২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

১০ প্রকল্পে অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন অর্থবছরের এডিপি অনুমোদন

প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসির বৈঠক। - ছবি : সংগৃহীত

সবচেয়ে ব্যয়বহুল রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎকেন্দ্র নির্মাণ, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ ১০ প্রকল্পে অগ্রাধিকার দিয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ হাজার ৪৫২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)।

পরিকল্পনা কমিশনের দেয়া ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার এডিপিতে বরাদ্দের ক্ষেত্রে পরিবহন ও যোগাযোগ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতকে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয়ের দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করে দারিদ্র্য হার হ্রাসের মাধ্যমে জনগণের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে দীর্ঘ ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার কৌশল এবং লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনের প্রধান মাধ্যম এডিপি বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এনইসি বৈঠকে সভাপতিত্ব করে এডিপির অনুমোদন দেন। আর সভা শেষে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সাংবাদিকদের এডিপি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার মধ্যে অভ্যন্তরীন উৎস থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ২৯৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৮৮ হাজার ২৪ কোটি ২৩ রাখ টাকা যোগান দেয়া হবে। এডিপির এই আকার চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির তুলনায় ২০ হাজার ১৭৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বেশি।

এছাড়া সংশোধিত এডিপির তুলনায় ২৭ হাজার ৬৮১ কোটি ১৪ লাখ টাকা বেশি। তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১১ হাজার ৪৬৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সবকিছু মিলিয়ে আগামী অর্থবছরের এডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।

এডিপিতে শীর্ষ ১০ খাত কত পাচ্ছে
নতুন এডিপিতে ১৫টি খাতভিত্তিক বরাদ্দের মধ্যে সর্বোচ্চ বরাদ্দের পাঁচ খাত হচ্ছে পরিবহন- যোগাযোগ, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, গৃহায়ণ ও কমিউনিটি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাত।

পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ ৬১ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা (২৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ), বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৪৫ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা (২০ দশমিক ৩৬ শতাংশ), গৃহায়ণ ও কমিউনিটি সুবিধাবলি খাতে ২৩ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকা (১০ দশমিক ৫৪ শতাংশ), শিক্ষায় ২৩ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা (১০ দশমিক ২৯ শতাংশ), স্বাস্থ্য খাতে ১৭ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা (৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ), স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ১৪ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা (৬.৩৪ শতাংশ), পরিবেশ জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদে ৮ হাজার ৫২৬ কোটি টাকা (৩.৭৮ শতাংশ), কৃষিতে ৭ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা (৩.৪০ শতাংশ), শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক সেবায় ৪ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা (২.০৬ শতাংশ) এবং বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে ৩ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা (১.৫৯ শতাংশ)।

সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১০টি মন্ত্রণালয়
স্থানীয় সরকার বিভাগ ৩৩ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ২৮ হাজার ৪১ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ বিভাগে ২৫ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে ২০ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে ১৩ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ১৩ হাজার কোটি টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ১১ হাজার ৯১৯ কোটি টাকা, সেতু বিভাগে ৯ হাজার ৮১২ কোটি টাকা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ৮ হাজার ২২ কোটি টাকা এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ৬ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা।

সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১০ প্রকল্প
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ১৮ হাজার ৪২৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা, মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র প্রকল্প ৬ হাজার ১৬২ কেটি টাকা, চতুর্থ পিইডিপি কর্মসূচি ৫ হাজার ৫৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, মেট্রোরেল-৫ প্রকল্পে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, পদ্মা বহুমুখী সেতুতে রেলসংযোগ প্রকল্পে ৩ হাজার ৮২৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু নির্মাণ প্রকল্পে ৩ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা, পদ্মাসেতু প্রকল্প সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ৩ হাজার ২২৭ কোটি ২০ লাখ টাকা, ডিপিডিসির আওতায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পে ৩ হাজার ৫১ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং ঢাকা বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পে ২ হাজার ৮২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

প্রকল্প সংখ্যা
এডিপিতে এবার বরাদ্দসহ প্রকল্প সংখ্যা হচ্ছে ১ হাজার ৫১৫টি। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপি থেকে স্থানান্তরিত হয়েছে ১ হাজার ৩৯৬টি প্রকল্প, নতুন অনুমোদিত প্রকল্প ৩০টি এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের ৮৯টি প্রকল্প রয়েছে। এগুলো বরাদ্দসহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বরাদ্দহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প রয়েছে ৫৯৬টি, বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির জন্য অন্তর্ভূক্ত প্রকল্প ১৪১টি, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বেও প্রকল্প ৮৮টি এবং ৩০ জুন ২০২২ সালের মধ্যে শেষ করার জন্য নির্ধারিত প্রকল্প হচ্ছে ৩৫৬টি প্রকল্প। নতুন প্রকল্পে থোক বরাদ্দ ৪ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা।


আরো সংবাদ



premium cement
ইউক্রেনকে দ্রত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিতে যাচ্ছে পেন্টাগন ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৯ মিয়ানমারের জাতীয় গ্রন্থাগারে বাংলাদেশ দূতাবাসের বই অনুদান ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করছে : কাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সুলতান মাহমুদকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর

সকল