সেচ পাম্পের জ্বালানি নবায়নযোগ্য করলে সাশ্রয় হতে পারে ৫০০০ মেগাওয়াট
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০১ জুন ২০২৪, ১৮:১৯
দেশে কৃষিজমির সেচের পাম্পের জ্বালানি নবায়নযোগ্য করতে পারলে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করছে।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে দ্বিতীয় ঢাকা নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্থায়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, গ্রিন, ক্লিন ও জলবায়ু সহিষ্ণু অর্থনীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে সরকার।
তিনি আরো বলেন, জমির স্বল্পতার কারণে পুকুর বা জলশয়ে ভাসমান সোলার প্যানেল করে নিচে মাছ চাষ করার অথবা বাড়ির ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করেছি। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুতের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য স্থির করেছে। এই লক্ষ্য জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সব খাতের সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন মন্ত্রী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে, সৌর, বায়ু, বায়োমাস ও জলবিদ্যুৎ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ অপরিহার্য।
তিনি আরো বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় বিনিয়োগকারীকে আকৃষ্ট করতে, আমাদের আর্থিক প্রণোদনা এবং স্বচ্ছতার সাথে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি কেবল কার্বন নির্গমন হ্রাসই করে না বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি ও জীবনমান উন্নত করে।
মন্ত্রী এই রূপান্তরে উদ্ভাবনী আর্থিক উপকরণ যেমন গ্রিন বন্ড, জলবায়ু তহবিল এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা উন্নত বিশ্বের কাছে, ঋণ নয় অনুদান প্রত্যাশা করি। এই খাতে গবেষণা ও উন্নয়নের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার এবং সাহসী পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে, আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে আমাদের জাতির অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির মূল ভিত্তি করতে পারি।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশেষ রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আবদুল্লাহ খাসেইফ আলহুমুদ, পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো: মোস্তাফিজুর রহমান, টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের অধ্যাপক এ. কে. এনামুল হক, চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অলটারনেটিভ ল ইক্লেক্টিভের গবেষণা পরিচালক জেইন মৌলভী।
সূত্র : ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা