কমবে যেসব পণ্যের দাম
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ জুন ২০২৪, ১৭:০৭, আপডেট: ০৬ জুন ২০২৪, ২০:৩৪
নতুন বাজেটে বেশকিছু পণ্যের কর কমানো হতে পারে। ফলে কমতে পারে এসব পণ্যের দাম।
বৃহস্পতিবার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বাজেটে প্যাকেটজাত গুঁড়োদুধ আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে বাজারে গুঁড়োদুধের দাম কমতে পারে। এছাড়া চকলেট আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ কমছে। দাম কমতে পারে চকোলেটের। ল্যাপটপ আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এতে সবমিলিয়ে পণ্যটিতে ৩১ শতাংশের পরিবর্তে ২০ দশমিক ৫০ শুল্ক-কর দিতে হবে। ফলে কমতে পারে ল্যাপটপের দাম।
কার্পেট তৈরির প্রধান কাঁচামাল পলিপ্রোপাইলিন ইয়ার্ন আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে। এতে দেশে তৈরি কার্পেটের দাম কমতে পারে। অ্যাভিয়েশনখাতের উত্তরণে ইঞ্জিন-প্রপেলর আমদানি পর্যায়ে কমতে পারে মূসক। ফলে উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণে কমতে পারে খরচ। দেশে তৈরি মোটরসাইকেলের সিকেডি ইঞ্জিনের পার্টসের আমদানি শুল্ক কমছে। এতে দেশে তৈরি মোটরসাইকেলের দাম কমতে পারে।
রড, বার ও অ্যাঙ্গেল তৈরির কাঁচামাল ম্যাঙ্গানিজ আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হতে পারে। এতে লোহাজাতীয় পণ্যের দাম কমতে পারে। বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত সুইচ-সকেটের দাম কমার সম্ভাবনা আছে। কারণ দেশে উৎপাদিত সুইচ-সকেট, হোল্ডার উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। ইলেকট্রিক মোটর উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এ কারণে ইলেকট্রিক মোটরের দাম কমবে।
কাঁচামালের ওপর আমদানি শুল্ক কমানোয় দাম কমতে পারে ডায়ালাইসিসের জন্য ব্যবহৃত উপকরণ ডায়লেসিস ফিল্টারের। সার্কিটের ওপর আমদানি শুল্ক নয় শতাংশ কমতে পারে। এতে কমতে পারে ডায়ালাইসিসের খরচ। স্পাইনাল সিরিঞ্জ ও ডেঙ্গু কিটে রেয়াতি সুবিধা থাকায় এ পণ্য দুটির দামও কমতে পারে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল হাসান মাহমুদ আলী তার প্রথম বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি ৫৩তম বাজেট, আর টানা চতুর্থ মেয়াদে গঠিত বর্তমান সরকারের এটি প্রথম ও টানা ১৬তম বাজেট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ২১তম বাজেট।
অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এবারের বাজেটের আকার হতে যাচ্ছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ নতুন অর্থবছরে সরকার ব্যয় বাড়াতে চায় আগের বছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা।
রেওয়াজ অনুযায়ী, এদিন অর্থমন্ত্রী ব্রিফকেস নিয়ে সংসদে প্রবেশ করেন।
বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে, জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে নতুন অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়।
সংসদে উপস্থাপনের জন্য নতুন অর্থবছরের অনুমোদিত বাজেটে রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন সম্মতিসূচক সই করেছেন। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পরেই অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে সাথে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন। পরে স্পিকারের অনুমতি সাপেক্ষে অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা