১৫ মে ২০২৪, ০১ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫
`


রেলওয়ের টিকিটে কালোবাজারি

এটা ডিজিটাল প্রতারণা!

-

দৈনিক নয়া দিগন্তের নিকলী (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জের রেলস্টেশনে কাউন্টারে টিকিট মেলে না। মেলে দালালদের কাছে, অতিরিক্ত টাকায়। হাজার হাজার যাত্রী টিকিট না পেয়ে ফিরে যাওয়ার মুহূর্তে দালালরা পিছু নেয়। অতিরিক্ত (প্রায় দ্বিগুণ) টাকা দিলে তারা টিকিট ‘ম্যানেজ’ করে দেয়। যে ক’টি টিকিট লাগবে সবক’টি টিকিটই পেয়ে যান দালালদের কাছে। অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে।
বেকার যুবক দালাল সারা দিন কাউন্টারের আশপাশে ঘোরাফেরা করে। স্টলে বা চায়ের দোকানে বসে থাকে। তাদের সংগ্রহে সব টিকিট। প্রশাসনের নজরদারিতে কোনো দালালকে আইনের আওতায় আনা হলেও কালোবাজারি ঠেকানো যাচ্ছে না। নিরাপত্তার তদারকির অভাবে কিশোরগঞ্জের রেলস্টেশনের এমন দশা যাত্রীর বিরক্তির কারণ। এক যাত্রী জানান, কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের হয়রানি বন্ধে অনলাইনে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করেছে। দালালদের দৌরাত্ম্যে টিকিট কিনতে পারব না? কর্তৃপক্ষ টিকিট বাড়িয়ে দিলেই পারে। কাউন্টার থেকে পর্যাপ্ত টিকিট পাওয়া গেলে দালালরা কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করতে পারত না। সরকার সহজ কথাটা বুঝতে পারে না।
বাজিতপুর উপজেলার সরারচর রেলস্টেশনের যাত্রীসেবা নিম্নমানের হলেও যাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশি। দুষ্প্রাপ্যতায় দালালদের কাছ থেকেই অতিরিক্ত টাকায় টিকিট নিতে হয়। ঢাকাগামী ট্রেনের যাত্রীরা হয়রানির শিকার বেশি। তবে ভিআইপি যারা অথবা জনপ্রতিনিধি যারা তাদের জন্য কাউন্টারে টিকিট ঠিকই থাকে। তাদের টিকিট পেতে কোনো অসুবিধা হয় না। বাজিতপুরের পাশাপাশি নিকলীর যাত্রীরাও এই স্টেশন থেকে ভ্রমণ করেন। এ বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কালোবাজারির বিষয়টি কয়েক দফায় জানানো হয়েছে। কিন্তু দুর্ভোগের কমতি নেই। বাজিতপুর উপজেলার সরারচরের স্টেশনমাস্টার বলেন, অনলাইনে টিকিট বিক্রির ফলে কাউন্টারে নির্ধারিত টিকিট আগেই শেষ হয়ে যায়। সাধারণ যাত্রীরা নির্দিষ্ট সময়ে টিকিট সংগ্রহের জন্য এলেও আমাদের কিছুই করার থাকে না। দালালদের কাছ থেকে বেশি টাকায় টিকিট কিনে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের ডিজিটাল প্রতারণায় তার কোনো হাত নেই বলে তার দাবি।


আরো সংবাদ



premium cement