২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এলজিইডির ২ প্রকল্পের ‘লঞ্চিং কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত

এলজিইডির ২ প্রকল্পের ‘লঞ্চিং কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত - নয়া দিগন্ত

এলজিইডি ভবনে কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী মিলনায়তনে দুটি প্রল্পের যৌথ আড়ম্বরপূর্ণ ‘লঞ্চিং ওয়ার্কশপ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ওয়ার্কশপের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্তানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইচিগুচি তমোহিদে, চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ জাইকা বাংলাদেশ অফিস ও ড. মুহা: শেরআলী, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) স্থানীয় সরকার বিভাগ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো: আলী আখতার হোসেন। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুজাক্কা জাহের অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

আরো বক্তব্য রাখেন এলজিইডির এসসিআরআইডিপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো: আবদুস সাত্তার ও এলজিইডির আইইউজিআইপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো: আব্দুল বারেক।

এ সময় এলজিইডির কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রকল্প এলাকার বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র ও কর্মকর্তাগণ, মাঠ পর্যায়ে প্রকল্প এলাকার এলজিইডির কর্মকর্তা ও প্রকল্পের পরামর্শকগন উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্প দুটি হচ্ছে- দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্প এবং নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। প্রথম প্রকল্পটি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী এলাকায় জাপান সরকারের বাংলাদেশকে কেন্দ্রে রেখে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া রউন্নয়নে বিগ-বি উন্নয়ন কৌশলের অর্ন্তভূক্ত। ‘মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত উন্নয়ন উদ্যোগ’ ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুৎপ্রকল্প, গভীর সমদ্র্র বন্দরসহ প্রায় ৩৫টি প্রকল্পের ব্যপক উন্নয়নের ফলে ওই এলাকায় যে বহুল পরিমাণে শ্রমিক সমাগম ঘটবে তাদের বাসস্থান ও নাগরিক সুবিধা প্রানের জন্য প্রাথমিক অবকাঠামো উন্নয়নকরা এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।

এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ হতে টেকনাফ, উখিয়ায় আগত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ফলে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের যে মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে তা মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ ও এ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত। এ সকল অবকাঠামো মহেশখালী উপজেলা ও পৌরসভা, চকোরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা, টেকনাফ উপজেলা ও পৌরসভা এবং উখিয়া ও কক্সবাজার সদর উপজেলায় নির্মাণ করা হবে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা যার ৬৮.৫ শতাংশ জাইকা ওডিএ ঋণ সহায়তা এবং ৩১.৫ শতাংশ বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে সম্পন্ন হবে। সড়ক, ব্রিজ-কালভার্ট , মার্কেট, পার্ক, সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, টাউনশিপ উন্নয়ন, পানি সরবরাহের জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, প্রাইমারি ড্রেন ও বন্যানিয়ন্ত্রণ ও সেচ সুবিধার জন্য অবকাঠামো নির্মাণে, পৌরসভার ও এলজিইডির দক্ষতা ও উন্নয়নে ওই অর্থ ব্যয় করা হবে।

প্রকল্পটি মে ২০২৩ তারিখ প্রশাসনিক অনুমোদন লাভ করে এবং ডিসেম্বর ২০২৮ তারিখ সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত। প্রকল্পের অবকাঠামো উন্নয়নে ০.৭ শতাংশ সুদ হারে জাইকার ঋণ সুবিধায় ১০ বছরের গ্রেসপিরিয়ডসহ ৩০ বৎসরে মেয়াদে পরিশোধের শর্তে ঋণ গ্রহণ করা হয়।

দ্বিতীয় প্রকল্পটি- নগরপরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। এ প্রকল্পটি এডিবি ও দাতা সংস্থা এএফডির আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়ন করা হবে। পরিকল্পিত, অর্ন্তভুক্তিমূলক এবং টেকসই নগরায়ন এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। এর জন্য সারা দেশের ৬৩ পৌরসভায় 'ফলাফলের ভিত্তিতে ঋণ প্রদান' কৌশলের মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়ন ও পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে।

এছাড়াও ২৫টি পৌরসভার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এর জন্য আর্থিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০২ মিলিয়ন ইউএস ডলার। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ১০০ মিলিয়ন, এডিবি ৩০২ মিলিয়ন, এএফডি ২০০মিলিয়ন আর্থিক ঋণ সহায়তা প্রদান করবে।

প্রকল্পটি ২০ জুন ২০২৩ অনুমোদন লাভ করে এবং ৩০ জুন ২০২৮ সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত। কমপক্ষে ৯০০ কিমি ড্রেন, ১৫০০ কিলোমিটার সড়ক এই প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হবে।

এছাড়াও নির্মাণ কাজে পৌরসভার ৫০ ভাগ নারীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে দরিদ্র জনবসতিতে উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে। প্রকল্পটির কাজ ইতোমধ্যে এগিয়ে চলছে। ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার কাজের টেন্ডার আহ্বান করে ৮০০ কোটি টাকার কাজের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রী ও প্রধান প্রকৌশলী এবং দাতা সংস্থার সদস্যরা প্রকল্পটি এগিয়ে চলায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। এডিবি, এফডিএর বিশেষ অতিথিগণ অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের উপর জোর দেন।

আইইউজিআইপি প্রকল্পে দরিদ্রদের জন্য অবকাঠামো নির্মাণের কথা উল্লেখ করে বলেন, তাদেরকে উন্নয়ন সুবিধার বাইরে রেখে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। এছাড়া পরিচালনা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও জলবায়ু সহনশীল প্রকল্প নির্মাণ টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত বলেও উল্লেখ করেন।

জাইকার প্রতিনিধি আয়োজিত অনুষ্ঠানের জন্য এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। তিনি জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা, কাজের উচ্চমান, নিয়মিত মনিটরিং ও সময়মত প্রকল্প শেষ করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। প্রধান প্রকৌশলী সকল দাতা সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান এবং তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

তিনি জানান, এলজিইডি তার সামর্থ্য অনুযায়ী এ প্রকল্প সফলভাবে সমাপ্ত করার বিষয়ে আশাবাদী। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মো: তাজুল ইসলাম বলেন আমরা যে- ঋণ গ্রহণ করি তা ফেরত দিতে হবে। যদি ঋণের ব্যবহার যথযথ না হয় তবে দেশ ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাই কাজের গুণগত মান, সময়মত প্রকল্প সমাপ্তি এবং উৎপাদনমুখী অবকাঠামো নির্মাণ করার বিষয়ে এলজিইডিকে তাগিদ দেন তিনি। পরিশেষে প্রকল্প দুটির সফলতা কামনা করে শুভ উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। 


আরো সংবাদ



premium cement
লক্ষ্মীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আটক টিভিতে বিব্রতকর সাক্ষাৎকারের পর অবস্থান পাল্টালেন বিএনপি নেতা শ্বশুরের ঘর থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রির কাছে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদানে অধ্যক্ষ এবং চেয়ারম্যান গ্রেফতার আবারো পিএমএল-এনের সভাপতি হচ্ছেন নওয়াজ শরিফ বিষখালী নদী থেকে ২২ ঘণ্টা পর নিখোঁজ জেলের লাশ উদ্ধার ৩ জেলায় বয়ে যাচ্ছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ ছত্তিশগড়ে ২৯ জন মাওবাদী নিহত হওয়ার পর এলাকায় যে ভয়ের পরিবেশ নেতানিয়াহুকে গাজার কসাই বললেন এরদোগান রাশিয়া ইউক্রেনের ৬৮টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে

সকল