রকাশ করতে পারি ৫৩ বছরের অর্জন নিয়ে। দেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বেশ অগ্রসর হয়েছে। কিন্তু একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে এখনো অনেকটা পথ বাকি।
এ কথা সত্যি যে, একটি জাতির জাতীয় জীবনে ৫৩ বছর খুব দীর্ঘ সময় নয়। তবে বিগত কয়েক যুগে জাতিসত্তার যে বিকাশ ও উন্নয়ন হয়েছে সেটি লক্ষণীয়। দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের সাথে প্রায় একই সময়ে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশগুলো কিংবা যেসব দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার সাথে আমাদের বিশেষ মিল রয়েছে; তাদের মধ্যে অনেক দেশ প্রভূত উন্নতি করেছে। যেমন- সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া। দেশ দু’টি এখন উন্নত দেশগুলোর অন্যতম। এসব দেশ শুধু যে জনসাধারণের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আমূল পাল্টে দিয়েছে তাই নয়, সুশাসনও প্রতিষ্ঠা করেছে।
স্বাধীন বাংলাদেশের একটি উজ্জ্বল পটভূমি রয়েছে। এ দেশের মানুষ শোষণ বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েমের অভিপ্রায়ে রাষ্ট্র গঠন করেছেন। এ জন্য দেশের মানুষ বিপুল রক্ত দিয়েছেন। অনেক মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন। এক কথায়, আমাদের স্বাধীনতা চড়া দামে কেনা। স্বাধীনতার চেতনা ছিল শোষণ-নিপীড়নমুক্ত অবাধ মুক্ত সমাজ গড়ে তোলা।
দেশ স্বাধীন করেছি এমন একটি রাষ্ট্র পেতে; যেখানে মানুষের মতপ্রকাশের অবাধ স্বাধীনতা থাকবে। অথচ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানুষের মতপ্রকাশের অধিকার নানাভাবে সঙ্কুচিত হয়েছে। নাগরিকদের মুখ বন্ধ রাখার নানা কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা আছে। এ ছাড়া গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রে অবস্থা আরো করুণ। নির্বাচনব্যবস্থা অকার্যকর করে ফেলা হয়েছে। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ সব ক্ষেত্রে সীমাহীন স্বাধীনতা ভোগ করছেন। বিপরীতে বেশির ভাগ মানুষের গণতন্ত্র চর্চার পথ প্রায় রুদ্ধ। অথচ স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আমাদের একটি উন্নত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকতে পারত।
বলা হচ্ছে, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে আমাদের উত্তরণ ঘটেছে। ক্ষমতাসীনদের প্রচারণা অনুযায়ী, আমরা এখন উন্নয়নের পথে দ্রুত ধাবমান। আমাদের লক্ষ্য এখন উন্নত দেশ হওয়া। বাস্তবে দেশে বঞ্চিত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। ধনী-গরিব ব্যবধান চওড়া হয়েছে। সমাজে এখনো আক্ষরিক অর্থে অসহনীয় দারিদ্র্য বিরাজ করছে। অন্য দিকে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় নেই সাম্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা। এক শ্রেণীর জন্য দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ সঞ্চিত করার পথ খুলে দেয়া হয়েছে। মধ্যবিত্ত ও নি¤œমধ্যবিত্ত শ্রেণীর জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি অনেক আগে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে উন্নীত হতে পারতাম না কিংবা দেশকে দাঁড় করাতে পারতাম না উন্নত দেশের কাতারে? কেন পারিনি, তা জানতে স্বাধীনতা দিবসের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আত্মসমালোচনার প্রয়োজন আছে।
৫৩তম স্বাধীনতা দিবসে দাঁড়িয়ে আমরা আশাবাদী হতে চাই। এ দেশে নতুন চেতনার বিকাশ হবে। বৈষম্য দূর হবে। সব নাগরিকের ন্যায্য গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে। পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
প্যাভিলিয়ন বাতিলসহ ৪ দফা দাবিতে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালককে স্মারকলিপি জনআকাঙ্ক্ষা ও সরকারের পথচলা অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশ নারী দল ঘোষণা গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় মিলেছে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে ভারত, প্রত্যাশা আসিফ মাহমুদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ব্র্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করব : ভিসি ৪৭তম বিসিএসের আবেদনের নতুন সময় জানালো পিএসসি জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসা সহায়তার আশ্বাস সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার মানবসেবার জন্যই হাসপাতাল করেছি : জামায়াত আমির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত চট্টগ্রামে সাবেক এমপি মোতালেবসহ ২৪৮ জনের নামে মামলা

সকল